সাতক্ষীরা প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ৮ জুন, ২০২৪, ০২:৩২ পিএম

অনলাইন সংস্করণ

রাস্তার পাশে শুকনো গাছ, প্রাণ ঝুঁকিতে পথচারীরা

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

সাতক্ষীরা-কালীগঞ্জ মহাসড়কের দেবহাটার বিভিন্ন এলাকায় রাস্তার পাশের হেলে পড়া শুকনো গাছ থেকে প্রতিনিয়ত ডালপালা ভেঙে পড়ছে। ব্যস্ততম সড়কটির পাশে দীর্ঘদিন ধরে এ অবস্থা থাকায় প্রতিনিয়ত আহত হচ্ছে পথচারীরা। এমনকি ডালপালা ভেঙে পড়ে ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে যানবাহনের।

জানা গেছে, বিভিন্ন সড়কের পাশে সড়ক ও জনপদ বিভাগের গাছগুলো মরে পড়ে আছে বহুদিন ধরে। সরকারি নিয়মতান্ত্রিক জটিলতায় এসব গাছ অপসরণ সম্ভব হচ্ছে না। আর সেকারণে মরে পড়ে থাকা গাছগুলো ভেঙে পড়লেও কেটে ফেলার অনুমতি মিলছে না। এতে করেরাস্তায় উভয় পাশে বাজার, স্কুল-কলেজ ও একাধিক ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান থাকায় প্রতিদিন এ এলাকা দিয়ে যাতায়াত করে কোমলমতি শিক্ষার্থীসহ সব ধরনের মানুষ ঝুঁকিতে চলাচল করছে। 

তাছাড়া হেলে পড়া গাছটির নীচ দিয়ে বৈদ্যুতিক লাইন থাকায় দুর্ঘটনার আশঙ্কা তীব্র হয়ে উঠেছে জনসাধারণের। দেবহাটার সখিপুর মোড় থেকে উপজেলা মোড় পর্যন্ত অসংখ্য গাছ শুকিয়ে গেছে। হালকা ঝড়-বৃষ্টি হলেই গাছের ছোট বড় ডালপালা ভেঙে পড়ছে। কোনো কোন সময় মরা গাছ পড়ে রাস্তা বন্ধ হয়ে গিয়ে বাড়ছে দুর্ভোগ।

দেবহাটা উপজেলার বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম জানান, এই গাছগুলোর নীচ দিয়ে যাওয়ার সময় খুবই ভয় করে। কারণ না জানি কখন ভেঙে পড়ে। কিছুদিন আগে পারুলিয়া গরুহাটে মরাগাছের ডাল পড়ে জাল ব্যবসায়ীর মৃত্যু হয়। আমরা বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় প্রশাসনকে বললেও তারা কোন উদ্যোগ নিতে পাচ্ছেন না। সড়ক ও জনপদ বিভাগ এবং জেলা পরিষদের গাছ হওয়ায় সরকারি নিয়মে আটকে আছে মরা গাছ অপসরণ। আমরা চাই বর্ষার আগেই এই গাছগুলো কেটে ফেলা হোক।

সাতক্ষীরা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির দেবহাটা সাব-জোনালের এজিএম জহুরুল ইসলাম জানান, সড়কের পাশে মরা গাছ থাকায় বিভিন্ন সময় তা বিদ্যুতের তারের উপরে পড়ছে। এতে সংযোগ তা ছিড়ে যাচ্ছে। আবার কোথাও বিদ্যুতের খুঁটি পড়ে ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। যার ফলে দুর্ঘটনা এড়াতে আবহাওয়ার খারাপ অবস্থা জানা মাত্র সংযোগ বন্ধ করতে হচ্ছে। এতে করে গ্রাহক ভোগান্তি বাড়ছে।

দেবহাটা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আসাদুজ্জামান জানান, সড়কের পাশে মড়া গাছ নিয়ে আমরা খুব ঝুঁকিতে আছি। না জানি কখন কি বিপদ হয়। মরা গাছগুলোর মালিকানা ও অনুমতি না হওয়ায় অপসরণ করা যাচ্ছে না। তবে সাধারণ জনগণের নিরাপত্তার স্বার্থে অতিঝুঁকিপূর্ণ গাছের ডাল কেটে সংশ্লিষ্ট ভূমি অফিস বা ইউনিয়ন পরিষদে সংরক্ষণ করার জন্য চেয়ারম্যানদেরকে মৌখিক অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে দুর্ঘটনা এড়াতে কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।

মন্তব্য করুন