
প্রকাশিত: ২৩ সেপ্টেম্বার, ২০২৫, ০৪:২৮ পিএম
অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক:
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময়ে সর্বোচ্চ ক্ষমতা প্রয়োগ করে পুলিশকে গুলি করার নির্দেশনা দিয়েছিলেন তৎকালীন ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান৷
২০২৪ সালের ১৭ জুলাই বেতার বার্তায় তিনি এই নির্দেশনা দিয়েছেন। সেই বেতার বার্তাটি আজ মঙ্গলবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ শোনানো হয়৷
আজ ট্রাইব্যুনালে সাক্ষী দিয়েছেন এএসআই কামরুল হাসান। ওয়্যারলেস অপারেটর হিসেবে ডিএমপির ক্রাইম কমান্ড অ্যান্ড কন্ট্রোল সেন্টারে কর্মরত রয়েছেন তিনি।
ট্রাইব্যুনালকে কামরুল বলেন, ডিএমপি কমিশনারের এই ওয়্যারলেস বার্তাটি তিনি বার্তাবাহক হিসেবে ঢাকার পুলিশের কাছে পাঠিয়ে দেন৷
অডিও বার্তায় ডিএমপি কমিশনারকে বলতে শোনা যায়, 'আমাদের সকল অফিসার যে যেখানে আছেন ডিউটি করছেন, আমাদের নিজের জীবন সম্পদ রক্ষা, অফিস আদালত রক্ষা, জনগণের জীবন সম্পদ রক্ষা করার জন্য আপনার সর্বোচ্চ ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারেন।
আমি বারবার...বলেছি, নির্দেশ দিয়েছি, আপনাদের স্বাধীনতা দিয়েছি যেখানে যেমন সিচুয়েশন সেভাবে... আপনারা করবেন। আপনারা নীলিং পজিশনে গিয়ে হাঁটু গেঁড়ে, হাঁটু গেঁড়ে কোমরের নীচে আপনারা গুলি করে দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনবেন। ওভার।'
সাক্ষ্যদান শেষে কামরুলকে জেরা করেন পলাতক সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী মো. আমির হোসেন।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন বিচারিক প্যানেলে জুলাই-আগস্টে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে ৫০তম সাক্ষী হিসেবে জবানবন্দি দেন কামরুল।
মন্তব্য করুন