রাবি প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৬ জুলাই, ২০২৪, ০৬:৪৯ পিএম

অনলাইন সংস্করণ

রাবির বঙ্গবন্ধু হলে ভাঙচুর করে ও আগুন দিল কোটা আন্দোলনকারীরা

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

চলমান কোটা আন্দোলনে সারাদেশের বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে শিক্ষার্থীদের উপর ছাত্রলীগ ও পুলিশের হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষার্থীরা। আজ মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) বেলা আড়াইটা থেকে এ প্রতিবাদ মিছিল শুরু হয়। এসময় বিক্ষুদ্ধ শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি দেখে ক্যাম্পাস থেকে পালায় শাখা ছাত্রলীগের ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুল্লা-হিল গালিবসহ অন্যান্য নেতা-কর্মীরা।

পালানোর সময় জিয়া হলের শিহাব নামের এক শিক্ষার্থী শিক্ষার্থীকে মেরে আহত করেন। ফলে আন্দোলনরতরা আরও বিক্ষুদ্ধ হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলে ভাঙচুর চালায় এবং মোটরসাইকেলে আগুন লাগায়। এসময় অন্তত ২০টি মোটরসাইকেল ভেঙে আগুন লাগিয়ে দেয়।

সরেজমিনে দেখা যায়, বেলা আড়াইটা বাজতেই বিভিন্ন হলে থাকা শিক্ষার্থীরা লাঠিসোঁটা নিয়ে সমবেত হতে থাকে। পরে বেলা পৌনে ৩টায় হলে থাকা শিক্ষার্থীরা মিছিল বের হতে থাকে। বিভিন্ন হল থেকে দলবেঁধে মিছিলে যোগ দেয় শিক্ষার্থীরা। এছাড়াও রাজশাহী মহানগরীর বিনোদপুর, কাজলা ও মির্জাপুর এলাকায় অবস্থানরত প্রায় দুই হাজার শিক্ষার্থী মিছিল নিয়ে যোগ দেয়। এদিকে রাবি শাখা ছাত্রলীগ অবস্থান নিয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের মাদার বখস হলের সামনে। পরে কোটা আন্দোলনকারীদের ব্যাপক উপস্থিতিতে পালিয়ে যায় ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা। পরে বেলা ৩টা ১০ মিনিটে উত্তেজিত শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের গেটের তালা ভেঙে হলের ভিতরে প্রবেশ করে। এসময় তারা অন্তত ২০ টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে আগুন দেয়। এছাড়াও বিক্ষুদ্ধ শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান বাবু ও সাধারণ সম্পাদক আসাদুল্লা-হিল গালিবের রুমসহ অন্তত ১০টি রুম ভাঙচুর চালায়। পরে বেলা  পৌনে ৩টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর, ছাত্র উপদেষ্টা ও হল প্রাধ্যক্ষের উপস্থিতি বের হয়ে যায়। এর আগে দুপুর তিনটার দিকে শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুল্লা-হিল গাক্যাম্পাস ত্যাগ করেছেন। এবং সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান বাবু বঙ্গবন্ধু হলের ছাদে অবস্থান নিয়েছেন।

নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক বঙ্গবন্ধুর হলের এক শিক্ষার্থীর বলেন, প্রথমে ছাত্রলীগের কয়েকজন লাঠিসোঁটা নিয়ে হলগেটে অবস্থান নিয়ে হলের গেটে তালা লাগিয়ে দেয়। পরে সাধারণ শিক্ষার্থীরা গেট ভেঙে ভিতরে প্রবেশ করে।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক বলেন, শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ সমাবেশ করতে যা যা প্রয়োজন আমিও ছাত্র উপদেষ্টা করেছিলাম। এরপরেও তারা এমন করেছে। এটা অত্যন্ত হতাশাজনক। তাদের সকলকেই বিচারের আওতায় আনা হবে।

 

মন্তব্য করুন