মাধবপুরে চুরি ডাকাতি বৃদ্ধি, প্রশাসনের নিরব ভূমিকা

মাঝে কিছুদিন বন্ধ থাকার পর আবারও চুরি ডাকাতি বৃদ্ধি পেয়েছে হবিগঞ্জের মাধবপুরে। অল্প কিছুদিনে উপজেলার কয়েকটি হাট বাজারে ও হাইওয়ে রোডে চুরি ও ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনায় অভিযোগ করে কোন লাভ না হওয়ায় বেশির ভাগ ভুক্তভোগী থানায় অভিযোগ করেন না বলে জানা গেছে। গত ১৭ জুলাই ঢাকা-সিলেট পুরাতন মহাসড়কে উপজেলার সুরমা চা বাগানের আমতলী এলাকায় সন্ধ্যা ৮টা থেকে ৯টা পর্যন্ত ঘন্টাব্যাপী ডাকাতি সংঘটিত হয়। এসব ডাকাত দলের সদস্যরা লাশবাহী গাড়ী সহ প্রায় ২৫/৩০টি ট্রাক, প্রাইভেট কার, সিএনজি, অটোরিক্সা,আটক করে প্রায় ১০ লক্ষ টাকা ও মোবাইল ফোন এবং মালামাল লুট করে নিয়ে গেছে বলে জানা যায়। একই রাতে উপজেলার তেলিয়াপাড়া বাজারে পার্কিং করা ছপু মিয়া, কামাল মিয়া ও ফারুক মিয়ার ট্রাক্টর থেকে ব্যাটারী খুলে নিয়ে যায় অজ্ঞাত চোর। এ ঘটনায় ট্রাক্টর মালিকরা থানায় অভিযোগ করে কোন লাভ হয়না বলে কোন অভিযোগ করেনি। গত ১৮ জুলাই উপজেলার চৌমুহনী বাজারের মুশারফ মিয়ার দোকানে দুর্ধষ চুরি হয়। দোকান থেকে প্রায় সাড়ে ৩ লাখ টাকার মালামাল দিয়ে যায় সংঘবদ্ধ চোর।

স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানান, গত ১ বছরে এই বাজারে অন্তত ১০টি চুরির ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনায় থানায় অভিযোগ করা হলেও আজ পর্যন্ত কোন চোর ধরা পড়েনি। এর আগে তেলিয়াপাড়া (নোয়াহাটি) বাজার থেকে শাহজাহানপুর গ্রামের শাহজাহান মিয়ার অটোরিক্সা থেকে ব্যাটারী খুলে নিয়ে যায় চোর। একই এলাকা থেকে সাধন ও রাজ্জাক মিয়ার সিএনজি অটোরিক্সার ব্যাটারী খুলে নিয়ে গেছে চোর চক্র। গত ২৯ মে দুই চোর একটি নতুন পিকআপ ভ্যান নিয়ে এসে সাংবাদিক আলমগীর কবিরের মালিকানাধীন ফজলুর রহমান ষ্টোরের সাটারের তালা ভেঙ্গে ভেতরে প্রবেশ করে নগদ ৪ লাখ ৭০ হাজার টাকা ও ৫ লাখ টাকার সিগারেট, একই রাতে মোদক পট্টিতে মের্সাস সুভাষ রায় স্টোরে তালা ভেঙ্গে প্রবেশ করে ১ লাখ ৮০ হাজার টাকার বিভিন্ন ব্যান্ডের সিগারেট চুরি করে নিয়ে যায়।