বরগুনায় নাশকতা মামলায় গ্রেপ্তার ৪০

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে পুঁজি করে দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানে অগ্নি সংযোগ সহ রাস্তাঘাটে জ্বালও পোড়াও  দুর্বৃত্তায়ন করে দেশে চরম বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা  দুর্বৃত্তদের নিয়ন্ত্রণ করতে সারাদেশে কারফিউ জারি করে সরকার। দেশের সম্পদ বিনষ্টকারী ও তাদের উষ্কানিদাতাদের চিহ্নিত করে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার শুরু করেছে বরগুনা জেলার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। 

অভিযানে অংশ হিসেবে বরগুনা জেলায় নাশকতার শংঙ্কায় ৩৮জন ও পুলিশ বাদী হয়ে করা এক মামলায় আরো ২জনসহ মোট ৪০জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বরগুনা জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোজাম্মেল হোসেন রেজা।

বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) দুপুরে জেলার ছয়টি উপজেলার সকল থানায় যোগাযোগ করে জানা গেছে, দেশে জরুরী অবস্থা জারির পর থেকেই নাশকতার আশংকায় গ্রেফতার হওয়া সকলেই পূর্বের নাশকতার মামলার আসামি। আটক হওয়ার মধ্যে বরগুনা সদর থানায় ৮জন, আমতলী থানায় ১, তালতলী থানায় ৫ জন, পাথরঘাটা থানায় ৬ জন, বামনা থানায় ৩ জন ও বেতাগী থানায় ১০ জন। এছাড়া জেলা গোয়েন্দা পুলিশ ৪জনকে গ্রেপ্তার করেছে। 

গত মঙ্গলবার বিকেল নাশকতা সৃষ্টির উদ্দেশ্যে একত্রিত হয়ে গোপন বৈঠক করার অভিযোগে    জেলার বামনা থানায় ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনে ১৫ (১) (ক) পুলিশ বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করে। এমামলায় সাইমুন ও আবু সালেহ নামে ২জনকে গ্রেপ্তার করা  হয়েছে। 

বামনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তুষার কুমার মন্ডল বলেন, মঙ্গলবার (২৩ জুলাই) বিকেল ৫টার দিকে উপজেলার সদর ইউনিয়নের আমতলী গ্রামে নাশকতা সৃষ্টির উদ্দেশ্যে জামায়েতর কিছু নেতাকর্মী একত্রিত হওয়ার  খবর গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পেয়ে অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানের খবর পেয়ে পুলিশ  ঘটনাস্থলে পৌঁছালে উপস্থিত জামায়েত নেতাকর্মীরা পালিয়ে যাওয়ার সময় সাইমুন ও আবু সালেহকে ঘটনাস্হল থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এসময় ঘটনাস্থল থেকে বেশ কিছু জিহাদী বই উদ্ধার করা হয়।

বরগুনা জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোজাম্মেল হোসেন রেজা বলেন, দেশের সম্পদ নষ্টকারী ও নাশকতার আশংকায় বরগুনা জেলার ৬টি উপজেলায় ৩৮জন ও বামনা থানায় দায়ের করা বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় আরো ২ জন সহ বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) পর্যন্ত মোট ৪০ জন গ্রেফতার করা হয়েছে। দেশের সম্পদ নষ্টকারী বাকী দুর্বৃত্ত ও নাশকতাকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।