
প্রকাশিত: ২৮ মে, ২০২৪, ০৬:১৯ পিএম
অনলাইন সংস্করণ
ঝিনাইদহ সদর উপজেলার হরিশংকরপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি খন্দকার ফারুকুজ্জামান ফরিদকে ধর্ষণ মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডসহ পাঁচ লক্ষাধিক টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে আরো ৬ মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।
আজ মঙ্গলবার (২৮ মে) দুপুরে ঝিনাইদহের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক মোঃ মিজানুর রহমান এই রায় প্রদান করেন।
আদালত সুত্রে জানা যায়, ২০২২ সালের ১৫ এপ্রিল খন্দকার ফারুকুজ্জামান ফরিদের নিজ গ্রাম সদর উপজেলার হরিদ্রাপুরে চম্পা খাতুন নামে এক নারী বিচার চাইতে আসলে তাকে মাদকদ্রব্য সেবন করিয়ে ধর্ষণ করেন।
এই ঘটনায় ১৯ এপ্রিল ওই নারী ঝিনাইদহ সদর থানায় মামলা দায়ের করেন। ধর্ষন মামলা থেকে বাঁচতে ওই নারীকে বিয়ে করার পরপরই তাকে তালাক দেন ফরিদ। ধর্ষিতা চম্পা খাতুন ঝিনাইদহ শহর সংলগ্ন পাগলাকানাই ইউনিয়নের কোরাপাড়া বটতলা পাড়ার ফারুক হোসেনের মেয়ে।
মামলার পরেও ফারুকুজ্জামান উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়ে হরিশংকরপুর ইউনিয়নে পূনরায় চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে থাকেন। তার কিছুদিন পরই ২০২২ সালের ১৬ এপ্রিল খন্দকার ফারুকুজ্জামান ফরিদকে সাময়িক বহিষ্কার করে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব জেসমীন প্রধান।
মামলাটি অধিকতর তদেন্তর জন্য ডিএনএ টেষ্ট করার জন্য ঢাকায় পাঠায় আদালত। ডিএনএ টেষ্ট রিপোর্টে নাম আসে ফরিদের। এ কারণে ঝিনাইদহ সদর উপজেলা আ. লীগ তাকে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতির পদ থেকে সাময়িক বহিস্কার করেন।
বিজ্ঞ আদালত সাক্ষ্য প্রমানের ভিত্তিতে প্রমানিত হওয়ায় তাকে দোষি সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও পাঁচ লাখ টাকা জরিামনা অনাদায়ে আর ও ৬ মাসের সশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেন এবং এই মামলায় ফরিদের গাড়িচালক চালক হুদা বাকড়ী গ্রামের ইউনুস মুন্সির ছেলে নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে দোষ প্রমানিত না হওয়ায় তাকে বেকসুর খালাস প্রদান করেন।
মন্তব্য করুন