
প্রকাশিত: ৩১ মে, ২০২৪, ০৬:২২ পিএম
অনলাইন সংস্করণ
ঘড়ি চুরির অভিযোগে মাদরাসার ছাত্রকে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে। রাতের আঁধারে দুই ঘন্টা ধরে হাত-পা বেধে চলে পাশবিক নির্যাতন। এরপরেও তাকে একটি রুমে আটকে রাখা হয়। এর পরে সুযোগ বুঝে ছাত্র তাওহীদ পালিয়ে ফিরে আসে তার এক আত্মীয়ের বাড়িতে।
গত ২৭ মে হাটফাজিলপুর মুহাম্মাদিয়া মাদরাসায় ঘটে এ ঘটনা। তাওহীদ হোসেন (৯) ঝিনাইদহের শৈলকূপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রয়েছে। না পারছে শুতে, না পারছে বসতে। সারা শরীরে আঘাতের চিহ্ন। হুজুরের ঘড়ি চুরির অভিযোগে তার হাত-পা বেধে রাত ১০ থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত চলে দুই শিক্ষকের পৈশাচিকতা।
তাওহীদের সাথে কথায় বলে জানা যায়, আমি চুরি করিনি, হুজুরের কাছে অনেক বলেছি তাও আমায় ছাড়েনি। মাদ্রাসায় আটকে রাখা রুম থেকে কৌশলে তাওহীদ পালিয়ে প্রথমে যায় তার ফুফু বাড়ি। এরপর বাবা-মাকে খবর দিলে তারা তাকে ২৯ মে শৈলকূপা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি কারে। তাওহীদের বাবা গতকাল (৩০ মে) দুই শিক্ষককে আসামি করে শৈলকূপা থানায় মামলা করলে পুলিশের আসামিদের গ্রেফতার করে।
বাবা মান্নান বিশ্বাস বলেন, বিচার ছাড়া কিছু চাই না। আমার ছেলে ওই মাদরাসায় ৩ বছর পড়ে। কখনই তারা আমাকে এই ধরনের কথা বলেনি। আমার ৪ ছেলে মেয়ে তাদের এমন ঘটনার কোনো রেকর্ড নেই। সব সময় শিক্ষকরা বলেছে ভালো ছেলে। ভালো করে পড়াশোনা করছে। কিন্তু তারা যে অভিযোগ এনেছে তা মিথ্যা।
শৈলকুপা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল কর্মকর্তা ডা. শোহেলি ইসলাম জানান, আগের চেয়ে রোগীর অবস্থা এখন অনেকটা ভালো।
ঝিনাইদহ শৈলকূপা ওসি সফিকুল ইসলাম চৌধুরী জানান, অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হওয়ায় আমরা দুই শিক্ষককে গ্রেফতার করেছি।
মাদরাসা সূত্রে জানা যায়, ৩ বছর আগে বাবা-মাতা ঝিনাইদহের শৈলকুপার হাটফাজিলপুর মুহাম্মাদিয়া মাদরাসায় দিয়েছিল ইসলামিক শিক্ষায় বড় হবে সে। মাদরাসার বর্তমান ছাত্রের সংখ্যা ২৫০ এর বেশি। তবে বোডিং থাকে ১০০ ছাত্র। মাদরাসাটি ২০০৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। তাওহীদের বাড়ি একই উপজেলার রঘুনন্দনপুর গ্রামে। তার বাবা একজন কৃষক
মন্তব্য করুন