
প্রকাশিত: ১৩ মার্চ, ২০২৪, ০২:৩৪ এ এম
অনলাইন সংস্করণ
ইফতারি রান্নার সময় চুলার আগুন কাপড়ে লাগে। শরীরের থাকা কাপড় থেকে আগুন নেভানোর আগেই তেলের দোকানে লেগে যায়। পুড়ে গেছে লরি, ট্রাক, ট্রাক্টরসহ দুটি দোকান। আগুনে দগ্ধ হয়েছেন নারীসহ তিনজন।
বগুড়ার ধুনট উপজেলার সোনাহাটা বাজারে ওই তেলের দোকানের আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের তিন উপজেলার পাঁচটি ইউনিট কাজ করে। প্রায় তিনঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
সোমবার বিকেলে ইফতার রান্নার সময় ব্যবসায়ী নীরবের তেলের দোকানে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। অগ্নিদগ্ধরা হলেন- তেলের দোকানের মালিক নীরব (৩৫), তার স্ত্রী মিথিলা (২৮) ও ছোট ভাই সবুজ। এদের মধ্যে মিথিলার অবস্থা গুরুতর। নীরব ও তার স্ত্রীকে প্রথমে ধুনট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়। পরে সেখান থেকে তাদেরকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। দোকান মালিকের ভাই সবুজকে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
ফায়ার সার্ভিস সুত্র জানায়, দোকানের আশেপাশে বাসা-বাড়ি থাকলে অগ্নিকান্ড আরও ভয়াবহ হতো। অগ্নিকান্ডে প্রাথমিকভাবে ক্ষয়ক্ষতির হিসাব করা হয়নি। দোকানের পাশে ফাঁকা স্থানে থাকা একটি লরি, একটি ট্রাক ও দুটি ট্রাক্টর পুড়ে গেছে। একটি মেকানিকের দোকানও আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ধুনট ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ভারপ্রাপ্ত স্টেশন অফিসার মো. হামিদুল ইসলাম বলেন, সোনাহাটা বাজারের পাশে তেলের দোকানের সাথে নীরব তার স্ত্রী মিথিলাকে নিয়ে বসবাস করেন। বিকেলে সেখানে ইফতারির আয়োজন করছিলেন মিথিলা। রান্নার সময় চুলা থেকে কোনোভাবে আগুন তার শরীরের কাপড়ে লাগে। সেটা নেভাতে গিয়ে তেলের ড্রামগুলোয় আগুন ধরে যায়।
বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল ফাড়ির এটিএসআই লালন হোসেন জানান, হাসপাতালে নীরব ও মিথিলাকে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। আগুনে তাদের শরীরের কতখানি অংশ পুড়ে গেছে তা এখনও জানা যায়নি। তবে অগ্নিদগ্ধ নারীর অবস্থা ভালো না।
মন্তব্য করুন