
প্রকাশিত: ১৫ ঘন্টা আগে, ১২:৪৪ পিএম
অনলাইন সংস্করণ
আনোয়ার হোসেন.নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
যশোর এক নারীকে স্ত্রী বলে দাবি করেছেন দুই পুরুষ। এ নিয়ে তাদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। পরে পুলিশ দুই জনকেই আটক করে কারাগারে পাঠিয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার (২৩শে সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টার দিকে যশোর শহরের চারখাম্বার মোড় এলাকায় এই ঘটনা ঘটেছে।
আটককৃতরা হলেন- ফরিদপুর জেলার সদর উপজেলার ভাটি কানাইপুর গ্রামের মৃতঃ নরেন্দ্র নাথ অধিকারী ছেলে বিকাশ অধিকারী এবং একই উপজেলার শোভারামপুর গ্রামের মৃতঃ অবনী মোহন কুন্ডুর ছেলে পলাশ কুমার কুন্ডু।
বিকাশ অধিকারী জানান, প্রায় আড়াই যুগ পূর্বে একই গ্রামের মৃতঃ কানাই লাল দত্তের মেয়ে সীমা অধিকারীকে সনাতন ধর্মীয় রীতি মত অনুযায়ী তিনি বিয়ে করেন। দাম্পত্য জীবনে এক ছেলে ও এক মেয়ের জন্ম হয়েছে। সুখেই সংসার জীবন পার করছিলেন তারা। এরই মধ্যে অসুস্থ সীমা অধিকারী চিকিৎসার জন্য ভারতে গিয়েছিলেন। গতকাল সেখান থেকে ফিরে বেনাপোল বন্দর হয়ে যশোর শহরের চারখাম্বার মোড়ের একটি অভিজাত আবাসিক হোটেলে পলাশ কুন্ডুর সাথে সীমা অধিকারী অবস্থান করছিলেন। গোপনে বিষয়টি জানতে পেরে বিকাশ অধিকারী যশোরে চলে আসেন। এসেই সেখানে তার স্ত্রী সীমা অধিকারীকে পলাশের সাথে ওই আবাসিক হোটেলে পেয়ে যান। এই সময়ে পলাশও সীমাকে স্ত্রী দাবি করছিলেন। এই নিয়ে বাকবিতণ্ডা একপর্যায়ে স্থানীয় লোকজন জড়ো হয়েযাই । এই সময়ে যেকেউ না কেউ জাতীয় সেবা ৯৯৯ নম্বরে ফেন দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ তাদের তিনজনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
অপরদিকে পলাশ কুমার কুন্ডু জানিয়েছেন, তিন বছর ধরে সীমার সাথে তার প্রেমের সম্পর্ক চলে আসছিল। সে কারণে সীমা তার প্রথম স্বামী বিকাশ অধিকারীকে তালাক দিয়েছে। পাশাপাশি পলাশের সাথে তার কালী বাড়িতে গিয়ে শাখা সিঁদুর পরে বিয়ে হয়েছে।
যশোর কোতোয়ালি মডেল থানার পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) নাসির উদ্দিন বলেন, জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বর থেকে কল পেয়ে যশোর চারখাম্বার মোড় থেকে বিকাশ ও পলাশ কে হেফাজতে নেওয়া হয়। কারণ তারা দুই জনেই সীমা নামের এক নারীকে স্ত্রী দাবি করে আসছিল। আর এই নিয়ে তাদের দুই জনের মধ্যে বাকবিতণ্ডা এমনকি মারামারির মতো ঘটনা ঘটতে যাচ্ছিল। এতে আইনশৃঙ্খলার চরম অবনতি হবে বলে দুই জনকে হেফাজতে নিয়ে সন্দেহ মূলক ১৫১ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এই ব্যাপারে যশোর কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসনাত খান জানান, এক নারীকে দুই পুরুষ স্ত্রী দাবি করায় উভয়ের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটতে যাচ্ছিল। ফলে দুইজনকে আটক করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। ওই নারী কার স্ত্রী সেটা যাচাই-বাছাই করে তারপর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানায়।
মন্তব্য করুন