প্রকাশিত: ৩ ঘন্টা আগে, ০৭:০২ পিএম

অনলাইন সংস্করণ

বেনাপোল পৌরসভার.ওয়ান স্টপ সার্ভিস সেন্টার চালু হলেও আলাদা কক্ষে চলে অফিস কার্যক্রম

 

আনোয়ার হোসেন, নিজস্ব প্রতিনিধি, যশোর:

 

পৌরসভায় বেনাপোল   ওয়ানস্টপ সার্ভিস সেন্টার” চালু হলেও আলাদা কক্ষেই চলে অফিস কার্যক্রমবেনাপোল পৌরসভায় “ওয়ানস্টপ সার্ভিস সেন্টার” চালু হলেও আলাদা কক্ষেই চলে অফিস কার্যক্রম

উন্নত মানের নাগরিক সেবার ব্রত নিয়ে ২০২৩-২৪ অর্থ বৎসরে পৌর সভা বেনাপোল ভবনে এক তলায় একই স্থানে সকল সোবা প্রদান কার্যক্রম পরিচালনার লক্ষ্যে প্রায় ২০০ কোটি টাকা ব্যায়ে এডিপির অর্থায়নে “ওয়ান স্টপ ”সার্ভিস সেন্টার চালু করা হয়েছে।

গত ২৪শে ডিসেম্বর ২০২৪ যশোর জেলা প্রশাসক মোঃ আজাহারুল ইসলাম ওয়ান স্টপ সার্ভিস সেন্টার শুভ উদ্বোধন করেন।এরপর হতেই পৌর নাগরিকেরা একই স্থানে সকল সেবা পেলেও বিগত কয়েক মাস যাবদ সেই আগের সেবা পাচ্ছেনা বলে অভিযোগ তুলেছেন। জরুরী সেবা নিতে সেবা প্রত্যাশীদের যেতে হচ্ছে আলাদা আলাদা রুমে। এই নিয়ে কৌতুহলসহ নানা প্রশ্ন জেগেছে সাধারণ জনমনে।

সরো জমিনে গিয়ে অভিযোগের সত্যতা মেলে। ওয়ানস্টপ সার্ভিস সেন্টারের অনেক গুলি খালি টেবিল চেয়ার পড়ে থাকলেও কেবল ট্রেড লাইসেন্স শাখা আর ট্যাক্স আদায় শাখার কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। পৌরসভায় কর্মরত অনেকের বিরুদ্ধে দ্রুত সেবা প্রদানে ঘুস বানিজ্যে জড়িত গুঞ্জন রয়েছে।

বেনাপোল পৌরসভায় সেবা নিতে আসা বেনাপোল ৪ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মাহামুদুল হাছান বলেন ওয়ানস্টপ সার্ভিস অফিস খালি পড়ে থাকলেও অন্য রুমে গিয়ে জরুরী সেবা কার্যক্রম প্রশ্নবিদ্ধ ও সন্দিহান এতে করে আমরা বিড়ম্বনায় পড়েছি।

এই বিষয়ে বেনাপোল পৌরসভার সচিব সাইফুল ইসলাম মুঠো ফোনে জানান,জায়গা স্বল্পতার কারণে কিছু সেবা আলাদা কক্ষে দেওয়া হচ্ছে। তাহলে ব্যায় বহুল ওয়ান স্টপ সার্ভিস সেন্টার চালুর প্রয়োজনীয়তা প্রশ্নের? জবাব এড়াতে তিনি পৌর প্রকৌশলির সহিত কথা বলতে বলেন।

একই কর্মস্থলে ১৬ বৎসরের অধিক সময় ধরে থাকা বেনাপোল পৌরসভার দূর্নীতিগ্রস্থ প্রকৌশলী মোশারফ হোসেনএর  সাথে যোগাযোগের চেষ্ঠা চালালেও সাক্ষাৎ না মেলায় বক্তব্য জানা যাইনী।

পৌরসভার “ওয়ানস্টপ সার্ভিস সেন্টার” এর মত ব্যায় বহুল প্রকল্প বাস্তবায়নের পূর্বে কেন জায়গা স্বল্পতাকে প্রাধান্য দেওয়া হয়নি জানতে চাইলে মুঠোফোনে বেনাপোল পৌরসভার বর্তমান প্রশাসক ডাঃ কাজী নাজিব হাসান বলেন এ ব্যাপারে বেনাপোল পৌরসভার সাবেক মেয়র বলতে পারবেন। ৫ই আগস্টের পরবর্তী সময়ে আমি বেনাপোল পৌরসভার দায়িত্বভার গ্রহণ করেছি।

উল্লেখ্য,পৌরবাসীর কাছ হতে বিনা রশিদে পানির সংযোগ লাইনের টাকা উত্তোলন পূর্বক তা পৌর তহবিলে জমা না দিয়ে আত্নসাতের চেষ্ঠা,পৌর এলাকার ভবন নির্মাণ কাজের অনুমোদনে অর্থ বানিজ্য, নিজ প্রতিষ্ঠানে সয়েল টেস্টের নামে টাকা হাতানো, ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান গুলোর কাছ হতে ঘুস বানিজ্যে কাজ পাইয়ে দেওয়া ও প্রকল্প ব্যায় বাড়ানো, কাজ শেষের পূবেই বিল পরিশোধে সহায়তা দেওয়ার মত একাধিক ঘটনায় প্রকৌশলী মোশারফ হোসেনএর নামে বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় খবর প্রকাশিত হলেও অজানা রহস্যে সে বেনাপোল পৌরসভায় বহাল থেকেই অনিয়ম-দূর্নীতির কর্মযজ্ঞ চালাচ্ছে।

 

মন্তব্য করুন