প্রকাশিত: ২ ঘন্টা আগে, ০৩:২৪ পিএম

অনলাইন সংস্করণ

নাগরপুরের গানের পাখি: হামিদুর রহমানের সুরেলা পথচলা

 

জুয়েল রানা নাগরপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধিঃ

টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার তেবাড়িয়া গ্রামের সন্তান মোঃ হামিদুর রহমান (আর.এম. হামিদ) গানের প্রতি ভালোবাসা আর সাধনাকে পাথেয় করে পাড়ি দিচ্ছেন এক অনন্য সুরের যাত্রা। ছোটবেলা থেকেই সংগীতের প্রতি অগাধ অনুরাগ তাকে নিয়ে গেছে গান ও সুরের গভীরে।

তেবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে লেখাপড়ার সূচনা, এরপর এস টি আই হাই স্কুল (তেবাড়িয়া) থেকে এসএসসি পাস করেন তিনি। কিন্তু তার অন্তরের টান ছিল গানের দিকে। সেই টান থেকেই সরকারি সংগীত কলেজ থেকে বিএ ও এমএ (সংগীত) ডিগ্রি অর্জন করেন।

গানের তালিম নিয়েছেন বহু গুণী ওস্তাদের কাছ থেকে। তার উল্লেখযোগ্য দুই গুরু হলেন ওস্তাদ রামেন্দ্রসুন্দর বোস এবং ওস্তাদ ইন্দ্রমোহন রাজবংশী। তিনি নিজেকে আজীবন গানের ছাত্র মনে করেন এবং বলেন, “আমি প্রতিনিয়ত শেখার চেষ্টা করি—ছোট বড় যেই হোক, ভালো জানেন এমন কারও কাছ থেকেই।”

২০০৯ সালে তার প্রথম একক অ্যালবাম ‘অন্তফ্রেম’ প্রকাশিত হয় এবং ২০১০ সালে ‘প্রার্থনাদ’ নামে একটি মিক্সড অ্যালবামে “কেন জোসনা ঢুইলা পড়ো” গানটি শ্রোতাদের হৃদয় ছুঁয়ে যায়, যার গীতিকার ও সুরকার ছিলেন কাজী আফজাল হোসেন।

এক যুগের বেশি সময়ের বিরতির পর আবারও গান নিয়ে ফিরেছেন হামিদ। শুরু করেছেন এক বিশাল প্রজেক্ট—১০০টি মৌলিক গানের। এই প্রজেক্টে থাকবে ফোক, আধুনিক, সুফি, আধ্যাত্মিক, বিচ্ছেদি ঘরানার গান। নিজের ইউটিউব চ্যানেল Tuneline Music থেকে শুরু করেছেন এই নতুন যাত্রা। ইতোমধ্যে “দেহ জমিন”, “ভবো সংসার”, “লীলা খেলা”, “যখন তুমি গান শোনাতে রাতে”—এই গানগুলো প্রকাশিত হয়েছে।

এই প্রজেক্টে হামিদের পাশাপাশি দেশের সুনামধন্য অনেক শিল্পীর কণ্ঠে প্রকাশ পাবে তার লেখা ও সুর করা গান। তার স্বপ্ন বাংলা গানকে বিশ্ব দরবারে পৌঁছে দেওয়া।

তিনি নাগরপুরবাসীসহ সারা দেশের মানুষের কাছে দোয়া চেয়ে বলেন, “আমি চাই বাংলা গানকে বুকে নিয়ে এগিয়ে যেতে, আর সবাই যেন বাংলা গানকে আরও বেশি ভালোবাসে।”

নাগরপুরের এই গুণী সংগীতসাধকের জন্য রইল অফুরন্ত শুভকামনা—তাঁর গানে বাঙালির হৃদয় হয়ে উঠুক আরো সুরভরা। 

মন্তব্য করুন