
প্রকাশিত: ৫ ঘন্টা আগে, ১০:২৪ পিএম
অনলাইন সংস্করণ
নোয়াখালী প্রতিনিধিঃ
নোয়াখালীতে টানা ভারী বর্ষণে জলাবদ্ধতা পরিস্থিতি আরও অবনতি হয়েছে। টানা বৃষ্টিতে জেলা শহর মাইজদীসহ জেলার বিভিন্ন উপজেলার বিস্তীর্ণ এলাকার রাস্তাঘাট, বাসা-বড়ি, দোকানপাট, ক্ষেত-খামার ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পানিতে তলিয়ে গেছে।
এ পরিস্থিতিতে জেলার সব মাধ্যমিক পর্যায়ের স্কুল-মাদ্রাসা ও প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করেছে জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি।
বুধবার (৯ জুলাই) দুপুরে জেলা প্রশাসক ও জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি খন্দকার ইশতিয়াক আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এতে বৃহস্পতিবার থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
জেলা আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, বুধবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় ২০২ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে। আরও বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
এ দিকে জেলা প্রশাসক ও জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি খন্দকার ইশতিয়াক আহমেদ জানিয়েছেন, পরিস্থিতি মোকাবেলায় জেলায় ৪৬৬টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
কবিরহাট ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার দুইটি আশ্রয় কেন্দ্রে ৫ শতাধিক মানুষ আশ্রয় নিয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে এাণ সামগ্রী বিতরণ করা। দুর্যোগ মোকাবেলায় পর্যাপ্ত পরিমাণ এাণ সামগ্রী মজুদ রাখা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, জেলার জলাবদ্ধতার সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে বুধবার জরুরি সভা করা হয়েছে। সভায় বর্তমান পরিস্থিতির আলোকে বৃহস্পতিবার জেলার মাধ্যমিক ও প্রাথমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর ক্লাস বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
মূলত গত দুইদিন ধরে প্রবল বর্ষণে জেলা শহর মাইজদীতে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, জেলা জজ আদালত, নোয়াাখালী সরকারি কলেজ, মহিলা কলেজ, জেলা জামে মসজিদ সড়ক ও টাউন হল মোড়, ফকিরপুর, হরিনারায়ণপুর, লক্ষী নারায়ণপুর, হাকিম কোয়ার্টার, সরকারি আবাসিক এলাকা সড়ক, মাইজদী হাউজিং এলাকা, মাইজদী নতুন হাউজিং এলাকা, পুলিশ সুপারের কার্যালয়, গণপূর্ত, সড়ক ও জনপথ বিভাগ, জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তর, জেলা কারাগারসহ বিভিন্ন অফিস আঙ্গিনাসহ বাসা-বাড়ি দোকানপাটে কয়েক ফুট পানির নিচে তলিয়ে গেছে।
এ এছাড়াও সুবর্ণচর, কবিরহাট, কোম্পানীগঞ্জ ও সেনবাগ উপজেলার বাড়ি-ঘর, রাস্তা-ঘাট, ক্ষেত ও খামারসহ বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়ে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। এতে কয়েক হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে সীমাহীন দুর্ভোগের মধ্যে পড়েছে।
মন্তব্য করুন