প্রকাশিত: ৪ ঘন্টা আগে, ০৯:৩০ পিএম

অনলাইন সংস্করণ

শেখ হাসিনার অডিও নিয়ে বিবিসির প্রতিবেদন

জুলাই-আগস্টের ঘটনাগুলো আইসিসিতে পাঠাতে বলল অ্যামনেস্টি, ন্যায্য বিচারের আহ্বান


 

আন্তর্জাাতিক ডেস্কঃ

ছাত্র আন্দোলন দমাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহারের অনুমোদন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাই দিয়েছিলেন–এমন অভিযোগের সত্যতা পাওয়ার কথা বলছে বিবিসি। 

সেই প্রসঙ্গটি নজরে এসেছে মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের।

বুধবার (৯ জুলাই) এক বিবৃতিতে অ্যামনেস্টি বলেছে, বিবিসির বিশ্লেষিত নতুন তথ্যে প্রমাণিত হয়েছে যে, বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে সংঘটিত বিক্ষোভের সময় একটি মারাত্মক দমনপীড়নের নির্দেশ দিয়েছিলেন বলে অডিও প্রমাণ পাওয়া গেছে।

 এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল কর্তৃপক্ষের প্রতি আবারও সহিংসতার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের জবাবদিহিতার আওতায় আনার আহ্বান জানাচ্ছে।

অ্যামনেস্টি বলেছে, ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে প্রকাশিত জাতিসংঘের একটি তদন্ত প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, 'বিক্ষোভের সময় প্রায় ১,৪০০ জন মানুষ নিহত হয়েছেন।

 যাদের অধিকাংশই বাংলাদেশের নিরাপত্তা বাহিনী কর্তৃক সাধারণত ব্যবহৃত সামরিক রাইফেল এবং মারাত্মক ধাতব পেলেট ভর্তি শটগানের গুলিতে নিহত হয়েছেন। আরও হাজার হাজার মানুষ গুরুতর, প্রায়শই জীবন-বদলানো আঘাতে ভুগেছেন।'

মানবাধিকার সংস্থাটি উল্লেখ করেছে, বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষকে অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে যে, এই সময়কালে সংঘটিত সকল মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে একটি স্বাধীন তদন্ত করা হবে এবং সহিংসতায় জড়িত ব্যক্তিদের পাশাপাশি যারা এটি নির্দেশ দিয়েছেন, তাদের বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ডের আশ্রয় না নিয়ে যথাযথ প্রক্রিয়া সুরক্ষার সঙ্গে একটি ন্যায্য বিচার নিশ্চিত করা হবে।

এছাড়া অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল দৃঢ়ভাবে অনুরোধ করেছে, অন্তর্বর্তী সরকার জাতিসংঘের প্রতিবেদনে দেওয়া সুপারিশ অনুসারে, ১ জুলাই থেকে ১৫ আগস্টের মধ্যে বাংলাদেশে সংঘটিত ঘটনাগুলো রোম সনদের ১৪ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুসারে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে (আইসিসি) পাঠানোর বিষয়টি বিবেচনা করুক।

এর আগে, এক প্রতিবেদনে বিবিসি জানায়, তাদের বিবিসি আই ইউনিট ফাঁস হওয়া একটি অডিও টেপ যাচাই করে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে অভিযেগের সত্যতা পেয়েছে।

 চলতি বছরের মার্চে অনলাইনে ফাঁস হওয়া ওই অডিওতে হাসিনাকে বলতে শোনা যায়, তিনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে 'প্রাণঘাতী অস্ত্র' ব্যবহারের অনুমতি দিয়ে বলেন, 'যেখানেই পাবে, গুলি করবে।'

 

মন্তব্য করুন