
প্রকাশিত: ১৭ ঘন্টা আগে, ১১:০৬ পিএম
অনলাইন সংস্করণ
সদরুল আইনঃ
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সংশোধিত অধ্যাদেশের গেজেট হাতে পেলেই ৩০০ সংসদীয় আসনের সীমানা নির্ধারণ করার কাজ দ্রুত শুরু করবে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
জাতীয় সংসদের নির্বাচনি এলাকার সীমানা নির্ধারণ অধ্যাদেশ ২০২৫ এর খসড়ার বিষয়ে উপদেষ্টা পরিষদের অনুমতি পাওয়ার পর বুধবার (৭ মে) ইসি সচিবালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব আখতার আহমেদ নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
ইসি সচিব বলেন, এখন পর্যন্ত ৬১টি সংসদীয় আসনের বিষয়ে ৪০৫টি আবেদন এসেছে। গেজেট হাতে পেলেই তারা কাজ শুরু করবেন। যত দ্রুত সম্ভব, আবেদনগুলো নিষ্পত্তি করা হবে বলেও জানান তিনি। এক্ষেত্রে সীমানা পুননির্ধারণে আইনে যেসব পন্থা আছে সেগুলোই অনুসরণ করা হবে।
ইসি সচিব আখতার আহমেদ বলেন, সীমানা নির্ধারণ আইনে একটা কাঠামো দেওয়াই আছে, সে অনুযায়ী সব ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কত সময়ের ভেতরে শেষ করা হবে এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, সময়ের বিষয়ে কমিশন সিদ্ধান্ত নিবে। তবে তারা দ্রুত কাজটি শেষ করতে চান বলেও জানান তিনি।
আরেক প্রশ্নের জবাবে ইসি সচিব বলেন, যারা আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণের আবেদন করেছেন, তাঁদের আবেদন করার জন্য ইসি অনুরোধ করেনি। নতুন করে কেউ যদি আবেদন করতে চান, করতে পারবেন। ইসি আবেদনের কোনো সময়সীমা দেয়নি।
বদিউল আলম মজুমদার নেতৃত্বাধীন নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন ২০০৮-২০২৩ সালের সীমানা নির্ধারণে বিতর্কের বিষয়টিও তুলে ধরে ভবিষ্যতে স্বাধীন সীমানা নির্ধারণ কমিশন গঠনের সুপারিশ করেছে।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে ব্যাপকভিত্তিক সীমানা পুনর্নির্ধারণের কাজ করা হয় ২০০৮ সালে। সে সময় জাতিসংঘের সহায়তায় একজন আন্তর্জাতিক সীমানা নির্ধারণ বিশেষজ্ঞকে নিয়োগ দিয়ে একটি গবেষণা করা হয়, যদিও ওই গবেষণার সব পরামর্শ গ্রহণ করা হয়নি।
মন্তব্য করুন