প্রকাশিত: ৯ ঘন্টা আগে, ১২:২৪ এ এম

অনলাইন সংস্করণ

মিরপুর বাংলা স্কুল এন্ড কলেজ

অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল


 

দৈনিক বর্তমান দেশবাংলা :

রাজধানীর পল্লবীতে মিরপুর বাংলা স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে দায়ের করা মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছে পুলিশ।

সম্প্রতি আদালতে দাখিল করা রিপোর্টে বলা হয়েছে, মোবাইল লোকেশন, কল রেকর্ড, ডিএনএ রিপোর্ট এবং সাক্ষীদের বয়ান থেকে প্রতীয়মান হয় যে ওই কলেজের অধ্যক্ষ মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল খোমনবীশকে (৪৫) পরিকল্পিতভাবে ফাঁসানোর অপচেষ্টা করা হয়েছে।

পুলিশ জানায়, ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর মিরপুর বাংলা স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ পদটি দখল করতে একটি গ্রুপ মরিয়া হয়। এরই জের ধরে গত বছরের ৩১ অক্টোবর প্রতিষ্ঠানটির সাবেক এক কর্মচারী বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনাল-২ আদালতে অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করেন। পরে এই মামলার তদন্তভার দেওয়া হয় পল্লবী থানা পুলিশকে।

আদালতে দাখিল করা চূড়ান্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, গত বছরের ১৭ জুলাই বিকাল ৩টার দিকে মিরপুর বাংলা স্কুল এন্ড কলেজের ২য় তলায় অধ্যক্ষের বাসায় বাদী ধর্ষণের শিকার হন। বাদীর ব্যক্তিগত মোবাইলের কললিস্ট সংগ্রহপূর্বক পর্যালোচনা করে দেখা যায়, ওই তারিখ ও সময়ে বাদী বা ভিকটিম মাদারীপুরের শিবচর এলাকায় অবস্থান করছিলেন।

এতে স্পষ্টতই প্রমাণ হয়, এটা একটা মিথ্যা সাজানো মামলা ছাড়া আর কিছুই নয়। একই সঙ্গে ভিকটিমের ডিএনএ পরীক্ষার রিপোর্টে ধর্ষণের কোনো আলামত মিলেনি।

এ ব্যাপারে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এস আই আলাউদ্দিন বলেন, এই মামলার সাক্ষীদের জবানবন্দি, ডিএনএ পরীক্ষা রিপোর্ট, মোবাইল লোকেশনসহ সংশ্লিষ্ট সকল তথ্য তদন্তের স্বার্থে যাচাই-বাছাই করি।

এই মামলার তানভীর শেখ নামে একজন সাক্ষী বলেন, ‘এ মামলার বিষয়ে মামলা হওয়ার আগে-পরে কিছুই জানেন না। যে বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না, সে বিষয়ে তাকে না জানিয়ে সাক্ষী করায় তিনি বিব্রত।

এর আগেই গত বছরের ১৯ জুন মামলার বাদীর বিরুদ্ধে পল্লবী থানায় একটি জিডি করেন। অথচ বাদী তাকে না জানিয়েই মামলার সাক্ষী করেছেন।’

তদন্ত কর্মকর্তা এসআই আলাউদ্দিন আরও বলেন, মামলা করার আগে কলেজ শাখার সাবেক শিফট কো-অর্ডিনেটর সাফকাত ইসলাম নিজামীর কাছে মামলার বাদী মোবাইল ফোনে অধ্যক্ষকে অশালীন ভাষায় গালাগাল করেন।

তখন বাদী অধ্যক্ষকে বলেন, আপনি আমার চাকরি খাইছেন। ক্ষতিপূরণসহ চাকরি ফেরত না দিলে আপনার বিরুদ্ধে মামলা করে ফাঁসাইয়া দিব।’ এই কথোপকথনের কল রেকর্ডও পেয়েছি। কল রেকর্ড সিআইডির ফরেনসিক ল্যাবে পরীক্ষা করে নিশ্চিত হওয়া গেছে।  এরকম ওই মামলার আরেক সাক্ষী মো. লতিফ মোল্লাও সাক্ষী দিতে গিয়ে বলেছেন, তাকে না জানিয়ে মামলার সাক্ষী করা হয়েছে।

এ বিষয়ে মিরপুর বাংলা স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল খোশনবীশ বলেন, ‘আমি একজন শিক্ষক। একটি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত মামলার মাধ্যমে আমাকে সমাজের চোখে হেয় করার অপচেষ্টা করা হয়েছে।

একজন শিক্ষকের সম্মান নিয়ে যারা এরকম ধর্ষণের মত জঘন্য অপরাধের অভিযোগ এনে আমাকে সামাজিকভাবে হেয় করার চক্রটিকে শনাক্ত করার দাবি জানাই।
 

মন্তব্য করুন