
প্রকাশিত: ২ ঘন্টা আগে, ০৫:০৩ পিএম
অনলাইন সংস্করণ
কোম্পানীগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
সিলেটের কোম্পানীগঞ্জের ধলাই সেতু রক্ষায় ২ দিনের ভিতরে উপজেলা প্রশাসন ও উর্ধ্বতন কতৃপক্ষ কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হওয়ায় পূর্বের ঘোষণা অনুযায়ী গতকাল সোমবার ও আজ মঙ্গলবার নৌপথ অবরোধ ও ধলাই সেতুর উপরে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন ধলাই সেতু রক্ষা কমিটি ও এলাকাবাসী।
১২ আগস্ট মঙ্গলবার সকাল ১০ ঘটিকা থেকে বিকাল ৪ ঘটিকা পর্যন্ত ধলাই নদীতে নৌপথ অবরোধ ও সেতুর উপরে অবস্থান কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এসময় এলাকাবাসী বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কাছে দাবি জানিয়ে বলেন: জনাব তারেক রহমান সাহেব-আপনার সিলেট জেলা যুবদল সাধারণ সম্পাদক মকসুদ আহমদ এর শেল্টারে আওয়ামী ডেবিল আলফু চেয়ারম্যান কে দিয়ে ধলাই সেতুর নিচ থেকে বালু উত্তোলনের করে সেতু ধ্বংস করে ফেলতেছে- আমরা এলাকাবাসী এই বিষয়ে হস্তক্ষেপ চাই।
বক্তারা তাদের বক্তব্যে বলেন চোখের সামনে ভোলাগঞ্জ রোপওয়ে (বাংকার) ধ্বংস হলো। প্রশাসন ও উর্ধ্বতন কতৃপক্ষ সেটি রক্ষায় ব্যর্থ হলো। এখন ধলাই সেতুর নিচ থেকে অবৈধ বালু উত্তোলনের ফলে সেতুটি হুমকির মুখে।আমরা দীর্ঘদিন যাবৎ ধলাই সেতু রক্ষার দাবিতে মানববন্ধন সহ বিভিন্ন কর্মসূচি করে আসছি। গত শনিবার প্রতিরোধ ও বিক্ষোভ মিছিল করেছি এবং পূর্বের ঘোষণা অনুযায়ী নৌপথ অবরোধ চলমান রয়েছে। আগামী বৃহস্পতিবার সমাবেশ করবো।
ধলাই সেতু রক্ষা কমিটির আহবায়ক পূর্ব ইসলামপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আলমগীর আলমের সভাপতিত্বে ও ধলাই সেতু রক্ষা কমিটির সদস্য সচিব মোঃ নিজাম উদ্দিনের পরিচালনায় ধলাই সেতু রক্ষা কমিটি ও এলাকাবাসীর আয়োজনে ধলাই সেতুর উপরে অবস্থান কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন ব্যবসায়ী হাজী সাহাব উদ্দিন, জেলা বিএনপির উপদেষ্টা এডভোকেট কামাল হোসেন, সিনিয়র সহ সভাপতি শওকত আলী বাবুল, নজির আহমদ,শুকুর আলী,সাধারণ সম্পাদক আলী আকবর,সহ সাধারণ সম্পাদক ফখরুল ইসলাম, বজলু মিয়া, জুয়েল আহমদ,মুক্তিযোদ্ধা দলের সাধারণ সম্পাদক আজির উদ্দিন, শ্রমিক দলের সভাপতি আবুল বাশার বাদশা, এডভোকেট আব্দুল্লাহ আল হেলাল,পূর্ব ইসলামপুর ইউনিয়নের সভাপতি ফখরুল ইসলাম, উত্তর রনিখাই ইউনিয়নের সভাপতি আলী আহমদ,শাহ নেওয়াজ লিটন,তাজ উদ্দিন, কুতুব উদ্দিন, এলাইছ আহমদ,সুলেমান তালুকদার, জয়নাল আবেদীন, এড.মখদ্দছ আলী,তেরা মিয়া,মাসুক মিয়া,সুনা মিয়া,মানিক মিয়া, ঈসা তালুকদার, উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব ইকবাল হোসেন সহ উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম থেকে আগত ও এলাকাবাসীর শ্রমিক-জনতা।
মন্তব্য করুন