প্রকাশিত: ৪ ঘন্টা আগে, ০৫:০৮ পিএম

অনলাইন সংস্করণ

বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশনে পাসপোর্ট যাত্রীর অতিরিক্ত পণ্যের শুল্ক ফাঁকি

 

আনোয়ার হোসেন, নিজস্ব প্রতিনিধি.যশোর:

বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশনে আগত ভারতীয় পাসপোর্ট যাত্রীদের ল্যাগেজ সুবিধায় আনা অতিরিক্ত পণ্যের শুল্ক ফাঁকিতে সহযোগিতা করছেন কাস্টমসের এক অসাধু কর্মকর্তা গনি। এতে সরকার রাজস্ব হারালেও, লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন এই কর্মকর্তা। স্থানীয় সূত্র জানা, রাজস্ব কর্মকর্তা গনির প্রত্যক্ষ ইন্ধনে সীমান্তবর্তী চিহ্নিত ল্যাগেজ ব্যাগেজ ব্যবসায়ীরা শুল্ক ফাঁকির পণ্য চালানে যেন মহোৎসবে মেতে উঠেছে।

 ১০ই মে ২০২৫, দুপুর ১২টা  থেকে ১টা ৩৫ই মিনিট পর্যন্ত রাজস্ব কর্মকর্তা গনিকে একাধিকবার ফোন দেওয়া হলেও তিনি রিসিভ করেননি। স্থানীয়দের তথ্যমতে, গোয়েন্দা লিটন, সাদীপুর গ্রামের মাসুদ, শরিফুল, আফজাল এবং বিজিবি সোর্স তরিকুলের সমন্বয়ে একটি চোরাচালানি সিন্ডিকেট গঠিত হয়েছে। এরা ভারতীয় পাসপোর্ট যাত্রীদের মাধ্যমে শাড়ি, থ্রি-পিস, কম্বল, মদ, জিরা, চকলেট, প্রসাধনী, ওষুধ, মেডিকেল ইকুইপমেন্টসহ নানা ধরনের পণ্য শুল্ক ফাঁকি দিয়ে প্রবেশ করাচ্ছে।

প্রত্যেক যাত্রীকে ব্যাগপ্রতি ৫ থেকে ১৫ হাজার টাকা গুনতে হয়, যার বড় অংশ যায় রাজস্ব কর্মকর্তা গনির পকেটে। প্রতিদিন ৩ থেকে ৪ শতাধিক ভারতীয় যাত্রী বিজনেস ভিসায় দেশে ঢুকে এসব পণ্য বিক্রি করে আবার ভারতে ফিরে যায়।

ঘটনার সত্যতা যাচাই করতে ইমিগ্রেশনে গেলে দেখা যায়, ল্যাগেজ ব্যবসায়ীরা মালামাল সারিবদ্ধভাবে রেখে সিন্ডিকেট সদস্যদের সঙ্গে চুক্তিতে লিপ্ত। অভিযুক্ত কর্মকর্তা গনি অবশ্য এসব অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, “সাংবাদিক ও স্থানীয়দের কিছু ছাড় দেওয়া লাগে।

অন্যদিকে, গত ৭ই মে ২০২৫, যশোর ৪৯ বিজিবির আইসিপি ক্যাম্পের সদস্যরা চেকপোস্ট এলাকায় অভিযান চালিয়ে ১৪ লাখ ৯৮ হাজার ৫০ টাকার ফেনসিডিল, শাড়ি, কম্বল, কসমেটিকস এবং খাদ্য সামগ্রী জব্দ করে। অধিকাংশ পণ্যই পাসপোর্ট যাত্রীদের ল্যাগেজ চেকিং কার্যক্রমে জব্দ হয় বলে জানা গেছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বেনাপোল কাস্টমস কমিশনার কামরুজ্জামানের মুঠোফোনে কল দেওয়া হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

শুল্ক ফাঁকির এই দৌরাত্ম্যে সরকার কোটি কোটি টাকার রাজস্ব হারালেও, সংশ্লিষ্ট উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ নিরব ভূমিকা পালন করছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। অপরদিকে, ল্যাগেজ ব্যবসায়ীদের কারণে সাধারণ যাত্রীদের দুর্ভোগ প্রতিনিয়ত বেড়েই চলেছে, কিন্তু দেখার কেউ নাই।

মন্তব্য করুন