
প্রকাশিত: ১৮ জুলাই, ২০২৪, ১২:২৮ এ এম
অনলাইন সংস্করণ
শিক্ষার্থীদের কোটা সংস্কার আন্দোলনে নিহত ছয়জনের স্মরণে বিএনপি আয়োজিত গায়েবানা জানাজা কর্মসূচিতে বাধা দেয় পুলিশ। এ সময় পুলিশ-বিএনপি মধ্যে মুখোমুখি অবস্থা বেধেযায়। একপর্ষায়ে, ব্যাপক লাটিপেটা করে ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে পুলিশ। অপরদিকে বিএনপি নেতাকর্মীরা পুলিশের দিকে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করেছে।
জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে বিএনপি এই কর্মসূচি আয়োজন করেছিল। বুধবার দুপুরের পর দেখা যায়, জায়গাটি মূলত পুলিশের নিয়ন্ত্রণে। বায়তুল মোকাররমে মুসল্লিদের ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে তল্লাশির পর। সেখানে বিএনপির বুদ্ধিবৃত্তিক সংগঠন জি৯-এর সাধারণ সম্পাদক শাখাওয়াত হোসেনসহ কয়েকজনকে আটকের খবরও পাওয়া যায়।
বায়তুল মোকাররমে জোহরের নামাজের পর বিএনপি গায়েবানা জানা কর্মসূচি পালন করে। এরপর দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর কিছু সময় বক্তব্য দেন। গণতন্ত্র মঞ্চের নেতা সাইফুল হক, জোনায়েদ সাকিসহ নেতা-কর্মীরা বায়তুল মোকাররমে ঢুকতে চেয়েছিলেন। তবে তাদের বাধা দেওয়া হয়।
কর্মসূচিতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লা বুরু, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, শহীদ উদ্দিন চৌধরি এ্যানি, সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, মাওলানা সেলিম রেজাসহ বেশ কিছু কেন্দ্রীয় নেতা অংশ নেন।
নামাজ শেষে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল বলেন, গায়েবানা জানাজায় অংশ নিতে মুসল্লিদের বাধা দেওয়া হয়েছে। তিনি এর নিন্দা জানান। তিনি আরও বলেন, সরকার ইচ্ছা করলে আলোচনার মাধ্যমে কোটা সমস্যার সমাধান করতে পারত। তা না করে বর্বরভাবে হামলা করে মানুষ হত্যা করা হয়েছে।
মির্জা ফখরুল কথা বলে মসজিদের উত্তর গেট থেকে বের হওয়ার পর সেখানে আগে থেকে উপস্থিত গণতন্ত্র মঞ্চ ও বিএনপির কিছু নেতা-কর্মী স্লোগান দেওয়া মাত্রই পুলিশ তাদের ধাওয়া করে। এরপর তারা ইটপাটকেল ছুড়তে শুরু করেন। পুলিশ পাল্টা রাবার বুলেট ছুড়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
এদিকে, রাজধানীর হানিফ ফ্লাইওভারের টোলপ্লাজায় আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। ফ্লাইওভারের কাজলা প্রান্তে এ ঘটনা ঘটে। দাউদাউ করে আগুন জ্বললেও ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে পারেনি ফায়ার সার্ভিস। শনির আখড়ায় বুধবার দিনভর ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে রাখার পর সন্ধ্যায় কোটা সংস্কার আন্দোলনে যুক্ত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ বাধে। এ সময় দফায় দফায় পাল্টাপাল্টি ধাওয়া হয়। রাত ১০টার পর সংঘর্ষ আর না হলেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও আন্দোলনকারীরা দুই দিকে অবস্থান নেয়। এতে ঢাকা–চট্টগ্রাম মহাসড়কে বন্ধ হয়ে যায় যান চলাচল।
মন্তব্য করুন