খুলনা ব্যুরো

প্রকাশিত: ২৭ মে, ২০২৪, ০৬:৪৪ পিএম

অনলাইন সংস্করণ

খুলনায় রেমালে ১ জনের মৃত্যু, ৪ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

খুলনা মহনগরীসহ জেলার ৯টি উপজেলয়া ঘুর্ণীঝড় রেমান এর তান্ডবে বটিয়াগাটার উপজেলার সুরখালী ইউনিয়ানে লাল চাঁদ মড়ল নামে এক ব্যাক্তি তার বাড়ীতে গাছচাপা পড়ে মূতুবরন করেছে । এ ছাড়া আর কোন মূতুর খবর পাওয়া যায়নি। খুলনা জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফীন এ প্রতিনিধিকে তার মূতুর খবর নিশ্চিৎ করেছেন। তিনি জানান ঘুর্ণীড়ে দাকোপ কয়রা পাইকগাছা উপজেলা সবচে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। মোট ৭২টি ইউয়নে ৪ লাখ ৫২ হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। ২১ হাজার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগস্থ হয়েছে এছারা রুপসা,তেরখাদা,ফুলতলা, দিঘলীয়া উপজেলায় ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তবে কম। তিনি জানান, আউস,আমন,সবজি, তরমুজ এর ক্ষেত সহ ১২ হাজার ৭শ হেক্টর জমি পানিতে তেলিয়ে গেছে। প্রকিত ক্ষয়ক্ষতি ঝড়ের প্রভাব না কমলে নিরপন করা সম্ভাব হচ্ছেনা। এদিকে খুলনা মহনগরীতে ঝড়ে তেমন ক্ষয়ক্ষতি না হলেও কাচা ঘড়বাড়ী, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, গাছপালা উপড়ে যানমাল ও লোকচলাচলে বিঘ্ন সৃস্টি হয়েছে। বিদুৎ ব্যাবস্থা ও ওয়াসার পানি সরবরহে আনিয়মিত হয়ে পড়েছে। গত রাত থেকে নগরীর সর্বত্র ঝড়ো হাওয়ায় লোকজন বাহিরে বের হচ্ছে কম। দুরপাল্লার য়ানবাহন চলাচল করছে না। সীমিত আকারে রিক্সা, ইজিবাইক ও থ্রি-হুইলার চলাচল করছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে।

কয়রা- ঘুর্ণীঝড় রেমান এর তান্ডবে কয়রা উপজেলায় স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি জোয়ারে উপজেলা সদর সহ প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে ভেড়ী বাঁধ, রাস্তাঘাট, ঘড়বাড়ী, গাছপলা,চিংড়ী ঘের,ফসলী জমি , শিক্ষাপ্রতিষ্টান,গবাদীপশুর ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। খুলনা -৬ আসনের সংসদ রশীদুরজ্জামন জানান, কয়রার দশহালিয়া, গিলাবাড়ী,উ: দ: বেদকাশীর পানি উন্নায়ন বোর্ডের ভেড়ী বাধে গত রাত থেকে স্বাভাবিক ঝড়ো হাওয়া ও জোয়ারে ক্ষয় ক্ষতি ব্যাপক হলেও এখনও সঠিক নেরুপন সম্ভব হয়নি। স্থানীয় জনপ্রতিধিরা গ্রামবাসিদের সংঙ্গে নিয়ে সারারাত ভেড়ী বাঁধ ভাঙ্গন স্থানে বালির বস্তা,বাসদিয়ে জোয়ারের পানি ঠেকানোর চেস্ট করে যাচ্ছে এবং তা চেস্টা অব্যাহত। এ আঞ্চলের সব চিংড়ী ঘেড়,ফসলীর সবজী ক্ষেত জোয়ারের পানিতে তলিয়ে গেছে এতে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। আনেক গবাদীপশু মারাগেছে । দেলুটি ইউনিয়েনে সকল পল্টি খামার ধংস হয়ে গেছে। এ উপজেলায় ঝড়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। গাছপালা উপড়েগেছে কয়রার ইএনও জানান , দশ হালিয়া ভেড়ী বাধের ব্যাপক ক্ষতির খবর পেয়ে তিনি পরিদর্শনে যাচ্ছেন। তিনি  জানান, এখনও পযন্ত প্রানহানীর খবর পাওয়া যায়নি। আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসেনি। উপজেলার ১১৬টি সাইক্লোন সেন্টারে ৩২ হাজার ৫শ’র ধারন খমতার মধে গতকাল রাতে ৬০ হাজার নারিী পুরুষ, শিশু আশ্রয় নিয়েছে। তাদের কে সুকনা খাবার ও চিকিৎসা সেবা দেওয়া হচ্ছে। তবে সংসদ ও ইএনও দুজনেই ঘুর্ণীঝড় রেমান এর প্রভাবে পরবতী জোয়াওে ব্যাপক ক্ষয় ক্ষতির আংখ্যা করেছেন।

পাইকগাছা-এ উপজেলার গাদাপাশা,কপিলমুনি, হরিঢালী, গদাইপুর, রাড়ুরী, চাদখালী এলাকায় ঘুর্ণীঝড় রেমান এর তান্ডবে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এখানে প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে ভেড়ী বাঁধ, রাস্তাঘাট, ঘড়বাড়ী, গাছপলা,চিংড়ী ঘের,ফসলী জমি, শিক্ষাপ্রতিষ্টান,গবাদীপশুর ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। স্থানীয় সংসদ জানান, জানমালের ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। ৬০এর দশকে পানি উন্নয়ন বোডের নিরমিত পোল্ড ও ভেড়ী বাঁধের মেরামত না করায় এ উপজেলার নদ নদীর তলদেশ উচু হয়ে গেছে ফলে জোয়ারের পানি উপচে লকালয় ঘড়বাড়ীতে প্রবেশ করে জানমালের ব্যপক ক্ষতি করছে। পাইকগাছার ইএনও জানান, উপজেলায় একটি পৌরসভা সহ ১০টি ইউনিনে ঘুর্ণীঝড় রেমান এর প্রভাবে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। তবে কোন প্রানহানির খবর এখনও পাওয়া জায়নি। উপজেলার ১০৮টি সাইক্লোন সেন্টারে ১২৫ হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছে।

দাকোপ-বটিযাঘাটাঃ এ দু উপজেলায় ঘুর্ণীঝড় রেমান ঘুর্ণীঝড়ে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে ব্যাপক। স্থানীয় সাংসদ ননী কুমার মন্ডর জানান, দাকোপের পাউবো’র ৩১ নং পোল্ডারের ১০ জায়গায় বাঁধের ব্যাপক আকারে ক্ষতি হযেছে।। ৩০ নং পোল্ডারের বুজবুনিয়া, শিয়ালডাঙ্গা, হালিয়া, চালনা পৌরসভাধনি বটবুনিয়া, কামিনীপাসিয়া, লক্ষিখোলা, পানখালি, কামারাবাদ এ জোয়ারে লবনপানিতে ঘরবাড়ী ও ফসরলী জমি, গাছপালা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, পশুসম্পদের ব্যাপক ক্ষতির সন্মূখীন হয়েছে। কালাবগীর ঝুলন্তপাড়া, নলীয়ানের বন বিভাগের অফিস পানিতে তলিযে গেছে। সুন্দরমহল গ্রাম সম্পূর্ণ পানির তলায় ডুবে রয়েছে। চিংড়ী মাচের গের, পোট্রি ফার্ম সম্পূর্ণ ধংস হয়েছে ঝড়ে। গরু বাছুর পানিতে তলিয়ে গেছে। তিনি জানান, এরাকায় যে ক্ষতি হয়েছে তাতে পুনরবাসনের জন্য ব্যপক তৎপরতা চালাতে হবে।

মন্তব্য করুন