প্রকাশিত: ৬ ঘন্টা আগে, ০৯:১২ পিএম

অনলাইন সংস্করণ

চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের বিক্ষোভ সমাবেশে

 


মোঃ একরামুল হক, হাটহাজারী চট্টগ্রাম প্রতিনিধি:

বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার মীর হেলাল‌ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার পুনরুদ্ধার আন্দোলন- সংগ্রামের নেতা তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার ও অপপ্রচারের দুঃসাহস দেখাবেন না। তারেক রহমান বাংলাদেশের মানুষের হৃদয়। তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার সহ্য করা হবে না। জনগণ জানে কারা এই অবৈধ শক্তি, কারা এই অপ্রচারের পেছনে কাজ করছে। তাদের এই ষড়যন্ত্রমূলক কর্মকাণ্ড থেকে সরে আসা উচিত। আহ্বান জানাব- সত্যের পথে আসুন, অন্যায়ের পথ পরিহার করুন। অন্যথায় এই অগণতান্ত্রিক অপশক্তি ইতিহাসের আঁস্তাকুড়ে নিক্ষিপ্ত হবে।
সরকারের নির্লিপ্ততায় সারাদেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতিতে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ বৃহস্পতিবার(১৭ই জুলাই) বিকাল ৩টায়, চট্টগ্রামে পুরাতন রেল স্টেশন এর সামনে চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের সাবেক সভাপতি মোশাররফ হোসেন দীপ্তি'র সভাপতিত্বে ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ শাহেদের সঞ্চালনায় মহানগর যুবদলের বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।


মীর হেলাল বলেন, 'সংস্কারের নামে জাতীয় নির্বাচন পেছানোর নতুন নতুন ফাঁদ তৈরি করা হচ্ছে। অথচ বিএনপির ৩১ দফা কর্মসূচিতেই সকল প্রকার গণতান্ত্রিক সংস্কারের রূপরেখা রয়েছে। নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্র করা হলে জনগণ তা প্রতিহত করবে। এ সময় জনগণের ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত সরকারই কেবল স্থায়ী সমাধান নিশ্চিত করতে পারবে।

প্রধান বক্তার বক্তব্যে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব নাজিমুর রহমান বলেন, 'দুটি ইসলামী দল ভারতের ‘র’ এর এজেন্ডা বাস্তবায়নে কাজ করছে। এরমধ্যে একটি ইসলামী রাজনীতিক দলের রক্তাক্ত ইতিহাস—পাকিস্তানি দোসর থেকে শুরু করে এরশাদ ও শেখ হাসিনার সহযোগী হিসেবে তাদের ভূমিকা বাংলাদেশের মানুষ ভুলে যায়নি।

সভাপতির বক্তব্যে চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের সাবেক সভাপতি মোশাররফ হোসেন দীপ্তি বলেন, দীর্ঘ ১৭ বছরের ফ্যাসিস্ট ও স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে গণতান্ত্রিক আন্দোলনে লাখো মানুষের ত্যাগ ও রক্তের বিনিময়ে যে ফ্যাসিবাদমুক্ত বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, তা আজ আবারও হুমকির মুখে।

বিএনপি দীর্ঘদিন ধরে জনগণের ভোটাধিকার ও গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠায় নিরলসভাবে সংগ্রাম করে এসেছে। এই পথচলায় হাজারো নেতাকর্মী জীবন দিয়েছেন, গুম ও মিথ্যা মামলার শিকার হয়েছেন। এমনকি দেশের একটি প্রধান রাজনৈতিক দলকে নিশ্চিহ্ন করার পরিকল্পনা যেমন নজিরবিহীন, তেমনি তা গভীর ষড়যন্ত্রের প্রমাণ বহন করে।

মহানগর যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ শাহেদ বলেন,
জাতীয় স্বার্থে সব রাজনৈতিক মতপার্থক্য পেছনে রেখে প্রফেসর ইউনুসকে প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। এ সময়েই দেশি-বিদেশি অপশক্তির মদদপুষ্ট একটি কুচক্রী মহল বিভ্রান্তিকর তথ্য ও অপপ্রচার ছড়িয়ে বিএনপির গণভিত্তিকে দুর্বল করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। বিশেষত লন্ডন বৈঠকের পর এই ষড়যন্ত্র আরও সুসংগঠিত রূপ নিয়েছে।
পুরান ঢাকার মিডফোর্ডের বিচ্ছিন্ন ঘটনাকে কেন্দ্র করে অস্থিরতা তৈরি এবং জাতীয় নির্বাচন বিলম্বিত করার অপচেষ্টা, যা সিলেক্টিভ প্রতিবাদ হিসেবে গ্রহণযোগ্য হতে পারে না।

এতে বক্তব্য রাখেন মহানগর যুবদলের সাবেক সিনিয়র সহ সভাপতি ইকবাল হোসেন, সাবেক সহ সভাপতি আজমল হুদা রিংকু, নুর আহমেদ গুড্ডু, এস এম শাহ আলম রব, শাহেদ আকবর, এম এ রাজ্জাক, ফজলুল হক সুমন, মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম, আবদুল গফুর বাবুল, সাহাবুদ্দিন হাসান বাবু, মোহাম্মদ মুছা, মিয়া মো. হারুন, হায়দার আলী চৌধুরী, জসিমুল ইসলাম কিশোর, মজিবুর রহমান, এডভোকেট ফিরোজ আলম, অরূপ বড়ুয়া, মোহাম্মদ আলী সাকি, সাবেক যুগ্ম সম্পাদক হাবিবুর রহমান মাসুম, মো. হুমায়ুন কবির, মো. সেলিম খান, ইকবাল পারভেজ, এরশাদ উল্লাহ, মো. এরশাদ হোসেন, দীপঙ্কর ভট্টাচার্য, তৌহিদুল ইসলাম রাসেল, শাহীন পাটোয়ারী, ইকরামুল হক ছুট্টো, হেলাল হোসেন, গুলজার হোসেন, রাজন খান, জাহাঙ্গীর আলম বাচা, ওসমান গনি, শাহজালাল পলাশ, মজিবুর রহমান রাসেল, আহাদ আলী সায়েম,bরাসেল নিজাম, সাবেক সম্পাদক মন্ডলী'র সদস্য নুর হোসেন উজ্জ্বল, জিল্লুর রহমান জুয়েল, মুহাম্মাদ সাগির, এডভোকেট নাজমুল হাসান সিদ্দিকী, জসিম উদ্দিন সাগর, গাজী ফারুক, মোহাম্মদ আলী, মহিউদ্দিন মুকুল, এস এম বখতেয়ার উদ্দিন, ইফতেখার শাহরিয়ার আজম, মোহাম্মদ ইকবাল, আসাদুজ্জামান রুবেল, সাবেক সহ সম্পাদক আতিকুর রহমান আতিক, মনোয়ার হোসেন মানিক, কমল জ্যৌতি বড়ুয়া, কামরুল ইসলাম, মনজুরুল আলম মঞ্জু, মোহাম্মদ শাহেদুল ইসলাম শাহেদ, জহিরুল ইসলাম জহির, হামিদুল হক চৌধুরী, মাস্টার ফজলুল রহমান, ইব্রাহিম খান, আনোয়ার হোসেন আনু, আরিফ হোসেন, ইয়াছিন আজাদ, মেজবাহ উদ্দিন মিন্টু, আবুল কালাম, নুরুল ইসলাম আজাদ, আনোয়ার হোসেন, সিরাজুল ইসলাম সিকদার, ইদ্রিস আলম, গোলজার হোসেন মিন্টু, মোহাম্মদ খোরশেদ, মোহাম্মদ রাশেদ, হোসেন জামান, মিজানুর রহমান দুলাল, মিফতাহ উদ্দীন সিকদার টিটু, মোহাম্মদ ইউসুফ, ফারুক হোসেন স্বপন,  জাহাঙ্গীর আলম মানিক, বেলাল উদ্দিন, সাবেক সদস্য আফসার উদ দোলা অপু, শাবাব ইয়াজদানী, মোহাম্মদ কলিম উল্লাহ, সোহাগ খাঁন, সাইফুল হক সিকদার, আব্দুল্লাহ আল মামুন, আব্দুস সাত্তার, আব্দুল করিম, আজিজ চৌধুরী, সাখাওয়াত কবির সুমন, থানা যুবদলের সাবেক আহবায়ক শফিউল আজম, বজল আহমেদ, গিয়াস উদ্দিন টুনু, কুতুব উদ্দিন, ইসমাইল হোসেন লেদু, খোরশেদ আলম, মোশাররফ আমিন সোহেল, হোসনে মোবারক রিয়াদ, মোহাম্মদ ইসমাইল, সাবেক সদস্য সচিব মোহাম্মদ হাসান, মনজুরুল আলম মঞ্জু, শওকত খান রাজু, শেখ রাসেল, আশিক মল্লিক আরসি, হাবিব উল্লাহ খান রাজু, মোহাম্মদ মুছা, এজেএম সোহেল, মুশফিকুর রহমান নয়ন, মোহাম্মদ রাশেদ, ইলিয়াস খান, নুর খান, মোহাম্মদ ইয়াছিন, সাইফুল আলম রুবেল, মোর্শেদ কামাল, সাজ্জাদ আহমেদসহ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

সমাবেশ শেষে এক বিক্ষোভ মিছিল পুরাতন রেল স্টেশন চত্বর থেকে শুরু হয়ে নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে আন্দরকিল্লা মোড়ে গিয়ে শেষ হয়।

মন্তব্য করুন