
প্রকাশিত: ৪ ঘন্টা আগে, ০৫:৪৮ পিএম
অনলাইন সংস্করণ
মোঃএনামুল হক পঞ্চগড় জেলা প্রতিনিধিঃ
পঞ্চগড়ে ভূমি দখল ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় দুই ব্যাংক কর্মকর্তা এবং এক কলেজ অধ্যক্ষকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এই মামলাটি দায়ের করেছিলেন বাংলাদেশ সচিবালয়ের অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মির্জা আব্দুল বাকী।
শনিবার (১২ জুলাই) বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেন পঞ্চগড় আদালতের কোর্ট ইন্সপেক্টর খান মো. শাহরিয়ার। তিনি জানান, বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) আদালতে জামিন নিতে এসে ঢাকা আগারগাঁও পরিবেশ ভবন শাখার অগ্রণী ব্যাংকের ম্যানেজার ফিরোজ উদ্দিন এবং প্রিন্সিপাল অফিসার শাহবুদ্দিন মাহমুদকে গ্রেফতার করা হয়।
অন্যদিকে, অর্থ আত্মসাৎ মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা থাকায় শুক্রবার (১১ জুলাই) কারাগারে পাঠানো হয়েছে পঞ্চগড়ের কারিগরি কলেজের অধ্যক্ষ মো. দেলদার হোসেন দিলুকে। তাকে ঢাকায় অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করে ডিএমপি’র একটি ডিবি টিম।
ভুক্তভোগী মির্জা আব্দুল বাকীর পরিবারের অভিযোগ, একটি সংঘবদ্ধ চক্র তার জমি দখলের লক্ষ্যে ভুয়া বায়নামা ও জাল এফিডেভিট তৈরি করে পঞ্চগড়ে তার নামে মিথ্যা মামলা দায়ের করে। পরে চক্রটি অগ্রণী ব্যাংকে ভুয়া একাউন্ট খুলে তার নাম ব্যবহার করে দেশের বিভিন্ন স্থানে (পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও, পাবনা ও বরিশাল) চেক পাঠিয়ে অর্থ উত্তোলনের চেষ্টা করে।
এক পর্যায়ে সোনালী ব্যাংক, পঞ্চগড় শাখায় ২০ লাখ টাকা উত্তোলনের চেষ্টাকালে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ সন্দেহ করে চেকটি বাতিল করে দেয় এবং মির্জা আব্দুল বাকীর সঙ্গে যোগাযোগ করে। এরপর বিষয়টি সামনে এলে তিনি আদালতে আনোয়ার হোসেন, জিয়াউর রহমান, জসিম উদ্দীনসহ ৬ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।পঞ্চগড় সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) আশিষ কুমার শীল জানান, অধ্যক্ষ দেলদার হোসেনের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাৎ মামলায় ওয়ারেন্ট ছিল। দীর্ঘদিন তিনি পলাতক ছিলেন। প্রযুক্তির সহায়তায় তার অবস্থান শনাক্ত করে ঢাকায় অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করা হয়।
মামলার তদন্তে সিআইডি রাজশাহী, পিবিআই ঠাকুরগাঁও ও পঞ্চগড় জেলা গোয়েন্দা শাখার কর্মকর্তা ও তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী, ব্যাংক কর্মকর্তা ফিরোজ উদ্দিন ও শাহবুদ্দিন মাহমুদের সহায়তায় ভুয়া একাউন্ট খুলে চক্রটি প্রতারণা চালিয়ে আসছিল।
এ ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট চক্রের আরও সদস্যদের খুঁজে বের করতে তদন্ত অব্যাহত আছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ।
মন্তব্য করুন