প্রকাশিত: ৭ ঘন্টা আগে, ০৮:১২ পিএম

অনলাইন সংস্করণ

আক্কেলপুরে কৃষকদল নেতার বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন

 

 

আক্কেলপুর (জয়পুরহাট)  সংবাদদাতা: 

জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলার  রোয়াড় আবাসন প্রকল্পের দশ বিঘার পুকুর ইজারা নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে পাল্টা সংবাদ সম্মেলন করেছেন আবাসন প্রকল্পের আরেকটি পক্ষ।

 

আজ রোববার সকাল এগারোটায় রোয়াড় আবাসন প্রকল্পে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। 

 

আবাসন প্রকল্পের বাসিন্দা আব্দুল হান্নান সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন। এসময় আবাসন প্রকল্পের একপক্ষের বাসিন্দারা ছাড়াও রুকিন্দীপুরর বিএনপির নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। 

 

 সংবাদ সম্মেলনে ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আমিনুর রহমান ছোয়াত ও উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক মাহমুদুল হাসান মুন্নার বিরুদ্ধে চাঁদার টাকা দাবি ও আবাসন প্রকল্পের সভাপতিকে মারধরের অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করা হয়।

 

  আবাসন প্রকল্পের বাসিন্দা  আব্দুল হান্নান লিখিত বক্তব্যে বলেন, আবাসন প্রকল্পের কয়েকজন বাসিন্দাদের সামনে রেখে  গোপনে কৃষক দলের নেতা  আবুল কালাম আজাদ আবাসনের দশ বিঘার পুকুর ইজারা নিয়েছেন। আবুল কালাম আজাদ আবার আওয়ামী লীগের দোসর শাকিলকে সঙ্গে নিয়েছেন। পুকুর ইজারার নয় লাখ টাকার মধ্যে দুই লাখ টাকা পুকুরপাড় সংস্কারের জন্য ইউএনও স্যারের কাছে জমা দেওয়ার কথা ছিল। পুকুরপাড় সংস্কারের দুই লাখ টাকা ইউএনওর কাছে জমা দেওয়া হয়নি। দাদন ব্যবসায়ী কৃষক দল নেতা আবুল কালাম আজাদ পুকুর সংস্কার সেই দুই লাখ টাকা আত্নসাতের চক্রান্ত করেন। তিনি  আবাসন প্রকল্পের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে ব্যবহার করে   বিএনপি ও স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতার বিরুদ্ধ চাঁদা চাওয়ার মিথ্য অভিযোগ তুলে সংবাদ সম্মেলন করেছেন। আমরা কৃষক দল নেতা আবুল কালাম আজাদ, আবাসন প্রকল্পের সভাপতি ইদ্রিস আলী ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহিমের শাস্তির দাবি করছি।

 

রুকিন্দীপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি  আমিনুর রহমান ছোয়াত বলেন, আবাসন প্রকল্পের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ একটি পক্ষকে হাত করে কৃষক দল নেতা ও কুখ্যাত দাদন ব্যবসায়ী  আবুল কালাম আজাদ পুকুর ইজারা নিয়েছেন। তিনি পুকুরপাড় সংস্কারের দুই লাখ টাকা আত্নসাত করার উদ্দেশ্যে আমার বিরুদ্ধে চাঁদা চাওয়ার অসত্য অভিযোগ তুলে আবাসনের একটি পক্ষকে দিয়ে সংবাদ সম্মেলন করিয়েছেন। 

 

    স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা মাহমুদুল হাসান মুন্না বলেন, আমি গ্রামের মানুষের পক্ষে কথা বলতে গিয়েছিলাম এ কারনে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা চাঁদা চাওয়ার অভিযোগ তুলেছে।  পুকুরপাড় সংস্কারের দুই লাখ টাকা কৃষকদল নেতা আবু কালাম আজাদ আত্নসাতের জন্য আমার বিরুদ্ধে চাঁদা চাওয়ার মিথ্য অভিযোগ তুলেছে। আমি চক্রান্তকারীদের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবি করছি।

    কৃষক দলের নেতা আবু কালাম আজাদ বলেন,আবাসন প্রকল্পের বাসিন্দাদের কাছ থেকে নিয়মনীতি মেনে পুকুর লীজ নিয়েছি। আমার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ মিথ্যা ও বানোয়াট।

মন্তব্য করুন