মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ২২ মার্চ, ২০২৪, ০২:৩৫ এ এম

অনলাইন সংস্করণ

মুন্সীগঞ্জে গুদাম থেকে চাল সরিয়ে খাদ্য পরিদর্শক আটক

ইনসাইটে উপজেলা খাদ্য পরিদর্শক সৈয়দ সফিউল আজম। ছবি সংগৃহীত

মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় রসুলপুর খাদ্য গুদাম থেকে রাতের আঁধারে ২৫০টন চাল সরানোর অভিযোগে উপজেলা খাদ্য পরিদর্শক সৈয়দ সফিউল আজমকে আটক করেছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) দুপুরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে আটক করে পুলিশ।

সরিয়ে ফেলা ওই চালের বাজার মূল্য প্রায় ১ কোটি ১৫ লক্ষ টাকার বেশি বলে জানা গেছে। বিষয়টি জানাজানি হলে ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে এলাকায়।

গজারিয়া উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা আনোয়ার পারভেজ বলেন, বৃহস্পতিবার বিকালে গিয়ে দেখা যায়, খাদ্য গুদামের ৪নং ভবনটি সিলগালা করেছে প্রশাসন। বাহির থেকে কোনো গাড়ি এবং খাদ্য গুদামের সাথে সংশ্লিষ্টদের খাদ্য গুদাম এলাকায় প্রবেশ করতে সাময়িকভাবে নিষেধ করা হয়েছে। গুদাম থেকে প্রায় ২৫০ মেট্রিক টন চাল সরানো হয়েছে। সরিয়ে ফেলা চালের আনুমানিক বাজার মূল্য ১ কোটি ১৫ লক্ষ টাকা।

উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা আনোয়ার পারভেজ আরও বলেন, এই উপজেলায় দায়িত্ব গ্রহণের পর গত ১৯ মার্চ আমি রসুলপুর খাদ্য গুদাম পরিদর্শনে যাই। এসময় ৪নং ভবন পরিদর্শনের সময় মজুদকৃত চালের পরিমাণ অনেক কম দেখতে পাই। মজুদকৃত চালের পরিমাণ ৪৩১ মেট্রিক টন হওয়ার কথা থাকলেও বাস্তবে অনেক কম পাওয়া যায়। বিষয়টি আমার সন্দেহ হলে খোঁজখবর নিয়ে নিশ্চিত হই এখান থেকে অধিকাংশ চালের বস্তা সরিয়ে ফেলা হয়েছে। গত ১২ মার্চ থেকে গুদামের হাজিরা খাতায় স্বাক্ষরও নেই। বিষয়টি আমি লিখিত আকারে আমার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবহিত করেছি। এ ঘটনায় এক খাদ্য পরিদর্শককে আওতায় আনা হয়েছে। এ ঘটনায় আরো কেউ জড়িত আছে কিনা সেটি আমরা খতিয়ে দেখছি।

বিষয়টি সম্পর্কে গজারিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জনাব কোহিনুর আক্তার বলেন, সদ্য যোগদান করা উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা লিখিত আকারে বিষয়টি আমাকে জানিয়েছেন। গুদামে মজুদকৃত চালের পরিমাণে বড় ধরনের গরমমিল পাওয়া গেছে। গুদামের দায়িত্বে থাকা খাদ্য পরিদর্শক সৈয়দ শফিউল আজমকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে।

গজারিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ রাজিব খান বলেন, উপজেলা প্রশাসনের নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা এক কর্মকর্তাকে থানা হেফাজতে নিয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

মন্তব্য করুন