
প্রকাশিত: ৭ ঘন্টা আগে, ০৩:০৯ পিএম
অনলাইন সংস্করণ
’
সিঙ্গাইর (মানিকগঞ্জ) সংবাদদাতাঃ
নিজ আইডি ব্যবহার করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একাধিক শিক্ষার্থীকে কুপ্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে উপজেলা সহকারী মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান খানের বিরুদ্ধে।
তিনি সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা পদে মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলায় কর্মরত আছেন।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা হলেন, সিংগাইর পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
এ ঘটনা অভিভাবকরা রোববার (১৩ জুলাই) ও মঙ্গলবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কামরুল হাসানের কাছে পৃথকভাবে লিখিত অভিযোগ করেন।
ওই অভিযোগ তদন্তে গঠিত হয়েছে তিন সদস্যের কমিটি। উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এস. এম. আব্দুল্লাহ বিন শফিককে তদন্ত কমিটির প্রধান করা হয়েছে। সবশেষ বিষয়টি তদন্তে উভয়পক্ষকে নিয়ে বৈঠকে বসেন তদন্ত কর্মকর্তা।
এস. এম. আব্দুল্লাহ বিন শফিক বলেন, এ ঘটনায় উভয়পক্ষকে নিয়ে বৃহস্পতিবার আমার কার্যালয়ে তদন্ত করেছি। অভিযুক্ত কর্মকর্তা সময় চেয়েছেন। তদন্ত শেষ হয়নি, এখনো রিপোর্ট জমা দেইনি।
শিক্ষার্থীদের পরিবারের সদস্যদের ভাষ্য অনুযায়ী, তাদের মেয়ে সিংগাইর পাইলট উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী। বয়স ১৩ বছর।
উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান খান তার ব্যক্তিগত ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে মেয়েদের মোবাইল নম্বরে ও ফেসবুক মেসেঞ্জারে নানা সময় আপত্তিকর বার্তা ও কুপ্রস্তাব পাঠান। মেয়েদের কাছ থেকে তারা বিষয়টি জানতে পারেন।
এক ভুক্তভোগী বলেন, একজন সরকারি কর্মকর্তা হয়ে এমন অনৈতিক ও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড অত্যন্ত দুঃখজনক। এ ঘটনায় মেয়েরা মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছে। তারা এখন চরম ভীত ও হতাশাগ্রস্ত। দ্রুত তদন্ত করে তার বিরুদ্ধে শাস্তি দাবি জানাচ্ছি।
তাছাড়া উপজেলার এক নারী কর্মকর্তা বলেন, মনিরুজ্জামান খান এ ধরনের বাজে আচরণ আমার সঙ্গেও করেছে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবু বকর সিদ্দিকী বলেন, একজন শিক্ষা কর্মকর্তা হিসেবে মেয়েদের সঙ্গে এটা করা ঠিক হয়নি। আগেও তার সম্পর্কে এমনটা শোনা গেছে।
সহকারী শিক্ষা মাধ্যমিক কর্মকর্তা মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান খান নিজের দোষ স্বীকার করে বলেন, আপনি তো সবই জেনেছেন? তদন্তে আমি আমার দোষ স্বীকার করেছি, না করার উপায় নেই।
স্কুল না হয়ে অন্যক্ষেত্রে হলে হয়তো সেক্রিফাইস করতো। ইউএনওসহ এরা কেউ সেক্রিফাইস করবে না। আমি অন্যায় করেছি, ডিপার্টমেন্ট আমাকে শাস্তি দেবে। কিন্তু অন্যের পত্রিকা আর আপনার পত্রিকা এক না, সংবাদটি আপনার পত্রিকায় না দেওয়ার জন্য অনুরোধ করছি।
ইতোপূর্বে এক নারী কর্মকর্তার সাথে বাজে আচরণের অভিযোগ সত্য কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ওটা ইয়ার্কি-ফাইজলামি করেছিলাম। পরে সেটা সংশোধন করে ফেলছি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. কামরুল হাসান সোহাগ বলেন, অভিযোগটি গুরুত্বের সঙ্গে গ্রহণ করা হয়েছে। সহকারী কমিশনার তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন