প্রকাশিত: ৬ ঘন্টা আগে, ০৮:০৭ পিএম

অনলাইন সংস্করণ

পঞ্চগড়ে শিশুর গলায় ছুরি ধরে মাকে গণধর্ষণ, গ্রেফতার ৪

 

পঞ্চগড় জেলা প্রতিনিধি:

পঞ্চগড়ে দেড় বছর বয়সী ছেলের গলায় ছুরি ধরে মাকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ৪ যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
৫ জুলাই শনিবার বিকেলে এ ঘটনায় ওই ভুক্তভোগী নারী বাদী হয়ে পঞ্চগড় সদর থানায় ধর্ষণ মামলা করেছেন। এর আগে, শুক্রবার দিবাগত রাতে পঞ্চগড় সদর উপজেলার তিন মাইল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
গ্রেফতাররা হলেন- সদর উপজেলার সদর ইউনিয়নের জগদল বাজার এলাকার জনি ইসলাম (২৭), বিপ্লব হোসেন (২৫), মকছেদুল ইসলাম (৩৩) এবং সাতমেড়া ইউনিয়নের বদিনাজোত এলাকার সাদেকুল ইসলাম (২৮)।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ও মামলা সূত্রে জানাযায় পঞ্চগড় সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লা হিল জামান বলেন, শুক্রবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে ৯৯৯ নম্বরে ফোন পেয়ে দ্রুত সাড়ে তিন মাইল এলাকায় যাই। সেখানে অচেতন অবস্থায় এক নারী এবং তার সঙ্গে থাকা একটি দেড় বছরের ছেলে শিশুকে উদ্ধার করে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়।
ধর্ষণের শিকার ওই নারী বলেন, আমার ছেলের হঠাৎ ডায়রিয়া হওয়ার কারণে রাতে বাবার বাড়ি জগদলের উদ্দেশে বোদা উপজেলার জেমজুট এলাকা থেকে গাড়িতে করে পঞ্চগড়ে আসি। এরপর জগদলের অটোতে (ব্যাটারি চালিত থ্রি হুইলার) করে তিনমাইল পর্যন্ত আসি।
এসময় আমাদের অটোর পেছনে থাকা এক পরিচিত অটোচালক আমাকে নামতে বলে। আমি অটো থেকে নামার সাথে সাথে ৬টা ছেলে কেউ আমার হাত, কেউ মুখ, কেউ গলা চেপে ধরে একটা চা পাতার বাগানে নিয়ে যায়। তাদের কাছে আমি অনেক আকুতি মিনতি করি। আমি যেন না চিৎকার করি সেজন্য আমার ছোট বাচ্চার গলায় ছুড়ি ধরে, তখন আমি নিরুপায় হয়ে যাই। আমি ছয়জনের মধ্যে চার জনকে চিনতে পারি। তারা চলে যাওয়ার সময় আমার মুখে কি জানি স্প্রে করলো, তারপর আর কিছু বলতে পারি না।
ধর্ষণের শিকার ওই নারীর বড় ভাই বলেন, রাত দেড়টায় পুলিশের মাধ্যমে খবর পেয়ে হাসপাতালে গিয়ে দেখি বোনের শরীরে অনেক রক্ত ছিল। অজ্ঞান অবস্থায় ছিল। আমার বোনের সঙ্গে যারা এমন অমানবিক কাজ করেছে, আমি তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী করছি।
পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা. আব্দুল কাশেম বলেন, পুলিশ অচেতন অবস্থায় একজন নারীকে হাসপাতালে নিয়ে আসে। তার শারীরিক নির্যাতনের আলামত পাওয়া গেছে। প্রয়োজনীয় আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে। আপাতত তিনি শারীরিকভাবে স্থিতিশীল রয়েছেন।
পঞ্চগড় সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লা হিল জামান বলেন, ওই নারীর জ্ঞান ফিরে এলে তিনি ঘটনার বিস্তারিত জানান। তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী এখন পর্যন্ত চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদের ধরতে অভিযান অব‍্যাহত রয়েছে।

মন্তব্য করুন