
প্রকাশিত: ২ ঘন্টা আগে, ১২:৪৯ পিএম
অনলাইন সংস্করণ
সদরুল আইনঃ
দেশ জুড়ে বয়ে যাচ্ছে প্রচণ্ড তাপপ্রবাহ। জ্বালাপোড়া গরমে জনজীবনে হাঁসফাঁস অবস্থা। তাতানো রোদ্দুরে পুড়ছে জনপদ।
উত্তপ্ত বাতাসে ছড়াচ্ছে আগুনের হলকা। ভ্যাপসা গরমে ঘরে-বাইরে অস্বস্তিকর দশা। হিটওয়েভে আক্রান্ত হচ্ছে অনেকে। হিট স্ট্রোক, পানিশূন্যতা, ত্বকের সমস্যা, মাথাব্যথা ও বিভিন্ন অসুস্থতা নিয়ে হাসপাতালে রোগী বাড়ছে। টানা চার দিন এই অবস্থা চলছে।
বর্তমানে সিলেট ছাড়া দেশের বাকি ৬৩টি জেলায় মৃদু থেকে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে গেছে। দেশের সর্বোচ্চ ৪১.৮ ডিগ্রি তাপমাত্রায় পুড়ছে চুয়াডাঙ্গা। তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে রাজধানী ঢাকায়ও। ৩৯.৯ ডিগ্রি তাপমাত্রায় রাজধানীতে ছিল বছরের উষ্ণতম দিন।
গতকাল রোববার জামালপুর, নেত্রকোনা, শেরপুর, ময়মনসিংহসহ কয়েকটি অঞ্চলে প্রচণ্ড কালবৈশাখী হয়েছে। বজ্রপাত ঘটেছে। চার জেলায় বজ্রপাতে ১০ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। বিকালে রাজধানীর আকাশে মেঘ ঢেকে যায়।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশিদ বলেন, আজ সোমবার ঢাকাসহ, রংপুর, রাজশাহী ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
দেশের উত্তর ও পূর্বাঞ্চল থেকে এই বৃষ্টি ধীরে ধীরে দক্ষিণ ও পূর্বাঞ্চলের দিকে যাবে। কোথাও কোথাও গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি হতে পারে। ঢাকায় বৃষ্টি না হলেও আকাশ মেঘলা থাকতে পারে। আজ সারা দেশের তাপমাত্রা কমে আসবে।
তিনি বলেন, দেশের উত্তর ও পূর্বাঞ্চল থেকে এই বৃষ্টি ধীরে ধীরে দক্ষিণ ও পূর্বাঞ্চলের দিকে যাবে।
এদিকে তীব্র উষ্ণতার পর প্রাকৃতিক নিয়মে বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড়ের শঙ্কা দেখা দিয়েছে। আগামী ২৩ থেকে ২৮ মের মধ্যে এ ঘূর্ণিঝড়টি সৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদ মোস্তফা কামাল পলাশ।
এ ঘূর্ণিঝড়টির সম্ভাব্য নাম ‘শক্তি’। এটি শ্রীলঙ্কার প্রস্তাবিত নাম। কানাডার সাসকাচোয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়া ও জলবায়ু গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশ জানান, বঙ্গোপসাগরে একটি ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির প্রবল আশঙ্কা করা যাচ্ছে মে মাসের ২৩ থেকে ২৮ তারিখের মধ্যে।
ঘূর্ণিঝড়টি ভারতের ওড়িশা উপকূল ও বাংলাদেশের চট্টগ্রাম উপকূলের মধ্যবর্তী যে কোনো স্থানের ওপর দিয়ে স্থলভাগে আঘাত করার প্রবল আশঙ্কা করা যাচ্ছে ২৪ থেকে ২৬ মের মধ্যে।
তবে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও খুলনা বিভাগের ওপর দিয়ে স্থলভাগে আঘাত করার সম্ভাবনা অপেক্ষাকৃত বেশি।
বাংলাদেশ ওয়েদার অবজারভেশন টিম (বিডব্লিউওটি) জানিয়েছে, ১৬ থেকে ১৮ মের মধ্যে সাগরে একটি সিস্টেম তৈরি হতে পারে। এরপর সেটি ধাপে ধাপে লঘুচাপ, নিম্নচাপ, গভীর নিম্নচাপ হয়ে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে।
ঘূর্ণিঝড়টি যদি বাংলাদেশের দিকে এগিয়ে আসে, তাহলে উপকূলীয় এলাকায় ঝড়ো হাওয়া, ভারী বৃষ্টি এবং জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কা রয়েছে।
মন্তব্য করুন