প্রকাশিত: ৬ ঘন্টা আগে, ০২:৪৫ পিএম

অনলাইন সংস্করণ

সেনাবাহিনী রাজনীতিতে নাক গলাতে পারবে না: প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী

 

সিনিয়র রিপোর্টার:

সেনাবাহিনী রাজনীতিতে নাক গলাতে পারবে না বলে মন্তব্য করেছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব।

 তিনি বলেন, ‘আজকের দুনিয়ায় কোনো সভ্য দেশের সেনাবাহিনী রাজনীতি করে না।’

শুক্রবার (২৩ মে) সকালে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে এসব কথা বলেন তিনি।

ফয়েজ তৈয়্যব বলেন, ‘সেনাবাহিনীকে প্রাপ্য সম্মান দেখাতে হবে, আস্থায় রাখতে হবে। তবে এই প্রশ্নে হুট করে কিছু করা যাবে না, হঠকারী কিছু করা যাবে না। তেমনি, ইনক্লুসিভনেসের নামে আওয়ামী লীগের পুনর্বাসনও চাওয়া যাবে না।’

তিনি বলেন, ‘সেনাপ্রধান ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন চেয়ে যে বক্তব্য দিয়েছেন, তা তার এখতিয়ার লঙ্ঘন। জুরিশডিকশনাল কারেক্টনেস তিনি রক্ষা করতে পারেননি।’

স্ট্যাটাসে তিনি স্পষ্ট করে বলেন, প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস পদত্যাগ করছেন না। তার ক্ষমতার দরকার নেই, কিন্তু একটি শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক ট্রানজিশনের জন্য তাকে প্রয়োজন।

প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যবের ফেসবুক স্ট্যাটাসটি হুবহু তুলে ধরা হলো:

“প্রধান উপদেষ্টা পদত্যাগ করবেন না।

অধ্যাপক ডক্টর মুহাম্মদ ইউনূসের ক্ষমতা প্রয়োজন নেই, কিন্তু বাংলাদেশের জন্য, বাংলাদেশের শান্তিপূর্ণ ডেমোক্রেটিক ট্রানজিশনের জন্য ড. ইউনূস স্যারের দরকার আছে।

বরং ক্যাবিনেটকে আরও গতিশীল হতে হবে। সরকারকে আরও বেশি ফাংশনাল হতে হবে, উপদেষ্টাদের আরও বেশি কাজ করতে হবে, দৃশ্যমান অগ্রগতি জনতার সামনে উপস্থাপন করতে হবে-এ ব্যাপারে কোনো দ্বিমত থাকতে পারে না। 

আমাদের দেখাতে হবে যে, গণ-অভ্যুত্থান পরবর্তীতে জনতার সম্মতিতে ক্ষমতায় এসে প্রফেসর সাফল্য দেখিয়েছেন।

বিশ্ব সম্প্রদায়ের কাছে ড. মুহাম্মদ ইউনূস এর সম্মান আছে, এটা রক্ষা করা আমাদের দায়িত্ব।

আমি মনে করি, সরকারকে এখন থেকে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আরও নিবিড়ভাবে আলোচনায় বসতে হবে, নিয়মিত বসে এবং বিভিন্ন বিষয়ে তাদের মতামত চাইতে হবে। কোনো ধরনের বিচ্ছিন্নতা কাম্য নয়।

পাশাপাশি সেনাবাহিনীও রাজনীতিতে নাক গলাতে পারবে না। আজকের দুনিয়ায় কোনো সভ্য দেশের সেনাবাহিনী রাজনীতি করে না। তাই ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের বক্তব্যে সেনাপ্রধান জুরিশডিকশনাল কারেক্টনেস রক্ষা করতে পারেননি। 

তবে সেনাবাহিনীকে প্রাপ্য সম্মান দেখাতে হবে, আস্থায় রাখতে হবে। সেনাবাহিনী প্রশ্নে হুট করে কিছু করা যাবে না, হঠকারী কিছু করা যাবে না। 

তেমনি, ইনক্লুসিভনেসের নাম করে আওয়ামী লীগের পুনর্বাসনও চাওয়া যাবে না। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী আমাদের গর্ব এবং আস্থার জায়গা-সেটা কেউ ভঙ্গ করবে না।

সকল দরকারি প্রস্তুতি শেষ করে নির্বাচন এপ্রিল-মে’র মধ্যেই অনুষ্ঠিত হবে বলেই আশা করি। এ সময়ে সকল যৌক্তিক সংস্কার সম্পন্ন করতে হবে, করতে হবে জুলাই সনদ।

জুলাই-আগস্ট’ ২৫ এ আমরা জাতীয়ভাবে দুই মাস জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের এক বছর পূর্তির উদ্‌যাপন করব, ইনশা আল্লাহ এবং আগস্টের মধ্যেই স্বৈরাচারী খুনি হাসিনার বিচারের প্রথম রায়টি আলোর মুখ দেখতে পাবে বলেও আশা প্রকাশ করি।

ইনশা আল্লাহ আমরা হারব না, আমাদের হারানো যাবে না।

ইনকিলাব জিন্দাবাদ।

প্রফেসর ইউনূস জিন্দাবাদ।

বাংলাদেশ জিন্দাবাদ।”

 

 

 

মন্তব্য করুন