
প্রকাশিত: ২৭ এপ্রিল, ২০২৫, ১০:৩৯ এ এম
অনলাইন সংস্করণ
আনোয়ার হোসেন, যশোর:
যশোর জেলায় ৬২টি রাইস মিলের লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে। আমন ধান মৌসুমে সরকারি খাদ্যগুদামে চাল সরবরাহের জন্য চুক্তি না করায় তাদের বিরুদ্ধে এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, চুক্তি অনুযায়ী চাল সরবরাহ না করায় অনেক মিল মালিকে জামানতের অর্থ কর্তন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন খাদ্য বিভাগ।
সূত্র জানান, যশোর জেলায় সরকারি খাদ্যগুদামে চাল সরবরাহের জন্য মোট ১৬৩টি মিলের সঙ্গে চুক্তি হয়। এর মধ্যে ১০১টি মিল চাল সরবরাহে সম্মত হয়। কিন্তু বারবার তাগিদ দেওয়ার পরেও বাকি ৬২টি মিল চুক্তি করেনি। লাইসেন্সপ্রাপ্ত মিলগুলোর জন্য চুক্তি বাধ্যতা মূলক হলেও, এসব মিল মালিক গত বছরের ডিসেম্বরে ব্যাখ্যা চেয়ে পাঠানো চিঠির সন্তোষজনক জবাব দেওয়ায়।
জেলা খাদ্য বিভাগ জানিয়েছে, গেল আমন ধান মৌসুমে যশোর জেলায় ১৪ হাজার ২৪৭ টন সিদ্ধ চাল ও ৮০১ টন আতপ চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। তবে মিল মালিকদের অসহযোগিতার কারণে মাত্র ৭ হাজার ৩৭০ টন চাল সংগ্রহ সম্ভব হয়েছে। এর ফলে আমন মৌসুমের চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়নি।
বাতিল হওয়া ৬২টি লাইসেন্সের মধ্যে ১০টি অটো রাইস মিল এবং ৫২টি হাস্কিং রাইস মিল রয়েছে। চুক্তি অনুযায়ী চাল সরবরাহ না করায় অনেক মিলারের জামানতের অর্থ কর্তন করা হয়েছে।
এদিকে, চুক্তিবদ্ধ কয়েকজন মিলার নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, সরকার ৪৭ টাকা কেজি দরে চাল কিনছে, অথচ বাজারে চালের দাম অনেক বেশি। এইজন্য তারা বারবার চালের সরকারি সংগ্রহ মূল্য বাড়ানোর দাবি জানিয়ে ছিলেন, কিন্তু সরকার সে দাবি আমলে নেয়নি। ফলে নির্ধারিত মূল্যে চাল সরবরাহ করলে তাদের পুঁজির ক্ষতি হচ্ছে।
জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক সেফাউর রহমান জানায়, ৬২ মিলারের লাইসেন্স চলতি মাসে বাতিল করা হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে ‘অত্যাবশ্যকীয় খাদ্যশস্য সংগ্রহ, ব্যবস্থাপনা ও নিয়ন্ত্রণ আদেশ, ২০২২’-এর ৭ ও ৮ নম্বর বিধান অনুযায়ী এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানান।
মন্তব্য করুন