
প্রকাশিত: ১৯ মার্চ, ২০২৪, ০৮:২০ পিএম
অনলাইন সংস্করণ
মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলার ২৮৩ বোতল ফেন্সিডিল পাচার ও হেফাজতে রাখার অপরাধে স্বপন মন্ডল (৩২) ও বাপ্পি দাস (২৫) নামে দুই আসামীকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরো ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।
মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) দুপুর ১ টায় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ১ম আদালতের বিচারক মোতাহারাত আখতার ভুইয়া এ রায় ঘোষণা করেন। কারাদণ্ড প্রাপ্ত আসামীরা হলেন লৌহজং উপজেলার ঝাউটিয়া গ্রামের নারায়ণ মণ্ডলের ছেলে স্বপন মন্ডল ও একই গ্রামের শ্রী হরিদাসের ছেলে বাপ্পি দাস।
রায় ঘোষণার সময় আসামি স্বপন মন্ডল আদালতে হাজির হলে রায় ঘোষণার পর তাকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেওয়া হয়। এসময় অপর আসামি বাপ্পি দাস আদালতে অনুপস্থিত ছিলেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেন আদালতের বেঞ্চ সহকারী মোজাফফর আলী।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০১৫ সালের ২২ জুন রেইডিং পার্টির সদস্যরা র্যাব-১১ সিপিসি-১ কোম্পানি মুন্সীগঞ্জ ক্যাম্পের টহল সিসি নং ১৫৮১/১৫ মূলে লৌহজং উপজেলায় ডিউটি করাকালীন সময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে, উপজেলার কনকসার গ্রামের জনৈক নারায়ণ দাসের বসত বাড়ির উত্তরে মাওয়া- লৌহজং পাকা রাস্তার ফুটপাতের উপর মাদক ব্যবসার জন্য আসামি স্বপন মন্ডল অবস্থান নিয়েছে। এসময় রাত ১১ টার দিকে র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে স্বপন মন্ডল দৌড়ে পালানোর চেষ্টাকালে তাকে আটক করে ১৩৩ বোতল ফেন্সিডিল উদ্ধার করে। এসময় স্বপন মণ্ডলের দেখানো মতে বাপ্পি দাসের বাড়িতে গিয়ে একই তারিখে রাত সাড়ে ১১ টার দিকে র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে বাপ্পি দাস পালিয়ে যায়। এসময় তার বসত ঘর তল্লাশি করে ১৫০ বোতল ফেন্সিডিল উদ্ধার করে র্যাব।
এ ঘটনায় জেসিও ৭২৩৭ (ডিএডি) আব্দুল মোতালেব (বিজিবি) বাদী হয়ে ২০১৫ সালের ২৩ জুন লৌহজং থানায় মাদক আইনে মামলা করে আসামি স্বপন মন্ডলকে আদালতে পাঠানো হয়। পরে আসামি বাপ্পি দাসকে কৌশলে গ্রেফতার করা হয়। আসামি ২জনেই জামিনে মুক্ত থেকে আদালতে হাজির থাকেন। মামলা চলাকালে ৮ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যর ভিত্তিতে আদালত আসামিদ্বয়কে দোষী সাব্যস্ত করে এ কারাদণ্ডের রায় দেন।
এ ব্যাপারে সরকার পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট অজয় কুমার চক্রবর্তী জানান, ২৮৩ বোতল ফেন্সিডিল উদ্ধার করা মামলায় আজ রায় ঘোষণা করেন আদালত। এসময় ২জন আসামি প্রত্যেককে দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরো ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের রায় দেওয়া হয়। বিচারকের রায়ে সরকার পক্ষে আমরা সন্তুষ্ট পোষণ করছি।
মন্তব্য করুন