প্রকাশিত: ৬ ঘন্টা আগে, ০৭:২২ পিএম

অনলাইন সংস্করণ

পঞ্চগড়ে মরিচের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশী উৎপাদন

 


মোঃএনামুল হক  পঞ্চগড় প্রতিনিধিঃ


পঞ্চগড়ে এবার লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি মরিচের আবাদ হয়েছে। তবে বাজারে দাম ভালো না পাওয়ায় হতাশ হয়েছেন মরিচ চাষীরা।
পঞ্চগড় জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, পঞ্চগড়ে চলতি অর্থবছরে ৯ হাজার ১৪৫ হেক্টর জমিতে মরিচের চাষ করা হয়েছে। পঞ্চগড়ে এবার স্থানীয় জাতের জিরা, বাঁশগাইয়া, বালিঝুরি, পানিসেকা জাতের মরিচ এবং হাইব্রীড জাতের হটমাষ্টার, মল্লিকা এবং বিজলী প্লাস জাতের মরিচের আবাদ অনেক হয়েছে।
সদর উপজেলার দিঘল গ্রামের কৃষক আবুল হোসেন বলেন, মরিচ আবাদে জমি চাষ, বীজ, সার, কীটনাশক, সেচ এবং মজুরি খরচ অনেক বেশি। আমি দুই বিঘা জমিতে মরিচ আবাদ করেছি। আশা করছি দুই বিঘার মরিচ রোদে শুকালে ১৮-২০ মণ হবে। বর্তমানে মরিচের দাম কম। দাম বাড়লে মরিচ বিক্রি করবো তাতে দাম বেশী পাওয়া যাবে।
মাগুড়া প্রধান পাড়া গ্রামের কৃষক শাহিদুল বলেন, আমি এরার ৩৯ শতক জমিতে মরিচের আবাদ করেছি। এবার ফলন ভালো হয়েছে। আমি ৫১০০ টাকা মণ দরে দুই মণ মরিচ বিক্রি করেছি। বর্তমানে মরিচের দাম কম। আশা করছি যেগুলো আছে ৮ থেকে ৯ মণ হবে সেই মরিচ গুলোর দাম বেশী পাবো।
মাগুরা মার্কেটের মরিচ ব্যবসায়ী দুলাল বলেন, গত বছর মরিচের দাম ভালো ছিল। কিন্তু এবার মরিচের দাম কম। দাম বাড়লে কৃষকের পাশাপাশি আমরা ব্যবসায়ীরাও লাভবান হবো আশা করছি।
পঞ্চগড় জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবিদ আব্দুল মতিন বলেন, পঞ্চগড় জেলায় এবছর মরিচের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৮ হাজার ৯৪০ হেক্টর। আবাদ হয়েছে ৯ হাজার ১৪৫ হেক্টর। যেটা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি।
গত বছর মরিচের দাম ভালো পেয়ে এরার মরিচ চাষে কৃষকরা আরো বেশি উদ্বুদ্ধ হয়েছেন। এছাড়া স্থানীয় বাঁশগাইয়া জাতের মরিচ বেশি আবাদ হয়েছে। সেটির ছাল মোটা, মরিচটাও মোটা। ছাল পুরু হওয়ায় এ জাতের মরিচ প্রতি বিঘায় ৮ থেকে ১০ মন ফলন হয়। আমরা কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে কৃষকদেরকে বিভিন্ন ধরনের রোগ বালাই সম্পর্কে পরামর্শ দিয়ে থাকি এবং কৃষকদের পরামর্শ প্রদান করে থাকি।

মন্তব্য করুন