প্রকাশিত: ২৩ ঘন্টা আগে, ০৮:২৭ পিএম

অনলাইন সংস্করণ

পঞ্চগড়ে বিচারপ্রার্থীদের বিশ্রামাগার 'ন্যায়কুঞ্জ'র উদ্বোধন

  মোঃ এনামুলহক পঞ্চগড় জেলা প্রতিনিধিঃ

পঞ্চগড় জেলা ও দায়রা জজ আদালত চত্বরে বিচারপ্রার্থীদের বিশ্রামাগার 'ন্যায়কুঞ্জ' এর উদ্বোধন করা হয়েছে।
সোমবার সকালে বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি কে.এম. হাফিজুল আলম ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথি হিসেবে ন্যায়কুঞ্জের উদ্বোধনী বক্তব্যে বলেন, বিচারপ্রার্থীদের আদালত প্রাঙ্গণে অবস্থানকালে স্বস্তি এবং তথ্য সহায়তা প্রদানের জন্য এই ন্যায়কুঞ্জ বিশ্রামাগার এবং তথ্য ও সেবা কেন্দ্র গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এখানে বিচারপ্রার্থীরা প্রয়োজনীয় সহায়তা পাবেন এবং জেলা লিগ্যাল এইড অফিসের মাধ্যমে আরও সহায়তা নিতে পারবেন।
ন্যায়কুঞ্জে মিনি কনফেকশনারি, পুরুষ ও মহিলাদের জন্য পৃথক টয়লেট, মাতৃদুগ্ধ পান কেন্দ্র এবং বিশ্রামের জন্য পর্যাপ্ত আসনের ব্যবস্থা রয়েছে। এদিকে, তথ্য ও সেবা কেন্দ্রের উদ্বোধনের খবর পেয়ে সাধারণ সেবা প্রত্যাশীরা সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, "তথ্য ও কাগজপত্র পেতে আগে থানার পুলিশ, কোর্ট ইন্সপেক্টর অথবা আইনজীবীদের কাছে যেতে হতো। যদি এই তথ্য ও সেবা কেন্দ্র নিয়মিতভাবে তথ্য সরবরাহ করে, তবে এটি আমাদের জন্য অনেক উপকারে আসবে।"
সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইমদাদুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. নুরুজ্জামান। জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জাহিদ হাসানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন জেলা ও দায়রা জজ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মাসুদ পারভেজ, পিপি আদম সুফি, জেলা আইনজীবী সমিতির আহ্বায়ক মাহবুব উল হোসেন।
এর আগে, সহকারী জজ মো. তারেকুজ্জামান পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত এবং সহকারী জজ কল্যাণ রায় গীতা পাঠের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু করেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ এসএম রেজাউল বারী, মো. কামরুজ্জামান, জেলা লিগ্যাল এইড অফিসার লিমেন্ট রায়, জিপি আব্দুল বারী, স্পেশাল পিপি জাকির হোসেন, গণপূর্ত অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মাহিদুর রহমানসহ বিচারক, আইনজীবী, গণমাধ্যম কর্মী, বিচারপ্রার্থী এবং বিচার বিভাগের কর্মকর্তারা ও কর্মচারীরা।
পরে, প্রধান অতিথির পক্ষে সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ ফলক উন্মোচন এবং আদালত চত্বরে একটি বৃক্ষ রোপণ করেন।
একতলা ৮০০ বর্গফুটের এই ভবনটির নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ৫২ লাখ ৫৪ হাজার টাকা। ভবনটিতে রয়েছে অপেক্ষামান কক্ষ, ক্যান্টিন, পুরুষ ও মহিলাদের পৃথক টয়লেট, ব্রেস্ট ফিডিং কর্ণার। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করেছে গণপূর্ত অধিদপ্তর।

মন্তব্য করুন