
প্রকাশিত: ৬ ঘন্টা আগে, ০৫:৫৭ পিএম
অনলাইন সংস্করণ
‘পিতার কাঁধে সন্তানের লাশ’ পৃথিবীতে সবচাইতে ভারী বস্তু। আর সেটা যদি হয় ছোট ছোট কোমলমতিদের লাশ তাহলে তা বহন করা আরও দুঃসাধ্য বলে’ মন্তব্য করে বাংলাদেশ ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি বলেছেন, ‘ছুটির পর যে স্কুল ক্যাম্পাস থাকতো কোলাহলে মুখর তা ভেসে গেল আর্তনাদে। স্কুল ছুটির পর জীবন থেকেও ছুটি নিলো কোমলমতিরা। মুহূর্তেই তারা হয়ে গেলো আকাশের তাঁরা। বিষাদে ছেয়ে গেল আকাশ-বাতাস। এতো শোক সহ্য করা বড়ই কঠিন।’
তিনি বলেন, ‘দেশে একের পর এক দুর্ঘটনা ঘটেই চলেছে, একের পর এক তাজা প্রাণ চলে যাচ্ছে। কিছুদিন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে টেলিভিশনের পর্দা থেকে শুরু করে চায়ের দোকানে সরগরম থাকে এসব ইস্যুতে। প্রশাসন থেকে নেওয়া হয় নানান পদক্ষেপ, আবার সব চুপচাপ হয়ে যায়। প্রশ্ন উঠে জনগনের মনে মৃত্যুর মিছিল কোথায় থামলে টনক নড়বে রাষ্ট্রের ?’
মঙ্গলবার (২২ জুলাই) রাজধানীর গুলশানে দলীয় চেয়াম্যানের কার্যালয়ে বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমান দুর্ঘটনায় শাহাদাতবরণকারী শিক্ষার্থীদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা ও আগুনে দগ্ধ শিক্ষার্থীদের সুস্থতা কামনায় বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ আয়োজিত দোয়া অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘দুর্ঘটনার ওপর মানুষের হাত নেই। তাই বলে এমন দুর্ঘটনা কোনোভাবে মেনে নেওয়া যায় না, যাতে বিদ্যালয়ে পাঠ নিতে যাওয়া শিশুরা ফিরে এল লাশ হয়ে। একটি দুর্ঘটনায় এত বেশি শিশুর মৃত্যুর ঘটনা বিরল। এ ঘটনায় কেবল স্বজনহারা পরিবার নয়, পুরো বাংলাদেশ শোকাহত।’
জেবেল রহমান গানি আরো বলেন, ‘রাষ্ট্রসহ আমাদের সকলকে আরো বেশী সচেতন হতে হবে। যাতে করে আর কোনো শিশু-কিশোর যেন অকালে ঝরে না যায় সে জন্য কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে রাষ্ট্রকে। মৃতের কোনো ক্ষতিপূরণ হয় না। যারা স্বজন হারিয়েছেন কোনও প্রতিদানই তাদের শোক ভোলাবে না। তবুও সরকারকে শিশু হারানো পরিবারের পাশে দাঁড়ানো এবং ঝলসে যাওয়ারা যতদিন বেঁচে থাকবে ততদিন রাষ্ট্রকে তাদের পাশে থাকতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ক্যাম্পাসে বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্থেরর ঘটনাটি কিভাবে ঘটল, সরকারকে তা গভীরভাবে খতিয়ে দেখতে হবে। এটি কি নিছক কোন দুঃঘর্টনা নাকি ষড়যন্ত্র। প্রয়োজনে বিচারবিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করতে হবে। ’
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া, যুগ্ম মহাসচিব মো. নুরুল আমান চৌধুরী, আতিকুল ইসলাম, এহসানুল হক জসিম, অর্থ সম্পাদক শ্রী প্রদ্যুৎ রায়, ভারপ্রাপ্ত প্রচার সম্পাদক মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান, সাংগঠনিক সম্পাদক মিতা রহমান, মো. সুমন মিঞা, কৃষি বিষয়ক সম্পাদক শফিকুল আলম শাহীন, উপ-প্রচার সম্পাদক রবিউল আওয়াল কনক, কেন্দ্রীয় সদস্য এস এম কামরুল হাসান ফরিদ, জাহিদুল ইসলাম প্রমুখ।
জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বিমান দুঘর্টনায় নিহতদের রুহের মাগফেরাত ও আহতের সুস্থতা কামনা করে বাংলাদেশ ন্যাপ চট্টগ্রাম, রংপুর, ময়মনসিংহ, নীলফামারী, জামালপুর, সিরাজগঞ্জ, লালমনিরহাট, নারায়নগঞ্জ, নরসিংদী, কুমিল্লা জেলার উদ্যোগে দোয়া অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
মন্তব্য করুন