প্রকাশিত: ৫ ঘন্টা আগে, ০৬:২১ পিএম

অনলাইন সংস্করণ

মিটফোর্ড ও খুলনার বর্বরতা জাতিকে স্তম্ভিত করেছে : বাংলাদেশ ন্যাপ



‘রাজধানীর পুরান ঢাকায় মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে ব্যবসায়ীকে পাথর দিয়ে থেতলে নৃশংসভাবে হত্যা, খুলনায় যুবদলের বহিষ্কৃত নেতাকে হত্যা ও মৃত্যু নিশ্চিত করতে পায়ের রগ কেটে দেয়া এবং চাঁদপুর সদর উপজেলার প্রফেসর পাড়া মোল্লাবাড়ি মসজিদে ভিন্ন মতের কারণে জুমার নামাজ শেষে মসজিদের খতিবের উপর ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা চালানোর ঘটনায় তীব্র নিন্দা, প্রতিবাদ ও ক্ষোভ প্রকাশ এবং গভীর উদ্বেগ ও উৎকন্ঠা প্রকাশ করেছে’ বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ।

শনিবার (১২ জুলাই) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বাংলাদেশ ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া এসকল ঘটনার দায় সরকার ও বৃহত রাজনৈতিক দলগুলোর কেউ এড়াতে পারে না বলে মন্তব্য করে বলেন, ‘মিটফোর্ড হাসপাতালের গেটে দিনের আলোয় জনসম্মুখে ব্যবসায়ী সোহাগকে পাথর দিয়ে মাথা থেঁতলে নৃশংসভাবে হত্যা গত ফ্যাসীবাদী শাসকের সময় বিশ্বজিৎ হত্যার ঘটনাকেও হার মানিয়েছে। ক্ষমতার আসার পূর্বেও রাজনৈতিক দলগুলোর নেতা-কর্মীদের এধরনের বেপোড়োয়া হয়ে যাওয়া আরেকটি ফ্যাসীবাদের শাসনের আগমনের পূর্বাভাসই বহন করছে বলে দেশবাসী আতংকিত হয়ে উঠছে।’

তারা আরো বলেন, ‘ঢাকায় ব্যবসায়ী সোহাগ, খুলনায় সাবেক যুব দল নেতা ও চাঁদপুরে ঈমামকে হত্যার দৃশ্য জাহেলিয়াতের লোমহর্ষক নিষ্ঠুরতা ও বর্বরতাকেই স্মরণ করিয়ে দেয়। এই যুগে প্রকাশ্যে দিবালোকে এভাবে পাথর মেরে একজন মানুষকে নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করা, মৃত্যু নিশ্চিত করতে পায়ের রগ কেটে দেয়া আইয়ামে জাহেলিয়াতকেও পরাজিত করছে। এই দৃশ্য জাহেলিয়াতের লোমহর্ষক নিষ্ঠুরতা ও বর্বরতাকেই যেন স্মরণ করিয়ে দেয়।’

নেতৃদ্বয় বলেন, ‘মানুষকে ভয়-ভীতি প্রদর্শন করে অপরাজনীতির যে চেষ্টা গত ১৭ বছর দেশে চলেছে এখনো সেই পক্রিয়ার অবসান হয় নাই। সেই অপরাজনীতিরই পুনরাবৃত্তি চলছে, যা এদেশের জনগন আর চায় না। অন্তর্র্বতীকালীন সরকারকে কঠোর ও কঠিনভাবে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির নিয়ন্ত্রণ করতে না পারে তাহলে সামনে আরো দুর্দিন অপক্ষো করছে। রাজনৈতিক নোংরা খেলা নয়, এ সকল ঘটনার সাথে জড়িত অপরাধীদের শিগগিরই আইনের আওতায় এনে বিচার সুনিশ্চিত করতে হবে। ’

তারা বলেন, ‘এসকল অপলাদের সাথে জড়িতরা যেই দলের বা গোষ্ঠীর হোক না কেন, তাদের দ্রæত গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে না পারলে দেশে আবারো নতুন ফ্যাসীবাদী শক্তি প্রতিষ্ঠা হতে বাধ্য। তাতে করে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সকল অর্জন পদদলীত হয়ে যাবে। এই হত্যাকারীদের পেছনে কারা রয়েছে, তাদের রাজনৈতিক বা প্রভাবশালী ছত্রচ্ছায়া থাকলে সেটিও খুঁজে বের করতে হবে। যদি প্রকাশ্য দিবালোকে মানুষ এভাবে হত্যা করে পার পেয়ে যায়, তাহলে আইন-শৃঙ্খলার অস্তিত্ব থাকবে না। রাষ্ট্রকে এ বিষয়ে কঠোর হতে হবে। সামগ্রিক এই অবস্থায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় কার্যকর ও কঠোর ভূমিকা পালন করতে হবে। অন্যথায় এর দায় তারা এড়াতে পারবে না।’ 

মন্তব্য করুন