‎সীমান্তপাড়া খাল পানি ব্যবস্থাপনা সমবায় সমিতির অফিস ভবনের লে-আউট প্রদান

‎চিলাহাটি প্রতিনিধিঃ

নীলফামারী জেলার ডোমার উপজেলার ভোগডাবুরী ইউনিয়নে ক্ষুদ্রাকার পানি সম্পদ উন্নয়ন প্রকল্প (২য় পর্যায়, ২য় সংশোধিত) এর আওতায় সীমান্তপাড়া খাল পানি ব্যবস্থাপনা সমবায় সমিতির অফিস ভবনের লে-আউট প্রদান অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫) দুপুরে লে-আউট প্রদানের মধ্য দিয়ে প্রকল্পটির কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়।

এই উপ-প্রকল্পটি গ্রহন করার মূল উদ্দেশ্য হলো কৃষি এবং মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধি করা এবং বিভিন্ন আয় বর্ধণমূলক প্রশিক্ষণের মাধ্যমে আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন করা।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন মোঃ ফিরোজ হাসান, নির্বাহী প্রকৌশলী এলজিইডি নীলফামারী, জনাব মোঃ ফিরোজ আলম, উপজেলা প্রকৌশলী, ডোমার, জনাব মোঃ রিয়াজুল ইসলাম (কালু),চেয়ারম্যান ১নং ভোগডাবুড়ি ইউনিয়ন, জনাব মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, কিউসিই, রংপুর, জনাব মোঃ শফিকুল ইসলাম, আইডিএস,রংপুর, জনাব মোঃ মনিরুল ইসলাম, মৎস্য ফ্যাসিলিটেটর ও সোসিওলজিষ্ট (অঃদাঃ), জনাব মোঃ মোহিতুর রহমান চৌধুরী, সহকারী প্রকৌশলী, জনাব মোঃ সিদ্দিকুর রহমান, উপ-সহকারী প্রকৌশলী, জনাব মোঃ আব্দুল খালেক, ইউপি সদস্য জনাব মোঃ আব্দুল মালেক, সভাপতি, সীমান্তপাড়া খাল পাবসস লিঃ রবিউল ইসলাম শাহ্, মোঃ মিজানুর রহমান (মিজান) মোঃ রবিউল ইসলামসহ গণমাধ্যমকর্মী আরো ছিলেন অত্র এলাকার অন্যান্য গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, সীমান্তপাড়া খাল দীর্ঘদিন ধরে কৃষকদের সেচ সুবিধা ও পানি ব্যবস্থাপনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। কিন্তু সঠিক পরিকল্পনা ও অবকাঠামোগত ঘাটতির কারণে এর পূর্ণাঙ্গ ব্যবহার সম্ভব হয়নি। নতুন অফিস ভবন নির্মাণ ও প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে পানি ব্যবস্থাপনায় আধুনিক প্রযুক্তি প্রয়োগ, কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি এবং স্থানীয় জনগণের জীবনমান উন্নয়ন সম্ভব হবে।

১নং ভোগডাবুড়ী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান রেয়াজুল ইসলাম কালু বলেন, “এ প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে ভোগডাবুরী ইউনিয়নের সীমান্তপাড়ার কৃষকরা উপকৃত হবে। সেচ সমস্যার সমাধান হবে এবং ফসল উৎপাদন বাড়বে।”

প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানান, ক্ষুদ্রাকার পানি সম্পদ উন্নয়ন প্রকল্পের লক্ষ্য হচ্ছে স্থানীয় জনগণকে সম্পৃক্ত করে পানি ব্যবস্থাপনার টেকসই কাঠামো গড়ে তোলা। এর মাধ্যমে কৃষি খাতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনা সম্ভব হবে।

অনুষ্ঠানে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা প্রকল্পের সফল বাস্তবায়নে সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস দেন এবং এ উদ্যোগকে সময়োপযোগী ও প্রশংসনীয় পদক্ষেপ হিসেবে উল্লেখ করেন।