
প্রকাশিত: ১১ ঘন্টা আগে, ০৫:২৫ পিএম
অনলাইন সংস্করণ
মোঃ একরামুল হক, হাটহাজারী, চট্টগ্রাম প্রতিনিধিঃ
মে দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন হাটহাজারী উপজেলার বর্ণাঢ্য মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
১মে (বৃহস্পতিবার) বেলা ১১টায় হাটহাজারী বাসষ্ট্যান্ড চত্বরে সমাবেশের মাধ্যমে কর্মসুচি শুরু হয়।
শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের হাটহাজারী উপজেলা সভাপতি এসএম রাশেদের সভাপতিত্বে এমএ তাহেরের সঞ্চালনায় সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন চট্টগ্রাম উত্তর জেলা সভাপতি
ইউছুপ বিন আবু বকর।
প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন উপজেলা শ্রমিক কল্যাণের প্রধান উপদেষ্টা উপজেলা জামায়াতের আমির ইঞ্জিনিয়ার সিরাজুল ইসলাম।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন চট্টগ্রাম উত্তর জেলা এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারী আব্দুল আজিজ চৌধুরী,উপজেলা শ্রমিক কল্যাণের উপদেষ্টা উপজেলা জামায়াতের নায়েবে আমির অধ্যাপক শোয়াইব চৌধুরী, শ্রমিক কল্যাণের উপদেষ্টা ও উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারী অধ্যাপক আব্দুল মালেক চৌধুরী, শ্রমিক কল্যাণের উপদেষ্টা ও জামায়াতের উপজেলা এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারী মিজানুর রহমান।
উপস্থিত ছিলেন উত্তর জেলা মিডিয়া ও সাংবাদিক বিভাগের সেক্রেটারী আবুল বাশার,
জেলা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন অর্থ ও অফিস সেক্রেটারী হারুন অর রশিদ, ফেডারেশনের পৌর উপদেষ্টা হাটহাজারী পৌরসভা জামায়াতের
আমির মাষ্টার মাহমুদুল করিম, ফেডারেশন উপজেলা সহ সভাপতি দিদারুল আলম, ফেডারেশনের উপজেলা এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারী মোঃ আলী আকবর, হাটহাজারী পৌরসভা সভাপতি মোঃ মহিবুল্লাহ প্রমুখ।
সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ফেডারেশনে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা সভাপতি ইউছুপ বিন আবু বকর বলেন- বৈষম্যমুক্ত, ন্যায় ও ইনসাফপুর্ণ ইসলামী শ্রমনীতি চালু হলে শ্রমিকেরা মুক্তি পাবে।
সমাবেশে বক্তারা বলেন,ন্যায় ও ইনসাফের ভিত্তিতে দেশের শ্রমনীতি ঢেলে সাজাতে হবে,
নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম শ্রমজীবী মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে নিয়ে আসতে হবে।
জাতীয়ভাবে ইনসাফ ভিত্তিক ন্যূনতম মজুরি কাঠামো নির্ধারণ ও বাস্তবায়ন করতে হবে,
গার্মেন্টস শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ২৫ হাজার টাকা করতে হবে।
পরিবহন সেক্টরে চাঁদাবাজি বন্ধসহ শ্রমিকদের উপরে প্রশাসনের হয়রানি বন্ধ করতে হবে,
রেলওয়ে কর্মরত শ্রমিকদের ন্যায্য দাবি অবিলম্বে মেনে নিতে হবে।
ঢাকাসহ বিভাগীয় শহরে রিকশা চলাচলের জন্য আলাদা লেনের ব্যবস্থা করতে হবে, নৌ-পরিবহন শ্রমিকদের মজুরি নীতিমালা প্রণয়ান ও চাকরির নিয়োগপত্র প্রদান করতে হবে।
বন্ধকৃত পাটকলসহ সকল বন্ধ কল-কারখানা অবিলম্বে চালু করতে হবে,ব্যক্তি মালিকানাধীন জুট মিলের শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ২৫ হাজার টাকা করতে হবে।
বন্দর রক্ষায় এ সেক্টরের শ্রমিকদের ন্যায্য দাবি অবিলম্বে মেনে নিতে হবে,সার, বীজ ও কীটনাশকের মূল্য কমাতে হবে এবং কৃষকের উৎপাদিত ফসলের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করতে হবে।
আইএলও কনভেনশন ৮৭ ও ৯৮ এর পূর্ণ বাস্তবায়ন করে সকল পেশায় অবাধ ট্রেড ইউনিয়ন করার অধিকার নিশ্চিত করতে হবে।
কল-কারখানায় অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে, কর্মস্থলে আহত ও নিহত শ্রমিকদের উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ নিশ্চিত করতে হবে।
নারী শ্রমিকদের মাতৃত্বকালীন ছুটি ও ভাতা প্রদানসহ সন্তানদের জন্য শিশু যত্নাগার স্থাপন করতে হবে। শ্রমজীবী মানুষের জন্য বাসস্থান, রেশনিং, চিকিৎসা ও তাদের সন্তানদের বিনামূল্যে শিক্ষার অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। নারী ও পুরুষের বেতন-ভাতার সমতা বিধান নিশ্চিত করতে হবে, শ্রমিকদের ন্যায়বিচার ত্বরান্বিত করার স্বার্থে শ্রমঘন এলাকায় শ্রম আদালত প্রতিষ্ঠা করতে হবে, শিল্প ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের মুনাফায় শ্রমিকদের অংশ প্রদান করতে হবে,শিশু শ্রম বন্ধ করতে হবে। হকারদের জন্য বিকল্প ব্যবস্থা হিসাবে হলি-ডে মার্কেট চালু করতে হবে এবং সকল পেশায় অবাধ ট্রেড ইউনিয়ন করার অধিকার নিশ্চিত করতে হবে।
মন্তব্য করুন