প্রকাশিত: ৩ ঘন্টা আগে, ০৩:৫২ পিএম

অনলাইন সংস্করণ

শ্রীপুরে জমি নিয়ে বিরোধ, কৃষকের কব্জি বিচ্ছিন্ন করল প্রতিপক্ষ

 


শ্রীপুর(গাজীপুর) প্রতিনিধি:


গাজীপুরের শ্রীপুরে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে মারামারির ঘটনায় হযরত আলী নামে এক বৃদ্ধের হাতের কব্জি বিচ্ছিন্ন হয়েছে। এ ঘটনায় দুই পক্ষের ছয়জন আহত হয়েছেন।

মঙ্গলবার (১৩ মে) সকালের দিকে উপজেলার বরমী ইউনিয়নের তাঁতীসূতা দক্ষিণ পাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

আহতরা হলেন—তাতীসূতা গ্রামের হযরত আলী (৬৫), জাহারা (৬০), রহিমা (৫৫) এবং অপরপক্ষের অমূল্য কুমার বিশ্বাস (৬২), অমৃত কুমার বিশ্বাস (৬০) ও সংগীতা (১৭)।  আহতদের শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় কব্জি বিচ্ছিন্ন হওয়া হযরত আলীকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, হযরত আলীর বাড়ির সংলগ্ন একটি বনভূমি রয়েছে, যেখানে তিনি উপকারভোগী হিসেবে বনায়ন করে আসছিলেন। ওই জমি দীর্ঘদিন ধরে জবরদখলের চেষ্টা চালিয়ে আসছিলেন অমৃত কুমার বিশ্বাস ও তার লোকজন।  আজ সকালে তারা জমিতে হালচাষ শুরু করলে হযরত আলী বাধা দেন। এতে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে।

হযরত আলীর স্ত্রী রহিমা অভিযোগ করে বলেন, ‘অমৃত কুমার বিশ্বাস বর্তমানে টাঙ্গাইল জেলার নাগরপুর থানায় কনস্টেবল হিসেবে কর্মরত। তিনি দীর্ঘদিন ধরে পুলিশের প্রভাব খাটিয়ে আমাদের হুমকি দিয়ে আসছেন।  আজ সকালে আমাদের বনায়নের গাছ কেটে ফেলে জমি জোরপূর্বক চাষ করতে গেলে আমরা বাধা দিই।  তখন অমৃত কুমার দা দিয়ে কুপিয়ে আমার স্বামীর বাম হাতের কব্জি কেটে ফেলে।’

অন্যদিকে, অভিযুক্ত অমৃত কুমার বিশ্বাস দাবি করেন, ‘ওই জমি আমাদের। এটি নিয়ে বন বিভাগের সঙ্গে আমাদের পূর্ব থেকেই বিরোধ রয়েছে।  আজ সকালে চাষ করতে গেলে হযরত আলীর লোকজন আমাদের বাধা দেয় এবং আমাদের লোকজনকে মারধর করে।’

শ্রীপুর সদর বিটের ফরেস্টার মো. আলাল খান জানান, ‘এই জমিটি হযরত আলী উপকারভোগী ছিলেন। অভিযুক্তরা কয়েকবার গাছপালা নষ্ট করায় বন বিভাগ সেখানে বনায়ন রক্ষা করতে পারেনি। আজকের ঘটনার বিস্তারিত আমার জানা নেই।

শ্রীপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শামীম আক্তার বলেন, ‘সকালে এক বৃদ্ধা তার স্বামীর কাটা হাতের কব্জি নিয়ে থানায় এসে অভিযোগ করেন। ঘটনার পরপরই পুলিশ ঘটনাস্থলে অভিযান চালায়।  জমি নিয়ে সংঘর্ষে উভয়পক্ষের লোকজন আহত হয়েছেন।  প্রাথমিকভাবে একজনকে আটক করা হয়েছে।  অভিযোগের ভিত্তিতে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।”




 

মন্তব্য করুন