প্রকাশিত: ৯ আগষ্ট, ২০২৫, ০৫:৫৪ পিএম

অনলাইন সংস্করণ

শেরপুরের শ্রীবরদীতে অসুস্থ  স্ত্রীকে জীবন্ত মাটি  দেওয়ার চেষ্টা, ভিডিও ভাইরাল

 

 

 এজেএম আহছানুজ্জামান ফিরোজ,  শেরপুর প্রতিনিধি:

শেরপুরের শ্রীবরদীতে অসুস্থ স্ত্রীকে বাড়ির উঠানে জীবন্ত কবর দেওয়ার চেষ্টা করেছেন  বৃদ্ধ  স্বামী খলিলুর রহমান । ঘটনাটি ঘটেছে  শুক্রবার (০৮ আগস্ট)  বিকেলে  উপজেলার কাকিলাকুড়া ইউনিয়নের খোশালপুর কানিপাড়া এলাকায় । এ ঘটনার একটি  ভিডিও রাতেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হলে সারা জেলায়  চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।

 

এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে,   ৮০ বছরের বৃদ্ধ মো: খলিলুর রহমানের স্ত্রী মোছাঃ খোরশেদা বেগম (৭০) দীর্ঘ ৭/৮ বছর ধরে অসুস্থ হয়ে  শয্যাশায়ী । একমাত্র স্বামীই তার সেবা যত্ন করে। তাদের এক ছেলে ও এক মেয়ে দেশের বাইরে থাকে। ছেলের বউ ও এক নাতী বাড়িতে থাকলেও তারা বৃদ্ধ খোরশেদা বেগমের কোনো খোঁজ খবর রাখেনা। বৃদ্ধ স্বামীই রান্না - বান্নাসহ যাবতীয় কার্যক্রম করে এবং স্ত্রীর সেবা করছেন। স্ত্রীর চিকিৎসা ও সেবা করতে করতে বৃদ্ধ খলিলুর রহমান হাঁপিয়ে পরেছেন।  ঘটনার দিন শুক্রবার বিকেলে খোরশেদা বেগম বিছানায় মলত্যাগ করায় ক্ষিপ্ত হয়ে স্বামী তাকে টেনে-হিঁচড়ে বাড়ির উঠানে নিয়ে গিয়ে কোঁদাল দিয়ে ছোট গর্ত খুঁড়ে মাটি চাপা দিতে থাকেন। এ ঘটনাটি তাঁদের নাতি খোকন (১৯) ভিডিও করে ফেসবুকে পোস্ট করলে তা মুহূর্তে ই ভাইরাল হলে জেলা জুড়ে নিন্দার ঝড় ওঠে।

 

এব্যাপারে এলাকাবাসীর অনেকেই  বলেন, মো. খলিলুর রহমানের স্ত্রী মোছাঃ খোরশেদা বেগম দীর্ঘ দিন থেকে অসুস্থ। একমাত্র স্বামীই তার সেবা যত্ন করে। ঘটনার দিন হঠাৎ  উত্তেজিত এমন কাজ করেছেন। তবে কাজটি তিনি ভালো করেন নাই। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।

 

শ্রীবরদী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ আনোয়ার জাহিদ জানান, খবর পাওয়ার পর সেখানে পুলিশ পাঠিয়েছি। ঘটনার পর ওই বৃদ্ধ পলাতক রয়েছে। তিনি বলেন, লিখিত অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

উপজেলা নির্বাহী অফিসার শেখ জাবের আহমেদ বলেন, আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে জানতে পেরেছি বৃদ্ধ দীর্ঘ দিন যাবত তার অসুস্থ স্ত্রীকে সেবা যত্নসহ দেখভাল করে আসছেন।  তার স্ত্রীর মল-মুত্র  রাখার জন্য বাড়ির উঠানে একটি গর্ত করে এবং রাগের বশেই তিনি এ কাজটি করেছেন। তার মেয়ের ঘরের নাতী ভিডিও ধারণ করে ফেসবুকে ছড়িয়ে দিয়েছে। বৃদ্ধ দীর্ঘ দিন যাবত সেবা করতে করতে হাপিয়ে উঠেছেন। তাদের  এক ছেলে ও এক মেয়ে দেশের বাহিরে থাকে। তাদের দেখভালের জন্য লোক নাই। তাদের দেখভালের জন্য কোনো স্বহৃদয়বান ব্যক্তি যদি বৃদ্ধাশ্রমের ব্যবস্থা করে তাদের জন্য ভালো হবে।

মন্তব্য করুন