রুপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১ আগষ্ট, ২০২৪, ১২:২৭ পিএম

অনলাইন সংস্করণ

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর

শিক্ষকরা আন্দোলনের কনটেন্ট শেয়ার দিলেই ব্যবস্থা : ডিপিই

ছবি: সংগৃহীত

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর (ডিপিই) জানানো হয়েছে, প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক-কর্মচারীদের দেশব্যাপী কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে ফেসবুকে অসত্য, বিভ্রান্তিকর, কুরুচিপূর্ণ ও বানোয়াট তথ্য-উপাত্ত পোস্ট না করতে । এই আদেশের ব্যত্যয় ঘটলে সংশ্লিষ্ট আইন মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানানো হয়। ৩১ জুলাই অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন) (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মো. হামিদুল হকের সই করা এক অফিস আদেশে এই তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষকরা কোটা সংস্কার আন্দোলন সংক্রান্ত কনটেন্ট যা সরকারকে বিব্রত করে এমন সেগুলো ফেসবুকে শেয়ার দিলেই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। বর্তমানে অবাধ তথ্য প্রবাহের যুগে সরকারি-বেসরকারি নির্বিশেষে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর ও মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং শিক্ষকরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করেন। চলমান সময়ে দেখা যায়, কোটা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে কিছু স্বার্থান্বেষী ব্যক্তি/গোষ্ঠী বিভিন্ন অসত্য, বিভ্রান্তকর, কুরুচিপূর্ণ ও বানোয়াট তথ্য উপাত্ত ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট/শেয়ার করে সরকারকে হেয়প্রতিপন্ন করার অসৎ উদ্দেশ্যে লিপ্ত রয়েছেন।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর সরকারি প্রতিষ্ঠান এবং এ অধিদপ্তরের আওতায় বর্তমানে প্রায় পাঁচ লাখের কাছাকাছি শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী কর্মরত রয়েছেন। প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী হিসেবে সরকারের কোনো আদেশ, নিষেধ বা কার্যক্রম সর্ম্পকে সমালোচনা করা বা সরকারি কোনো কার্যক্রম বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নেতিবাচক পোস্ট/শেয়ার করা ‘সরকারি কর্মচারী আচরণ বিধিমালা-১৯৭৯’ এর পরিপন্থি। এর আগেও প্রজাতন্ত্রের কর্মকর্তা-কর্মচারী-শিক্ষকদের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের জারি করা সরকারি প্রতিষ্ঠানে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার নির্দেশিকা, ২০১৯ (পরিমার্জিত সংস্করণ) এ বর্ণিত বিধান অনুসরণ করা বাধ্যতামূলক এবং ইতঃপূর্বে এ অধিদপ্তর থেকে বহুবার বিষয়টি চিঠির মাধ্যমে সব শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরকে অবহিত করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, আন্দোলন কেন্দ্র করে সারা দেশে ‘ছাত্র হত্যা, গুলি ও হামলার’ প্রতিবাদে নতুন নতুন কর্মসূচি পালন করছেন শিক্ষার্থীরা। তাদের দাবির প্রতি সংহতি জানিয়ে এবার মাঠে নেমেছেন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে কেন গুলি চালানো হলো, সে প্রশ্ন তুলেছেন তারা। একই সঙ্গে আটক শিক্ষার্থীদের মুক্তি ও বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেওয়ারও দাবি জানিয়েছেন শিক্ষকরা।

আরবি/এস 

মন্তব্য করুন