
প্রকাশিত: ৬ ঘন্টা আগে, ০৯:৪০ পিএম
অনলাইন সংস্করণ
আনোয়ার হোসেন.জেলা.প্রতিনিধিঃ
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক আব্দুস সাত্তার কে দুর্নীতির মামলায় জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
১৬ই জুন সোমবার দুপুরে যশোর জ্যেষ্ঠ জেলা ও দায়রা জজ আদালত বিশেষ বিচারক শেখ নাজমুল আলম এই আদেশ দেন বলে দুদকের আইনজীবী (পিপি) সিরাজুল ইসলাম জানান।
মামলার ধার্য তারিখে হাজির হয়ে অধ্যাপক আব্দুস সাত্তার জামিনের আবেদন জানান। বিচারক জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয়।
এর আগে, তিন আসামিকে গ্রেপ্তারে পরোয়ানা জারি করে আদালত।
তবে এই মামলার অপর দুই আসামি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-পরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) আব্দুর রউফ ও ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপউপাচার্য অধ্যাপক কামাল উদ্দিন জামিনে রয়েছেন।
দুদকের আইনজীবী সিরাজুল ইসলাম বলেন, অবৈধভাবে নিয়োগ এবং সরকারি ৬১ লাখ ৩১ হাজার ৭৩২ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ২০২৩ সালের ২১ অগাস্ট তাদের বিরুদ্ধে মামলা করেন দুদক যশোরের তৎকালীন উপ-পরিচালক আল-আমিন। তদন্ত শেষে সম্প্রতি তিনজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় দুদক।
মামলায় বলা হয়, ২০০৯ সালের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, সহকারী পরিচালক পদে আবেদন করেন আসামি আব্দুর রউফ। নিয়োগের জন্য গঠিত তিন সদস্য বিশিষ্ট বাছাই বোর্ডের সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন উপাচার্য আব্দুস সাত্তার। বাছাই বোর্ডের আরেক সদস্য ছিলেন ইবির উপ-উপাচার্য কামাল উদ্দিন।
একই বছরের ২২ অগাস্ট মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হয়। এ সময় আরও তিন প্রার্থীর মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হয়। কিন্তু কাউকে পাস করানো হয়নাই।
বিজ্ঞপ্তি শর্ত অনুযায়ী, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন কর্মকর্তা হিসেবে আব্দুর রউফের কোনো পূর্ব-অভিজ্ঞতা না থাকা সত্ত্বেও বাছাই বোর্ড অবৈধভাবে তাকে প্রথমে সহকারী পরিচালক পদে নিয়োগ দেওয়ার চেষ্টা করে। পরে অভিজ্ঞতার ঘাটতি থাকার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে তাকে সেকশন অফিসার (গ্রেড-১, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) পদে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করা হয়।
রিজেন্ট বোর্ড সভাপতি হিসেবে সাবেক উপাচার্য আব্দুস সাত্তার উন্মুক্ত বিজ্ঞপ্তি ছাড়াই তাকে সেকশন অফিসার হিসেবে নিয়োগ চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়।
আব্দুর রউফ সেকশন অফিসার পদে অবৈধভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত হয়ে কর্মরত থাকা অবস্থায় সিলেকশন গ্রেডসহ বিভিন্ন সুবিধাপ্রাপ্ত হয়ে বিভাগীয় প্রার্থীদের সুবিধা নিয়ে ২০১৪ সালে সহকারী পরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) পদে এবং ২০২১ সালে উপ-পরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) পদে নিয়োগপ্রাপ্ত হয়ে বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত।
এই অবৈধ নিয়োগের কারণে ২০০৯ সালের অক্টোবর থেকে ২০২২ সালের জুন পর্যন্ত তিনি বেতন-ভাতা বাবদ মোট ৬১ লাখ ৩১ হাজার ৭৩২ টাকা নিয়ে আত্মসাৎ করা হয়েছে বলে মামলায় বলা হয়েছে।
মন্তব্য করুন