
প্রকাশিত: ৭ মে, ২০২৪, ০৫:৪৮ পিএম
অনলাইন সংস্করণ
রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের আইন অনুযায়ী বিভাগীয় প্রধান নিয়োগের দাবিতে ক্লাস পরীক্ষা বর্জন কর্মসূচি শুরু করেছেন শিক্ষার্থীরা।
আজ মঙ্গলবার (৭ মে) সকাল থেকে এই কর্মসূচি শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। অফিসের সকল কাজও বন্ধ থাকবে বলে জানান তারা।।
গত প্রায় দুই মাস বিভাগীয় প্রধান পদটি শূন্য রয়েছে। এতে বিভাগের কার্যক্রমে অচলাবস্থা দেখা দিয়েছে। সেশনজটের আশঙ্কায় রয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোঃ নজরুল ইসলাম গত ১০ মার্চ বিভাগীয় চেয়ারম্যান হিসেবে তাঁর দায়িত্বের মেয়াদ শেষ করেন।
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর আইন ২০০৯ এর ধারা-২৮(৩) অনুযায়ী জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে পালাক্রম অনুযায়ী 'বিভাগীয় চেয়ারম্যান' হিসেবে দায়িত্ব পাওয়ার কথা বিভাগের অপর সহযোগী অধ্যাপক তাবিউর রহমান প্রধানের। কিন্তু তা না করে সহকারী অধ্যাপক নিয়ামুন নাহারকে বিভাগীয় চেয়ারম্যানের দায়িত্ব প্রদান করে কর্তৃপক্ষ।
নিয়ামুন নাহার উক্ত পদে যোগদান করতে অস্বীকৃতি জানালে দ্বিতীয়বার আইন লঙ্ঘন করে অপর জুনিয়র সহকারী অধ্যাপক সারোয়ার আহমাদকে নিয়োগ দেয়া হয়, তিনিও যোগদান করতে অপারগতা প্রকাশ করেন। এর পর আবারও আইন লঙ্ঘন করে অপর জুনিয়র সহকারী অধ্যাপক মোঃ রহমতুল্লাহ কে দায়িত্ব প্রদান করা হয়। তিনিও দায়িত্ব নিতে অস্বীকৃতি জানালে গত ১০ মার্চ থেকে বিভাগীয় চেয়ারম্যান শুন্য হয়ে আছে বিভাগটি। এর ফলে বিভাগের সকল কার্যক্রম প্রায় বন্ধ হয়েছে। ক্লাস পরীক্ষা বন্ধ থাকায় আইন অনুযায়ী তাবিউর রহমান প্রধানকে বিভাগীয় চেয়ারম্যানের দায়িত্ব প্রদানের জন্য আন্দোলন শুরু করেছে শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীদের দাবি, আইন অনুযায়ী জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে বিভাগীয় চেয়ারম্যানের দায়িত্ব প্রদান করে বিভাগের কার্যক্রম দ্রুত সচল করা হোক। সোমবার আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সাথে দফায় দফায় কথা বলেছেন প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা। কিন্তু উপাচার্যের সাথে কথা না হলে কোন বিষয় শুনবেনা জানিয়ে শিক্ষার্থীরা শ্লোগান দিতে থাকেন। এক পর্যায়ে বিকেল সাড়ে ৫টা নাগাদ উপাচার্য ছাত্রলীগের নেতাকর্মী দ্বারা বেষ্টিত হয়ে শিক্ষার্থীদের সামনে কথা বলতে আসেন এবং রবিবার নাগাদ আইন অনুযায়ী বিভাগীয় প্রধান নিয়োগের আশ্বাস দেন।
গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের বিভাগীয় চেয়ারম্যান নিয়োগের বিষয়ে রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মুহম্মদ আলমগীর চৌধুরী বলেন, আইনগত জটিলতা থাকায় বিভাগীয় চেয়ারম্যান নিয়োগ দেয়া সম্ভব হচ্ছে না। আইনগত কী জটিলতা এ বিষয়ে পরিষ্কার করে তিনি কিছু বলতে পারেন নি। তবে এ সংক্রান্ত একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানান তিনি। কমিটির প্রতিবেদনের উপর ভিত্তি করে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সার্বিক বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. হাসিবুর রশীদ বলেন, বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে। আগামী সাত দিনের মধ্যে এই বিষয়ে সমাধান হবে।
মন্তব্য করুন