
প্রকাশিত: ১৬ মে, ২০২৪, ১২:০০ এ এম
অনলাইন সংস্করণ
বগুড়ায় ডিমের বাজার অস্থিরতার নেপথ্যে অবৈধ মজুতের প্রমাণ পেয়েছে প্রশাসন। কাহালু উপজেলার একটি কোল্ড স্টোরে (হিমাগার) মজুত ছিল প্রায় ৫ লাখ ডিম। প্রতিষ্ঠানটির জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
গোপনে মজুত রেখে অসাধু ব্যবসায়ীরা ডিমের মূল্যবৃদ্ধির পুরনো খেলা শুরু করেছে। বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে বাড়ানো হচ্ছে দাম। এই সুযোগে ভোক্তার পকেট কাটছে খুচরা পর্যায়ের বিক্রেতারা। বগুড়ার খুচরা বাজারে প্রতি ডজন ডিম কিনতে ক্রেতার সর্বোচ্চ ১৩৬ টাকা খরচ করতে হচ্ছে। যা দুই সপ্তাহ আগে ছিল ১১২-১১৬ টাকা।
শিশির কুমার নামের এক ব্যবসায়ী জানান, ডিমের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে মজুতদার সিন্ডিকেট। পাইকারি দাম বেশি হওয়ায় খুচরা বাজারে প্রভাব পড়েছে। গত সপ্তাহে হঠাৎই ডিমের দাম বাড়তে শুরু করে। প্রতি ডজন ডিম ১১২-১১৬ টাকা থেকে বেড়ে গত সপ্তাহে ১২৬ টাকা খুচরা বিক্রি হয়। বর্তমান বাজার ১৩৬ টাকা।
সুত্র জানায়, ডিমের দাম হুট করে কমিয়ে খামারিদের কাছ থেকে ডিম নিয়ে হিমাগারে সংরক্ষণ করে জেলা ভিত্তিক সিন্ডিকেট। এরপর সরবরাহ সংকটের অজুহাত দেখিয়ে দাম বাড়িয়ে দেয়। পুরনো খেলার মতো এবারও অবৈধ মজুত রেখে সরবরাহ কমিয়ে বাড়িয়েছে দাম।
বুধবার (১৫ মে) হিমাগারে ডিম মজুতের তথ্য পেয়ে কাহালু উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মেরিনা আফরোজের নেতৃত্বে অভিযান চালানো হয়৷ ভ্রাম্যমাণ আদালতের টিমে ছিলেন কাহালু উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসার ডা. মাহবুব হাসান চৌধুরী। উপজেলার দুটি হিমাগারে অভিযান চালানো হয়।
জানা গেছে, পোড়াপাড়ার ফিলিং স্টেশনের ফলমূল রাখার মেসার্স মনসুর কোল্ড স্টোরে অভিযান চালিয়ে গুদামে ডিম পাওয়া যায়নি। পরে আফরিন কোল্ড স্টোরে অভিযানে বিপুল পরিমাণ ডিম মজুতের সত্যতা পাওয়া যায়। ওই হিমাগারে অনেক নষ্ট ও মেয়াদ উত্তীর্ণ ডিম দেখা গেছে। কৃত্রিম সংকট মুহুর্তে আফরিন হিমাগারে ৪ লাখ ৮৮ হাজার ৩৮৮টি ডিম মজুত দেখে ক্ষুব্ধ হন ইউএনও। তিনি আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে কোল্ড স্টোর থেকে ডিমগুলো বের করে বাজারজাত করার নির্দেশ দেন। অন্যথায় ওই প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার হুশিয়ারি দেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক।
এসময় কোল্ড স্টোরের ম্যানেজার মন্তেজার রহমান রাসেল দাবি করেন, মজুত রাখা ডিমগুলো ব্যবসায়ীদের। তাদের হিমাগারে ফলমূলসহ ডিম সংরক্ষণ করার অনুমতি আছে।
মন্তব্য করুন