বগুড়া প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ৯ জুন, ২০২৪, ০৭:১৩ পিএম

অনলাইন সংস্করণ

বগুড়ার শীর্ষ সন্ত্রাসী ব্রাজিল খুন, নেপথ্যে আধিপত্য বিস্তার

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

বগুড়ায় আধিপত্য বিস্তার ও পূর্ব শত্রুতার জেরে শীর্ষ সন্ত্রাসী বিরাজুল ইসলাম ব্রাজিলকে (৩৪) নৃশংসভাবে খুন করেছে দূর্বৃত্তরা। ধারালো অস্ত্র দিয়ে তার মাথা থেকে পা পর্যন্ত কোপানো হয়েছে। জড়িতদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে অভিযান নেমেছে পুলিশ। 

শনিবার (৮ জুন) রাত সোয়া ১১টার দিকে কাহালু উপজেলার মুরইল ইউনিয়নের পোড়াপাড়া এলাকায় ব্রাজিলকে কুপিয়ে খুন করা হয়। তার বিরুদ্ধে হত্যা, অস্ত্র, বিস্ফোরক, চাঁদাবাজি, অ্যাসিড নিক্ষেপসহ অসংখ্য রয়েছে। নিহত বিরাজুল ইসলাম ব্রাজিল বগুড়া শহরতলির দক্ষিণ গোদারপাড়া এলাকার শাজাহান আলীর ছেলে। তিনি যুবদল বগুড়া চারমাথা বন্দর শাখার সাবেক সভাপতি। 

জানা গেছে, ব্রাজিল মোটরসাইকেলে তার বন্ধু সুমনকে নিয়ে পোড়াপাড়া পশ্চিমপাড়ায় ফিরছিলেন। পথিমধ্যে পরিকল্পিতভাবে অবস্থানরত দূর্বৃত্তরা তার পথরোধ করে। তখন ব্রাজিল ও সুমন মোটরসাইকেল ফেলে দৌড় দেয়। দুর্বৃত্তরা ব্রাজিলকে ধরে কুপিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে চলে যায়। সুমন পালিয়ে রক্ষা পায়। 

রোববার (৯ জুন) বিকেলে কাহালু থানার ইন্সপেক্টর (ইনভেস্টিগেশন) আশরাফুল আলম জানান, নিহত ব্রাজিলের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ২৯টি মামলা রয়েছে। তার লাশ উদ্ধার করে হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে হত্যার কারণ নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তদন্তে কিছুটা ক্লু পাওয়া গেছে। তবে জড়িতদের গ্রেপ্তারের পর খুনের সঠিক কারণ জানা যাবে। 

ধারণা করা হচ্ছে, আধিপত্য বিস্তার ও পূর্ব শত্রুতার জেরে প্রতিপক্ষরা নৃশংসভাবে ব্রাজিলকে কুপিয়ে খুন করেছে। শরীরে পা থেকে মাথা পর্যন্ত কোপানোর দাগ রয়েছে। ব্রাজিল কাহালু উপজেলার মুরইল ইউনিয়নের পোড়াপাড়া গ্রামে শ্বশুরবাড়ির কাছে বসবাস করতেন। তিনি দীর্ঘদিন বগুড়া শহরে যুবদলের রাজনীতি করতেন। সম্প্রতি তাকে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতাদের সাথে এবং মিছিলে অংশ নিতে দেখা গেছে। 

সুত্র জানায়, ব্রাজিলকে ২০২২ সালে শহরের বকশিবাজার এলাকা থেকে তিন রাউন্ড গুলিভর্তি বিদেশি পিস্তলসহ গ্রেপ্তার করেছিল বগুড়া সদর থানা পুলিশ। সম্প্রতি একটি মামলায় জামিন পেয়েছেন। কিছু দিন আগে তার মোটরসাইকেলের ওপর হামলা হয়েছিল। 

জেলা পুলিশ সূত্র জানায়, ব্রাজিলের বিরুদ্ধে প্রথম ২০১২ সালে এসিড অপরাধ দমন আইনে মামলা হয়। এরপর একই অপরাধে ২০১৫ সালে আরেকটি মামলা হয়। এছাড়া বিভিন্ন সময়ে বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে ৬টি, সন্ত্রাসবিরোধী আইনে ২টি, বিশেষ ক্ষমতা আইনে ৪টি মামলা দায়ের হয়। একটি মামলায় বিশেষ এবং বিস্ফোরক দুটি অপরাধ আনা হয় ব্রাজিলের বিরুদ্ধে। বাকি মামলাগুলো হত্যা, অস্ত্র ও মাদক। 

 

মন্তব্য করুন