
প্রকাশিত: ১ আগষ্ট, ২০২৫, ০৪:৪৭ পিএম
অনলাইন সংস্করণ
মোঃএনামুল হক পঞ্চগড় জেলা প্রতিনিধিঃ
পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জে চাঞ্চল্যকর কলেজ ছাত্রী সুলতানা আক্তার (রত্না) হত্যাকাণ্ডের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। রত্নার প্রেমিক মহাদেব রায়কে গ্রেপ্তারের পর জবানবন্দিতে হত্যার দায় স্বীকার করেছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার (৩১) জুলাই রাতে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানায় দেবীগঞ্জ থানা পুলিশ।
গত বুধবার (৩০ জুলাই) সকালে দেবীগঞ্জ উপজেলার সদর ইউনিয়নের মাঝাপাড়া এলাকার একটি ধানক্ষেত থেকে রত্নার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। স্থানীয়রা মরদেহ দেখে খবর দিলে দেবীগঞ্জ থানা পুলিশ ও সিআইডির ক্রাইম সিন ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আলামত সংগ্রহ করে। মরদেহ উদ্ধারের সময় রত্নার গলায় দাগ পাওয়া যায় এবং তার হাতে মোবাইল ফোনের কাভার ও কাপড়ের ব্যাগ ছিল।
পুলিশ তদন্তে রত্নার ঘর থেকে একটি চিরকুট উদ্ধার করে, যেখানে মহাদেবের সাথে প্রেমের সম্পর্ক ও তার সাথে চলে যাওয়ার ইঙ্গিত পাওয়া যায়। এ ছাড়া রত্নার ব্যবহৃত দুইটি মোবাইল নাম্বারের কল ডিটেইল রেকর্ড (সিডিআর) বিশ্লেষণ করে সন্দেহভাজনদের শনাক্ত করা হয়।
বুধবার (৩০ জুলাই) দুপুরে একই ইউনিয়নের পুণ্ডিপাড়া গ্রামের খোকা বর্মনের ছেলে মহাদেব রায়কে পুলিশ থানা হেফাজতে নেয়। জিজ্ঞাসাবাদে মহাদেব হত্যার দায় স্বীকার করে জানায়, রত্না দীর্ঘদিন ধরে বিয়ের জন্য চাপ দিচ্ছিলেন, কিন্তু তার পরিবার অন্যত্র মহাদেবের বিয়ে ঠিক করে ফেলে। এতে তাদের মধ্যে মনোমালিন্য দেখা দেয়।
ঘটনার রাতে মহাদেব রত্নাকে বাইরে ডেকে নিয়ে বিয়ে নিয়ে তর্কে জড়ান। একপর্যায়ে ওড়না দিয়ে গলায় পেচিয়ে শ্বাসরোধে তাকে হত্যা করে মোবাইল ফোন ভেঙে বিভিন্ন স্থানে ফেলে দেয়।
দেবীগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) প্রবীর কুমার সরকার বলেন, ‘প্রেমের সম্পর্ক থেকে বিয়ে নিয়ে বিরোধের জেরেই এ হত্যাকাণ্ড ঘটে।’
দেবীগঞ্জ সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার সামুয়েল সাংমা বলেন, ‘অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে অল্প সময়ের মধ্যেই মামলার রহস্য উদঘাটন করা সম্ভব হয়েছে।’
এ ঘটনায় গতরাতে নিহতের বাবা রবিউল ইসলাম মহাদেব রায়সহ অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে দেবীগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেছেন। পরে বৃহস্পতিবার সকালে তাকে আদালতে সোর্পদ করা হলে আসামি মহাদেব স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেন। আদালত মহাদেব রায়কে জেল হাজতে প্রেরন করেন।
মন্তব্য করুন