
প্রকাশিত: ৩ ঘন্টা আগে, ১১:২১ পিএম
অনলাইন সংস্করণ
প্রতিনিধি নারায়নগঞ্জ:
নারায়ণগঞ্জের খানপুর ৩০০ শয্যা হাসপাতালে সম্প্রতি চুরি-ছিনতাই বৃদ্ধি পাওয়ায় হাসপাতালে সেবা নিতে আসা রোগীরা চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। কিন্তু এখানে দেখার কেউ নেই, বলার কেউ নেই। যার ফলে অপরাধীরা নির্বিঘেœ তাদের অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
জানা যায়, হাসপাতালের গাইনী বিভাগের পিছন দিকের জানালা দিয়ে প্রতি রাতে রোগী ও তাদের স্বজনদের মোবাইল ও টাকা পয়সা চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে সংঘবদ্ধ চোরের দল। এতে কেউ বাধা দিতে গেলে চোরেরা ছুরি দিয়ে আঘাত করে। যার ফলে ভুক্তভোগীরা ছুরির ভয়ে কিছু করতে পারছে না। ঘটনার বিষয়গুলো কর্তব্যরত ডাক্তারদের জানালেও তারা ভয়ে কোন পদক্ষেপ নিতে পারছেনা। এ বিষয়ে জানতে চাইলে অত্র হাসপাতলের রেজিস্ট্রার-শিশু বিভাগ ডাঃ এম আবুল কালাম আজাদ বলেন, প্রতিদিনই রাতে কারো না কারো মোবাইল, স্বর্ণের চেইন ও টাকা পয়সা ছিনিয়ে নিয়ে যাচ্ছে চোরেরা। কেউ প্রতিবাদ করতে গেলে তাকে ছুরিকাঘাত করা হয়। তিনি আরো বলেন, আমার চেম্বারের এসির তার খুলে নিয়ে গেছে চোরেরা। তাদের ভয়ে কেউ কিছু করতে পারছে না। চোরেরা চুরি করে পিছনের দেওয়াল টপকে নির্বিঘেœ বাহিরে বের হয়ে যায়। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসককে চিঠি দিয়ে জানালেও কোন প্রকার প্রতিকার পায়নি অত্র হাসপাতালে সেবা নিতে আসা রোগী ও তাদের স্বজনেরা। তাই এখনই এই বিষয়ে কোন পদক্ষেপ না নিলে বড় ধরনের ক্ষতি হওয়ার আশংকা রয়েছে বলে তিনি জানান। হাসপাতালে সেবা নিতে আসা প্রসূতি বিভাগের রোগী ও তাদের স্বজনেরা বলেন, আমরা খুব ভয়ে রাত্রি যাপন করি কেননা জানালার পাশে যাদের সিট তাদের উপর চোরেরা আক্রমণ করে বেশি। পিছনের জানালা দিয়ে অনায়াসেই চোরেরা সবকিছু হাতিয়ে নিয়ে যায়। বাধা দিতে গেলে অনেক বড় ছুরি দিয়ে আঘাত করে। ভয়ে আমরা নিজেদের রক্ষা করতে গিয়ে স্বর্বস্ব হারাতে হচ্ছে। তবে এখনই যদি এই চোরদের বিরুদ্ধে কোন পদক্ষেপ না নেওয়া হয় তাহলে হয়তো চোরদের ছুরির আঘাতে কোন রোগী অথবা তাদের স্বজন প্রাণ হারাতে পারে। তবে স্থানীয়রা জানায় চোর ও ছিনতাইকারিরা এখানকার চিহ্নিত মাদকসেবী ও মাদক বিক্রেতা। মাদকের ছড়াছড়ির কারণে কেউ প্রতিবাদ করার সাহস পাচ্ছে না। তার মধ্যে আবার কিশোর গ্যাংয়ের উৎপাৎতো রয়েছেই। হাসপাতালের স্টাফরা জানান, হাসপাতালের পিছনের দুই পাশের রাস্তায় সিকিউরিটি গার্ড নিয়োগ করা হয়। কেননা চোরেরা মেইন রাস্তার ওয়াল টপকে হাসপাতালের ভিতরে ঢুরে এই চুরির ঘটনা ঘটিয়ে নির্বিঘেœ আবার ওয়াল টপকে বাহিরে বের হয়ে যায়। এ ব্যপারে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসন তড়িৎ গতিতে ব্যবস্থা নিবে বলে সচেতন মহল আশাবাদী।
মন্তব্য করুন