প্রকাশিত: ১০ ঘন্টা আগে, ০৪:১৩ পিএম

অনলাইন সংস্করণ

কোনো সার্টিফিকেট না থাকলেও চর্মরোগ  বিশেষজ্ঞ শেখপাড়ার স্মরণ ডাক্তার


 


নিজস্ব প্রতিবেদক, ঝিনাইদহ:


সারাদেশে বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে পর্যাপ্ত চিকিৎসকের অভাবে গ্রামবাংলার সাধারণ মানুষ হিমসিম খাচ্ছে,ঠিক সে মূহুর্তে  একশ্রেণির টাউট ব্যবসায়ি নিজেদের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দাবি করে অপচিকিৎসা করে তাদের জীবন যেমন বিপন্ন করে চলেছে, প্রতিদিন হাজার হাজার টাকাও লোপাট করছে। কিন্তু সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তাদের আইনের আওতায় আনতে মূলত ব্যর্থ হচ্ছে। এতে চিকিংসক দাবিদার ওইসব ব্যক্তি দিনদিন আসকারা পেয়ে যাচ্ছে। ঝিনাইদহের শৈলকূপা উপজেলার শেখপাড়া বাজারে এমনি এক ব্যক্তি একটি চিকিৎসা কেন্দ্র খুলে রমরমা ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে।  পার্শ্ববর্তি ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাএছাএী, শৈলকূপা, কুষ্টিয়ার কুমারখালি এবং কুষ্টিয়া সদর উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের সহজ সরল মানুষ,বিশেষ করে নারি এই কথিত চিকিৎসকের কাছে আসছেন তাদের বিভিন্ন চর্মরোগের চিকিৎসার জন্য। আর এই চিকিৎসক রোগিদের একাধিক এন্টিবায়োটিকের মিশ্রণ ইনজেকশন পুশ করে হাতিয়ে নিচ্ছেন মোটা অংকের টাকা।

এ ব্যাপারে শেখপাড়া,ত্রিবেণি ও বসন্তপুর গ্রামের বেশ কয়েকজনের সাথে স্মরণ ডাক্তারের বিষয়ে জানতে চাইলে তারা তাকে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত এবং সনদধারি চিকিৎসক বলেই চেনেন। 

এই বিষয়ে কথিত স্মরণ ডাক্তারের সাথে আলাপ করলে তিনি নিজেকে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় পাশ করার পর ১৯৯৪ সালে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল থেকে চারবছর মেয়াদি ডিএমএফ বা পল্লি চিকিৎসক  কোর্স সাম্পাদন করেছেন বলে দাবি করেন। অথচ শিক্ষাগত যোগ্যতা এবং চিকিৎসাসাস্ত্র বিষয়ে কোন কাগজপত্র  দেখাতে পারেননি। তবে তার সমুদয় কাগজপত্র ৩০-৩৫ বছর আগে পার্বত্য চট্টগ্রামে তার বাবা চাকরিকালিন সময়ে বন্যায় ভেসে গেছে, এমনকি তার পরিবারের সদস্যরাও কয়েকবছর বিচ্ছিন্ন হয়ে ছিলেন। তাই তিনি সেগুলো সহজে দেখানো সম্ভব হবেনা বলে জানান। 

ঝিনাইদহ ২৫০-শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের কার্ডিওলজি বিভাগের কন্সান্টেট ডা. প্রসেনজিৎ বিশ্বাস পার্থের সাথে আলাপ করলে তিনি একাধিক এন্টিবায়োটিক এর মিশ্রণ চিকিৎসাশাস্ত্র এবং নিয়ম পরিপন্থি বলে জানান। তার মতে এতে wKWwb I হৃদরোগ, উচ্চরক্তচাপ, শ্বাসকষ্টসহ বিভিন্ন সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে বলে জানান। এই ধরনের অপচিকিৎসা থেকে সবাইকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেন তিনি।  

শৈলকূপা উপজেলা সাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার ডা.রাশেদ আল-মামুনের সাথে আলাপ করলে তিনি জানান, এই বিষয়ে তিনি অভিযোগ পেয়েছেন তা তদন্তাধীন। তারা দ্রুত এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছেন।

 ফটো ক্যাপসন: 
শৈলকূপা উপজেলার শেখপাড়া বাজারে রোগীর চিকিৎসাপত্র লিখছেন কথিত পল্লিচিকিৎসক স্মরণ ডাক্তার।

মন্তব্য করুন