বন্দর (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৬ মে, ২০২৪, ০২:৪২ পিএম

অনলাইন সংস্করণ

বন্দরে স্বামীকে জেলে পাঠিয়ে স্ত্রীকে ধর্ষনের অভিযোগ মেম্বারে বিরুদ্ধে

ছবি সংগৃহীত

নারায়নগঞ্জ বন্দর উপজেলায় স্বামীকে জেল হাজতে পাঠিয়ে স্ত্রীকে দিনের পর দিন ধর্ষনের অভিযোগ পাওয়া গেছে এক ইউপি মেম্বারের বিরুদ্ধে। ধর্ষনের অভিযোগ ব্যক্তির নাম সফুরুদ্দিন মিয়া।

সূত্রমতে, তিনি ধামগড় ইউপি ৪নং ওয়ার্ডের মেম্বার। কামতাল মালিভিটা এলাকার মৃত সংশর আলী চৌকিদারের পুত্র। ভুক্তভোগী নারীর এক মিনিট ৫২ সেকেন্ডের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে ছড়িয়ে পড়লে উপজেলা জুড়ে হৈচৈ শুরু হয়। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী নারী থানা পুলিশের ধারে ধারে ঘুরে কোন বিচার না পেয়ে অবশেষে নারায়ণগঞ্জ পুলিশ সুপার বরাবর মেম্বারের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ করেন।

খবর নিয়ে জানা যায়, বন্দর উপজেলার মদনপুর ইস্টটাউনে ভাড়া বাসা নিয়ে বসবাস করতো সীমা আক্তার ও তার স্বামী রাজ মিস্ত্রি ঠিকাদার পান্নু মিয়া। পারিবারিক কলহে স্ত্রীর দেয়া মামলায় কামতাল তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ স্বামী পান্নু মিয়াকে গ্রেফতার করে। এই সুযোগে সফুরদ্দিন মেম্বার বিভিন্ন লোভ লালসা দেখিয়ে সীমা আক্তারের সাথে পরকীয়ার সম্পর্ক গড়ে তুলে। সম্পর্কের মাঝে সফুরুদ্দিন মেম্বার সীমাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ চিটাগাং রোড ওয়ার্কসপ মোড়ের ৪তলা ভবনে স্বামী স্ত্রী পরিচয়ে বসবাস করতে থাকেন। তাছাড়া কামতাল বিলে তার মৎস্য খামারে নিয়ে একাধিকবার ধর্ষন করে। 

ভুক্তভোগী সীমা আক্তারের স্বামী পান্নু মিয়া বলেন, কামতাল তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ দিয়ে আমাকে ধরিয়ে নিয় সফুরুদ্দিন মেম্বার ও আমার স্ত্রী সীমা আক্তার মিলে আমাকে জেলে পাঠায়। আমি জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার আগ মুহূর্ত পর্যন্ত আমার স্ত্রী সীমা সফুরুদ্দিন মেম্বারের সঙ্গেই অবস্থান করে। তাদের মধ্যে স্বামী স্ত্রী পরিচয়ে সম্পর্ক ছিল।

এদিকে ধামগড় ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডবাসী জানায়, সফুরুদ্দিন মেম্বার এর পূর্বেও মালিভিটা এলাকার প্রবাসী জাকির হোসেনের স্ত্রীর সঙ্গে পরকীয়ার সম্পর্ক গড়ে তুলে। অবৈধ সম্পর্ক করতে গিয়ে জনতার হাতে ধরা খেয়ে অবশেষে জাকিরের স্ত্রীকে বিয়ে করতে বাধ্য হয় সফুরুদ্দিন মেম্বার। জাকির হোসেনের প্রবাস জীবনের সকল আয় রোজকার সর্বস্ব কেরে নেয় মেম্বার।

তবে এ বিষয়ে সফুরুদ্দিন মেম্বারের নিকট ঘটনা সম্পর্কে জানত চাইলে তিনি বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ মিথ্যা। তবে পুলিশ সুপার বরার অভিযোগ প্রত্যাহার করে নিয়েছে সীমা আক্তার। 

 

মন্তব্য করুন