ফারুক আহমেদ, ময়মনসিংহ

প্রকাশিত: ১৭ এপ্রিল, ২০২৪, ০৮:৫৪ পিএম

অনলাইন সংস্করণ

কলকারখানায় বদলে গেছে ১৫ লাখ মানুষের জীবনমান

ছবি সংগৃহীত

ময়মনসিংহ অঞ্চলে বিদ্যুতের সঞ্চালন লাইন পরিবর্তনের পর থেকে সুফল পাচ্ছেন স্থানীয় এলাকাবাসী। এই সঞ্চালন লাইন বদলে দিয়েছে মানুষের জীবনযাত্রা। বৈপ্লবিক পরিবর্তন এসেছে শিল্পভিত্তিক কলকারখানায়। এর ফলে কলকারখানা ২৪ ঘন্টা সচল থাকায় উৎপাদন বৃদ্ধির পাশাপাশি সুযোগ বেড়েছে বৈদেশিক রপ্তানী আয়ের। বাণিজ্যিক গ্রাহকের পাশাপাশি প্রায় ৪ লাখ ৮০ হাজার উৎপাদন ও নাগরিক জীবনে স্থবিরতা নেমে আসতো। সে তুলনায় এখন পরিস্থিতি পুরোটাই পাল্টেছে বলে দাবী স্থানীয়দের।

সঞ্চালন লাইনের পরিবর্তন বিষয়ে বাংলাদেশ পাওয়ারগ্রীড কোম্পানীর উপসহকারী প্রকৌশলী মোহাইমিনুর রহমান জানান, বর্তমান সঞ্চলন লাইনে এপর্যন্ত সর্বোচ্চ ১৬২ মেগাওয়াট পর্যন্ত লোড নেয়া সম্ভব হয়েছে। আগের তুলনায় ১২০ মেগাওয়াট লোড বেশি নেয়া সম্ভব হচ্ছে বর্তমান সঞ্চালন লাইন দ্বারা।

এতে করে উৎপাদন শিল্প ও আবাসিক গৃহস্থালীতে ১২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ বেশি বিতরণ করা সম্ভব হচ্ছে। বিদ্যুত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী ইন্দ্রজিত দেবনাথ বলেন, সঞ্চলন লাইন পরিবর্তনের ফলে প্রায় ১৫ লাখ মানুষের জীবনমানে বৈপ্লবিক পরিবর্তন সাধিত হয়েছে। বিশেষ করে ভালুকা এবং ত্রিশালে শতাধিক ভারী রকমের শিল্পকলকারখানা এবং শত শত গার্মেন্টস ফ্যাক্টরী থাকায় নিরবচ্ছিন্নভাবে বিদ্যুৎ। সরবরাহ রাখা বিশাল একটি চ্যালেঞ্জ ছিল। লোডশেডিং সঙ্কট কাটাতে এই সঞ্চালন পরিবর্তন করার কোন বিকল্প ছিলনা। যার জন্য বিদ্যুতের ঘাটতি এখন বহুলাংশে হ্রাস পেয়েছে। ময়মনসিংহ অঞ্চলে পিডিস্থির বিদ্যুতের চাহিদা থাকে প্রায় এক হাজার ২২০ মেগাওয়াট। বিপরীতে পাওয়া যাচ্ছে এক হাজার ২০ মেগাওয়াট। প্রায় ২০০ মেগাওয়াট ঘাটতি থাকছে বলে জানান পিডিবি ময়মনসিংহ অফিসের প্রধান প্রকৌশলী মো. এমদাদুল হক। বোরো মৌসুম এবং দাবদাহের কারনে বিদ্যুৎ উৎপাদন ও সরবরাহে কিছুটা ঘাটতি রয়েছে কিন্তু সঞ্চলন লাইনে লোড ক্যাপাসিটি বৃদ্ধি পাওয়ায় লোডশেডিং সমস্যা অনেকটাই দূর করা সম্ভব হয়েছে। আবাসিক গ্রাহক পরিবারের প্রায় সাড়ে ১৪ লাখ মানুষ এখন নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ পাচ্ছেন।

বিদ্যুৎ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালে এনপিডি-এনডিপি প্রকল্পের অধীনে ময়মনসিংহ থেকে ভালুকা পর্যন্ত ৪৩ কিলোমিটার ১৩২ কেভি সঞ্চালন লাইন বদলের কাজ শুরু করে গতবছর শেষ করা হয়। এর আগে ময়মনসিংহ জেলার শিল্পাঞ্চল খ্যাত ভালুকা ও ত্রিশাল উপজেলায় গড়ে প্রতিদিনই ৮-১০ ঘন্টা করে লোডশেডিং হতো। অথচ নতুন করে এই সঞ্চালন লাইন চালু হওয়ায় বর্তমানে গড়ে ২২-২৩ ঘন্টা নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করা সম্ভব হচ্ছে। এর ফলে লোডশেডিং এর মাত্রা সহনীয় পর্যায়ে নেমে এসেছে বলে মনে করছেন বিদ্যুতের গ্রাহকেরা। উপকারভোগীরা বলছেন ডিজিটাল বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে হলে সবার আগে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে। মিল করকারখানা সহ যেকোন উন্নয়নের ক্ষেত্রে বিদ্যুতের কোন বিকল্প নেই। অতীতে যখন ঘন্টার উৎপাদন ও নাগরিক জীবনে স্থবিরতা নেমে আসতো। সে তুলনায় এখন পরিস্থিতি পুরোটাই পাল্টেছে বলে দাবী স্থানীয়দের। সঞ্চালন লাইনের পরিবর্তন বিষয়ে বাংলাদেশ পাওয়ারগ্রীড কোম্পানীর উপসহকারী প্রকৌশলী মোহাইমিনুর রহমান জানান, বর্তমান সঞ্চলন লাইনে এপর্যন্ত সর্বোচ্চ ১৬২ মেগাওয়াট পর্যন্ত লোড নেয়া সম্ভব হয়েছে। আগের তুলনায় ১২০ মেগাওয়াট লোড বেশি নেয়া সম্ভব হচ্ছে বর্তমান সঞ্চলন লাইন দ্বারা। এতে করে উৎপাদন শিল্প ও আবাসিক গৃহস্থালীতে ১২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ বেশি বিতরণ করা সম্ভব হচ্ছে।

বিদ্যুত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী ইন্দ্রজিত দেবনাথ বলেন, সঞ্চালন লাইন পরিবর্তনের ফলে প্রায় ১৫ লাখ মানুষের জীবনমানে বৈপ্লবিক পরিবর্তন সাধিত হয়েছে। বিশেষ করে ভালুকা এবং ত্রিশালে শতাধিক ভারী রকমের শিল্পকলকারখানা এবং শত শত গার্মেন্টস ফ্যাক্টরী থাকায় নিরবচ্ছিন্নভাবে বিদ্যুৎ সরবরাহ রাখা বিশাল একটি চ্যালেঞ্জ ছিল। লোডশেডিং সঙ্কট কাটাতে এই সঞ্চালন পরিবর্তন করার কোন বিকল্প ছিলনা। যারজন্য বিদ্যুতের ঘাটতি এখন বহুলাংশে হ্রাস পেয়েছে। ময়মনসিংহ অঞ্চলে পিডিস্থির বিদ্যুতের চাহিদা থাকে প্রায় এক হাজার ২২০ মেগাওয়াট। বিপরীতে পাওয়া যাচ্ছে এক হাজার ২০ মেগাওয়াট। প্রায় ২০০ মেগাওয়াট ঘাটতি থাকছে বলে জানান পিডিবি ময়মনসিংহ অফিসের প্রধান প্রকৌশলী মো. এমদাদুল হক। বোরো মৌসুম এবং দাবদাহের কারনে বিদ্যুৎ উৎপাদন ও সরবরাহে কিছুটা ঘাটতি রয়েছে কিন্তু সঞ্চালন লাইনে লোড ক্যাপাসিটি বৃদ্ধি পাওয়ায় লোডশেডিং সমস্যা অনেকটাই দূর করা সম্ভব হয়েছে।

মন্তব্য করুন