বিশেষ প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৭ এপ্রিল, ২০২৪, ০৩:৫০ পিএম

অনলাইন সংস্করণ

ঢাকায় জাতিসংঘ জলবায়ু অভিযোজন সম্মেলন শুরু সোমবার

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

আগামী সোমবার (২২ এপ্রিল) থেকে ঢাকায় শুরু হবে চারদিনের জাতিসংঘ জলবায়ু অভিযোজন সম্মেলন জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনা (ন্যাপ) এক্সপো ২০২৪। বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) এটি চলবে ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত।

আজ বুধবার (১৭ এপ্রিল) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয় সভাকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলন করে এ তথ্য জানান পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ, অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) ইকবাল আব্দুল্লাহ হারুন, অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) মো. মোশাররফ হোসেন প্রমুখ।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ইউনাইটেড নেশনস ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশন্স অন ক্লাইমেট চেঞ্জ (ইউএএএফসিসিসি)-এর বস্থাপনায় জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনার ওপর ভিত্তি করে সংশ্লিষ্ট দেশের সকল উন্নয়ন পরিকল্পনা এগিয়ে নেয়ার জন্য ২০১৩ সালে আন্তর্জাতিকভাবে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ন্যাপ এক্সপ্যের আয়োজন করা হয়।

মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে জলবায়ু পরিবর্তন অভিযোজনে বাং লাদেশ বিশ্বে অন্যতম সফল দেশ হিসেবে তথা রিজিলিয়েন্ট কান্ট্রি হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। সেই সাফল্যের ধারাবাহিকতায় আগামী ২২ থেকে ২৫ এপ্রিল বিআইসিসি-এ ন্যাপ এক্সপো ২০২৪ অনুষ্ঠিত হবে।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই এক্সপোর উদ্বোধন করবেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন ইউএএএফসিসিসি'র এক্সিকিউটিভ সেক্রেটারি সাইমন স্টিযেল।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ন্যাপ এক্সপো ২০২৪-এ অংশগ্রহণের জন্য ১০৪টি দেশের ৩৮৩ জন ইউএনএফসিসিতে রেজিস্ট্রেশন করেছে, যার মধ্যে ১১৪ জন বাংলাদেশি। এছাড়া, দেশের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও সংস্থার প্রতিনিধিরা, জলবায়ু বিশেষজ্ঞ, এনজিও প্রতিনিধি, শিক্ষার্থীসহ ৫৫০জন অংশগ্রহণ করবেন।

ইউএনএফসিসিসি-তে এ পর্যন্ত ৫৩টি দেশ জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনা (ন্যাপ) দাখিল করেছে। এ সম্মেলনে অংশগ্রহণের মাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত মোকাবিলায় বিভিন্ন দেশের অভিযোজন কার্যক্রম সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয় থেকে সবাই পারস্পরিকভাবে উপকৃত হতে পারবে।

সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, ন্যাপ এক্সপো একটি আন্তর্জাতিক ফোরাম যেখানে বিভিন্ন দেশ, সংস্থা এবং অন্যান্য সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডাররা ন্যাপ প্রণয়ন এবং বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে পারস্পরিক যোগাযোগ এবং অভিজ্ঞতা বিনিময় করে।

বাংলাদেশের জন্য বরাদ্দ করা ১০টি স্থালে রেইন ওয়াটার হার্ভেস্টিং, পাহাড়ি অঞ্চলে সোলার এনার্জির মাধ্যমে পানি উত্তোলনের ব্যবস্থা, জলবায়ু সহিষ্ণু বীজ, প্রাণিসম্পদ সংরক্ষণ এবং অন্যান্য কৃষি কার্যক্রম সংক্রান্ত বিষায়, অভিযোজন কর্মকান্ডের সমর্থনে ডেল্টা প্লানের বিভিন্ন কর্মকান্ড, জলবায়ু অভিযোজনের জন্য সাইক্লোন সেল্টার, মুজিব কিল্লা, রাস্তাঘাট, কালভার্ট নির্মাণ, জলবায়ু সহিষ্ণু নগর ব্যবস্থাপনা, জলবায়ু উদ্বাস্তু, ইত্যাদি জলবায়ু অভিযোজনের বিষয় প্রদর্শন করা হবে।

মন্তব্য করুন