
প্রকাশিত: ১২ ঘন্টা আগে, ০৯:৩৭ পিএম
অনলাইন সংস্করণ
রাজনৈতিক প্রতিবেদকঃ
অন্তর্বর্তী সরকারের ওপর পক্ষপাতের অভিযোগ তুলেছেন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর।
বুধবার (২৩ জুলাই) প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর বৈঠক শেষে তিনি বলেন, একটি গণঅভ্যুত্থানের পর গঠিত জনপ্রিয় সরকার যদি কোনো নির্দিষ্ট দলের প্রতি পক্ষপাতমূলক আচরণ করে, তবে জনগণের আস্থা দ্রুতই সরে যেতে পারে।
নুরুল হক নুর প্রশ্ন তোলেন, চারটি দলকে কী ভিত্তিতে ‘বড় দল’ হিসেবে নির্বাচিত করা হয়েছে? তিনি বলেন, ‘গতকাল রাতে বৈঠকে ডাকা চার দলের একটি তো নিবন্ধিতও না, সদ্য গঠিত। এই বিষয়ে আজকের ১৩ দলের বৈঠকে প্রায় সবাই আপত্তি তুলেছেন।’
তিনি অভিযোগ করেন, সরকার এনসিপির প্রতি পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ করছে, যা একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন নিয়ে সংশয় সৃষ্টি করতে পারে। ‘আমরা আজ সরকারকে স্মরণ করিয়ে দিয়েছি—যদি নির্বাচনের আগে পক্ষপাত স্পষ্ট হয়, তাহলে সেই সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন উঠবেই,’ বলেন তিনি।
চট্টগ্রামের আইনজীবী হত্যাকাণ্ড এবং গোপালগঞ্জের সম্ভাব্য সহিংসতা নিয়ে তিনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ব্যর্থতার অভিযোগ করেন। তার মতে, সরকার যদি আগে থেকেই এসব আঁচ করতে না পারে, তাহলে তাদের সক্ষমতা নিয়েই প্রশ্ন ওঠে।
পতিত স্বৈরাচারী শক্তিগুলো আন্দোলনে নাশকতা করতে পারে—এই আশঙ্কা প্রকাশ করে তিনি সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশন প্রসঙ্গে নুর বলেন, ‘এক-দুইটি দলের মতামতের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হলে সেটি বৃহত্তর জনআকাঙ্ক্ষাকে উপেক্ষা করা হয়।’ তিনি সরকারকে আহ্বান জানান, কোনো রাজনৈতিক চাপ বা পক্ষপাত ছাড়া সিদ্ধান্ত গ্রহণ নিশ্চিত করতে।
স্থানীয় সরকারের অকার্যকর কাঠামো নিয়েও কথা বলেন তিনি। তার মতে, জনপ্রতিনিধি না থাকায় এলাকাভিত্তিক বিশৃঙ্খলা বাড়ছে, প্রশাসন সবকিছু নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারছে না। সে কারণে ধাপে ধাপে স্থানীয় নির্বাচন আয়োজনের পরামর্শ দেন তিনি।
তিনি আরও অভিযোগ করেন, গত ১১ মাসে এনসিপি ছাড়া আর কোনো ছাত্রসংগঠনের সঙ্গে সরকার বসেনি। বিভিন্ন ছাত্রসংগঠনের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময়ের প্রস্তাব রাখেন নুর, যাতে সরকার আশ্বাসও দিয়েছে বলে জানান তিনি।
মন্তব্য করুন