
প্রকাশিত: ৬ ঘন্টা আগে, ০৬:৪৩ পিএম
অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন প্রতিবেদকঃ
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন লালনগীতি শিল্পী ফরিদা পারভীনের শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন তার স্বামী বাঁশিবাদক গাজী আবদুল হাকিম।
সোমবার দুপুরে তিনি বলেন, ‘ফরিদা পারভীনকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে রেখে চিকিৎসা সেবা দেওয়ার পর রোববার থেকে তাকে সাধারণ কেবিনে দেওয়া হয়েছে।’
সরকারের পক্ষ থেকে আর্থিক সহযোগিতার প্রস্তাব দেওয়া হলেও ফরিদা পারভীনের পরিবার তা প্রত্যাখ্যান করেছে। তারা বলেছে, শিল্পীর চিকিৎসায় অর্থ নয়, প্রয়োজন চিকিৎসা সহযোগিতা। পরিবার চাইছে, বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সমন্বয়ে একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হোক।
গাজী আব্দুল হাকিম বলেন, ‘ফরিদা পারভীন রাষ্ট্রীয় সম্পদ, একজন ফরিদা পারভীনকে বিদেশে নিয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থাটুকু তো করা যায়। যদি সেটাও না হয়, আমাদের দেশে যত বড় বড় হাসপাতাল আছে, বিশেষজ্ঞদের দিয়ে একটা চিকিৎসা বোর্ড তৈরি করা যেতে পারে। এটা একমাত্র সরকারের পক্ষেই করা সম্ভব।’
৭১ বছর বয়সী ফরিদা পারভীন কিডনি, ডায়াবেটিসসহ নানা জটিলতায় দীর্ঘদিন ধরে ভুগছেন। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতেও তিনি ১৩ দিন আইসিইউতে ছিলেন। তিনি নিয়মিত ডায়ালাইসিস করিয়ে থাকেন।
গাজী আব্দুল হাকিম বলেন, ‘আমরা পরিবার থেকে সাধ্যমত চেষ্টা করছি। কিন্তু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসা বোর্ড তৈরি করার ব্যাপারে সরকার সহযোগিতা পেলে ভালো হত।
মন্ত্রণালয় থেকে যোগাযোগ করে তারা অর্থ সহযোগিতা দিতে চেয়েছিল। আমরা তো টাকা চাই না। তারা এসে দেখে বিদেশে নেওয়া প্রয়োজন কিনা, পরামর্শ দিক, অথবা দেশে মেডিকেল বোর্ড গঠন করে চিকিৎসা প্রক্রিয়ার ব্যবস্থা করুক, এটাই চাই।’
নজরুলসংগীত ও দেশাত্মবোধক গান দিয়ে ক্যারিয়ার শুরু করলেও ফরিদা পারভীন লালন সংগীত দিয়ে খ্যাতি অর্জন করেন। সাধক মোকসেদ আলী শাহর কাছে তিনি লালনসংগীতের তালিম নেন।
সংগীতাঙ্গনে অবদানের জন্য তিনি ১৯৮৭ সালে একুশে পদক ও ২০০৮ সালে জাপান সরকারের ‘ফুকুওয়াকা এশিয়ান কালচার’ পুরস্কার পান। ১৯৯৩ সালে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে সেরা প্লেব্যাক গায়িকা নির্বাচিত হন।
লালনের গানের ঐতিহ্য ধরে রাখতে তিনি প্রতিষ্ঠা করেন ‘অচিন পাখি সংগীত একাডেমি’। কিন্তু নিজের শারীরিক অসুস্থতা, আয়-ব্যয়ের বৈষম্য এবং ভবনের অভাবে একাডেমিটি টিকে থাকার লড়াইয়ে রয়েছে।
মন্তব্য করুন